বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে আটক ২৫ হাজার বিরোধী নেতাকর্মীর মুক্তির আহŸান জানিয়েছে জাতিসংঘ। একই সঙ্গে সংস্থাটি নির্বাচনকালীন সময়ে সংঘটিত সব সহিংসতার সম্প‚র্ণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহŸান জানিয়েছে। গত বুধবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ওই আহŸান জানানো হয়।

বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি চারটি আহŸান জানান। সেগুলো হলো-১) অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে সুশীল সমাজ এবং রাজনৈতিক কর্মীদের মুক্তি দিতে হবে যাদের কোনো অভিযোগ ছাড়াই বা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ অভিযোগে আটক করা হয়েছে। ফৌজদারি অপরাধের জন্য অভিযুক্তদের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
২) বিচার ব্যবস্থার অখÐতা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

৩) মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, অবাধ ও বাধাবিহীন অনুশীলনের নিশ্চয়তা দিতে হবে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক সমাবেশে অযথা বিধিনিষেধ আরোপ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। একই সঙ্গে এসব মৌলিক স্বাধীনতার গুরুতর লঙ্ঘন করা হলে তার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
৪) গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সমালোচনামূলক প্রতিবেদনের বিপরীতে হুমকি, শারীরিক ও অনলাইন সহিংসতা বা বিচারিক হয়রানি এবং ফৌজদারি বিচার থেকে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বলেন, বর্তমান সরকার চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করেছে। এখন মানবাধিকার পরিস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে হবে। যেখানে সরকার নিয়মিত দমনমূলক আচরণ পরিহার করবে। প্রয়োজনে রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে তা অর্জন করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা আরো বলেন, আমরা মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে শক্তিশালী করার জন্য এই এবং অন্যান্য পদক্ষেপের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে সমর্থন ও পরামর্শ দিতে প্রস্তুত।