শিক্ষা সিলেবাসের আমূল সংশোধন করতে হবে : গোলটেবিল বৈঠকে মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:১২ এএম | আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:১২ এএম
বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে সরকার নতুন যে বই বিতরণ করেছে এবং ২০২৩ সালে নতুন যে পাঠ্যক্রম সূচনা করেছে, তা বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগোষ্ঠির চিন্তা-চেতনা ও বোধ বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে হিন্দুত্ববাদী ও পশ্চিমা চিন্তার প্রভাব সুস্পষ্ট। বিশেষ করে নতুন সংযোজিত ট্রান্সজেন্ডার, শারীরিক শিক্ষা ও ধর্মবিমুখ বিভিন্ন অধ্যায় একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের মন মানসিকতার ওপর চরিত্রবিধ্বংসী বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করবে অপরদিকে তাদেরকে ধর্মহীন করে গড়ে তুলবে। তাই অচিরেই জাতীয় চিন্তার আলোকে সর্বাধুনিক, মননশীল ও জীবনমুখী পাঠ্যক্রম ও শিক্ষা সিলেবাস প্রণয়ন করতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা ন‚রুল হুদা ফয়েজীর সভাপতিত্বে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত “বিতর্কিত জাতীয় পাঠ্যক্রম; প্রজন্মের প্রকৃত শিক্ষা ভাবনা” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ট্রান্সজেন্ডার হলো কিছু পাগলের পাগলামির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। অথচ সেই পাগলামির শিক্ষাকেই আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠ্য সিলেবাসে সংযুক্ত করা হয়েছে। সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, যে শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করা হয়েছে, তার সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করলে মুসলমানের ঈমানে ঘাটতি তৈরি হবে। আগামীর মা-বাবারা তাদের সন্তানদের শেখানোর জন্য ন‚ন্যতম যে ধর্মীয় শিক্ষা প্রয়োজন, তাও তারা দিতে পারবে না।
আলোচনা সভায় বক্তারা আরও বলেন, আমাদের সন্তানরা আমাদের ও দেশের সম্পদ। সুতরাং সরকার নিজ মনগড়া সিদ্ধান্তে তাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করার অধিকার রাখে না। পাঠ্যপুস্তকের কোন তথ্যে যদি ভুল থাকে, তাহলে তা নিয়ে কথা বলা এবং সংশোধনের দাবী তোলা সচেতন নাগরিকদের দায়িত্ব। আমাদের ভ্যাট-ট্যাক্সের টাকা অপচয় করে আমাদের সন্তানদের অখাদ্য গেলানোর অধিকার কারো নেই।
কবি ও দার্শনিক মুসা আল হাফিজ বলেন, পাঠ্যবইয়ে আত্মপরিচয়ের জায়গায় ধর্মকে বাদ দেয়া হয়েছে। অথচ ধর্মপরিচয় একজন ব্যক্তির অন্যতম আত্মপরিচয়। এছাড়া অখÐ ভারতীয় চেতনার সমর্থন করে বাংলাদেশকে ভারতের অংশ হিসাবে দেখানো হয়েছে বইতে। মুসলিম শাসক ও ভারত বিজেতাদের ইতর ও যবন বলে আখ্যা দেয়া হয়েছে। সুলতানী আমলের রাজধানী সোনারগাঁ এর ইতিহাস থেকে পরিকল্পিতভাবে মুসলিম ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে বাদ দেয়া হয়েছে। যা ঐতিহাসিকভাবে ও বৈজ্ঞানিকভাবে ভুল। যারা পাঠ্যপুস্তকে এসব বিষয় সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে আমাদের প্রজন্মকে হিন্দুত্ববাদ ও সাম্রাজ্যবাদের দাস হিসাবে গড়তে চায়, তাদের চিহ্নিত করতে হবে।
