বাংলাদেশে ক্র্যাকডাউন : ডনের সম্পাদকীয়
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৩ এএম | আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৩ এএম
একটি নতুন সরকার নির্বাচন করতে আগামী রোববার বাংলাদেশের মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তবে এই নির্বাচনে খুব বেশি প্রতিদ্ব›িদ্বতা হবে না। কারণ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিরোধীদের খুব কমই কাজ করতে দিয়েছে। দুঃখজনকভাবে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ওয়াজেদের (শেখ হাসিনা) প্রশাসন মিডিয়া এবং সুশীল সমাজের সমালোচনামূলক কণ্ঠস্বর রদ করার পাশাপাশি সমস্ত বিরোধী শক্তিকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। যদিও নোবেল বিজয়ী এবং বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের ‘ব্যাড বুকে’ রয়েছেন। গত সোমবার (১ জানুয়ারি) তিনি তার টেলিকম ফার্মে ‘শ্রম আইন লঙ্ঘনের’ জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ১০০টিরও বেশি মামলার মুখোমুখি ড. ইউনূস সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অনেক পর্যবেক্ষক মনে করেন যে, এটি দোষী সাব্যস্ত হওয়া ব্যাংকারের আগের রাজনৈতিক উচ্চাকাক্সক্ষার ফলাফল।
এদিকে, প্রধান বিরোধী শক্তি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ওপর দমন-পীড়ন নিরলসভাবে চলছে। পার্টির হাজার হাজার কর্মী ও সমর্থককে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অনেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন এই ভয়ে যে, নিরাপত্তা যন্ত্র তাদের ধরিয়ে দেবে। বিএনপি নির্বাচন তদারকি করার জন্য একটি তত্ত¡াবধায়ক প্রতিষ্ঠার আহŸান জানিয়েছিল।
সরকার সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পরে দলটি প্রতিদ্ব›িদ্বতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। জাতিসংঘের কর্মকর্তাসহ বিদেশি সরকার এবং নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকরা এ ক্র্যাকডাউন সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কিন্তু বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদের প্রশাসনে কোনো প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি এ অঞ্চলে গণতন্ত্রের জন্য বৃহত্তর হুমকির প্রতিফলন। পাকিস্তানেও একইরকমভাবে নির্বাচনী অনুশীলন সম্পর্কে বৈধতার অনুরূপ প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে।
এদিকে ভারতেও কয়েক মাসের মধ্যে নির্বাচন। সেখানেও রয়েছে গণতান্ত্রিক সঙ্কট। কারণ বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুত্ববাদীরা বারবার সে দেশে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক নীতিকে আঘাত করেছে। ১৯৯০-এর দশকের শুরুতে দীর্ঘ সামরিক শাসনের অবসানের পর বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পথে হাঁটতে শুরু করেছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, কয়েক দশক ধরে বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোন্দল বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ আজ একদলীয় রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। অনেক দেরি হয়ে গেলেও আসন্ন নির্বাচন রক্ষা করতে শেখ হাসিনা এবং তার দলকে তাদের পদ্ধতিগুলো পুনর্বিবেচনা করতে হবে। কারণ সমস্ত বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে কঠোর হস্তক্ষেপ দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশি গণতন্ত্রের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করবে এবং সমাজে ফাটল বাড়িয়ে দেবে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ডিবির সাবেক ডিসি ৭ দিনের রিমান্ডে দলীয় বিবেচনায় শুদ্ধাচার পুরস্কার পান মশিউর
খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিতে সংঘর্ষ: তিন জেলার মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
গরমে যেন শেষ সিলেট !
গল টেস্টে ঘুরে দাঁড়িয়েছে শ্রীলঙ্কা
প্রেতাত্মাদের উসকে দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন হাসিনা
ময়মনসিংহে অস্ত্রসহ ডাকাত দলের ছয় সদস্য গ্রেপ্তার
খাগড়াছড়িতে হামলা, প্রতিবাদে ইবির আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নানকে জেলহাজতে প্রেরণ
কালীগঞ্জে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আয়ূব হোসেন আটক
হাবিপ্রবিতে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে ভিসি নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
ফ্যাসিবাদী দোসর মিডিয়া লীগে সংস্কার জরুরী
যৌথবাহিনীর হাতে সিলেট আটক বিপুল পরিমান ভারতীয় পণ্য
পরাজিত শক্তি এবং সুবিধাবাদীরা সমাজে নৈরাজ্য সৃষ্টিতে লিপ্ত- বিমানবন্দরে সংবর্ধনা কালে যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা মুশাহীদ
নোয়াখালীতে জামায়াতের কর্মী সমাবেশে নেতৃবৃন্দ ‘জুলুম-নির্যাতন করে আস্তাকুঁড়ে চলে গেছেন কাদের মির্জা’
পুলিশের সামনে হামলা বিএনপি ও যুবদল নেতা আহত
গাজীপুরে ছুটির দিনেও ২৫ শতাংশ কারখানা খোলা ছিল
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বীরত্বগাথা জাতিসংঘে তুলে ধরবেন প্রধান উপদেষ্টা
তিন জেলাসহ সাত বিভাগের ওপর দিয়ে বইছে তাপপ্রবাহ
তিন পার্বত্য জেলার পরিস্থিতি নিয়ে আইএসপিআর এর বিবৃতি
দুই দিনেই পরাজয়ের ধ্বনি শুনছে বাংলাদেশ