তারা বলেন, এই সিলেবাস আমাদের ৯০ ভাগ মুসলমানের মনে আঘাত দিয়েছে। সিলেবাসের এই বিকৃতি হঠাৎ করেই হয়ে যায়নি। বরং ইসলাম বিরোধী দীর্ঘমেয়াদি এজেন্ডার একটা তীব্র বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে হাল আমলে এসে। যৌন বিকৃতির এই প্রজেক্ট, কেবল পশ্চিমাদের প্রজেক্ট না। বরং এটা সরাসরি ইবলিসের প্রজেক্ট।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফী, মাওলানা ইসমাইল সিরাজী আল-মাদানী ও মুফতি আবদুল আজিজ কাসেমী।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলনা ইউনুছ আহমাদ, আফতাব নগর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মোহাম্মদ আলী কাসেমী, বিশিষ্ট আলেম মাওলানা আনোয়ার শাহ, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা গাজী আতাউর রহমান,¡ শায়খ আবদুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ, মুফতি লুৎফর রহমান ফরায়েজী, মুফতি রেজাউল করীম আবরার, মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফী, মাওলানা মোয়াজ্জম হোসেন সাইফী, মাওলানা রিজওয়ান রফিকী, আবদুল্লাহ বিন আবদুর রাজ্জাক, ফুলতলী পীর সাহেবের প্রতিনিধি ইমাদ উদ্দিন তালুকদার ও মুফতি ওমর ফারুক ইবরাহিমী।
এদিকে, সারা দেশে ১৫ দিনব্যাপী দাওয়াতী পক্ষের মাধ্যমে নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দাওয়াতী পক্ষ উপলক্ষে সারাদেশে একযুগে পক্ষকাল ব্যাপী এ দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা করবেন সংগঠনের সকলস্তরের নেতাকর্মী। দলের শীর্ষ থেকে অধ:স্তন নেতৃবৃন্দ পুরো ১৫ দিন দাওয়াতী অভিযান পরিচালনা করে নতুন সদস্য সংগ্রহ করবেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ইউনাইটেডের আরও এক লজ্জার রাত
গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
সিরিজ নিশ্চিতের অভিযানে শান্ত-হৃদয়রা
খুলনায় কাটলো তাপদাহ, নামলো বৃষ্টি
কুষ্টিয়ায় বিয়ের গাড়ি আটকে ভাঙচুর , আটক ৪
কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড মীরসরাই
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
নিজ কক্ষে মিললো আওয়ামী লীগ নেতার ঝুলন্ত লাশ
বজ্রপাতে তিন জেলায় ৪ জনের মৃত্যু
মধুখালি ডুমাইনের পঞ্চপল্লীতে দুই সহোদর হাফেজ খুন,স্বজনরা উল্টো আতঙ্কে কেটে গেল ১৮ প্রহর
প্রশ্ন : প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা ঋণ নিয়ে হজ্জ করা প্রসঙ্গে।
আমেরিকা ও ইউরোপের বহিষ্কৃত ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে ইরান
একটানা ৩৭ দিন তাপপ্রবাহে অতিষ্ট চুয়াডাঙ্গাবাসীর ভাগ্যে অবশেষে মিললো স্বস্তির শিলা বৃষ্টি
বজ্রপাতে মাদারীপুরে পৃথক স্থানে দুই জন নিহত
শম্ভুগঞ্জ ইউসি উচ বিদ্যালয়র সভাপতি মোক্তার হোসেনর বিরুদ্ধ দূর্নীতির অভিযাগ: ছয় সদস্যের পদত্যাগ
সিলেটে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি : বাড়ছে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের পরিমান
অপহরণের ১৩ ঘণ্টা পর চুয়েট স্কুলছাত্র উদ্ধার
বরগুনায় গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধে কর্মশালা
গৌরনদীতে লোডশেডিং ও তীব্র গরমে কদর বেড়েছে হাতপাখার
নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে টাকা বিতরণ করায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা