জামিন আবেদন করলেন যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত তমাল
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:১৬ এএম | আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:১৬ এএম
দর্জি দোকানী বিশ্বজিৎ দাসকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত তারিক বিন জোহর ওরফে তমালের পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়েছে। আগামি সপ্তাহে আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় উঠতে পারে। এ তথ্য জানিয়েছেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। বিচারপতি মো: আকরাম হোসাইন চৌধুরী এবং বিচারপতি মো: শওকত আলী চৌধুরীরর ডিভিশন বেঞ্চে গত ২০ ফেব্রæয়ারি শুনানির জন্য ছিলো। কিন্তু অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম শুনানি না করায় তারিখ পুন:নির্ধারণ করা হয়। ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীর ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে শিবির কর্মী সন্দেহে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মীরা নির্মমভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে দর্জি দোকানের কর্মচারি বিশ্বজিৎ দাসকে।
এদিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একটি মিছিল থেকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে বিশ্বজিৎকে হত্যা করা হয়। পরে অজ্ঞাতনামা ২৫ জনকে আসামি করে রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় মামলা করেন ওই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জালাল আহমেদ। তিন মাসের মধ্যে তদন্ত করে ২০১৩ সালের ৫ মার্চ ২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন পুলিশের ডিবি ইন্সপেক্টর তাজুল ইসলাম।
২০১৩ সালের ২ জুন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে বিচার শুরু করেন। ওইবছর ১৮ ডিসেম্বর মামলাটিতে একই ট্রাইব্যুনালের তৎকালিন বিচারক এ বি এম নিজামুল হক ২১ আসামির মধ্যে ৮ জনকে মৃত্যুদন্ড এবং ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ডও দেয়া হয়। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, তৎকালিন ছাত্রলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম শাকিল (চাপাতি শাকিল), মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জিএম রাশেদুজ্জামান শাওন, কাইউম মিয়া টিপু, সাইফুল ইসলাম, রাজন তালুকদার ও মীর মো: নূরে আলম লিমন। রায় ঘোষণাকালে মৃত্যুদÐপ্রাপ্তদের প্রায় সবাই ছিলেন পলাতক। যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্তরা হলেন, এইচএম কিবরিয়া, গোলাম গোলাম মোস্তফা, খন্দকার মো: ইউনুস আলী, তারিক বিন জোহর তমাল, আলাউদ্দিন, ওবায়দুর কাদের তাহসিন, ইমরান হোসেন ইমরান, আজিজুর রহমান আজিজ, আল-আমিন শেখ, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক পাভেল, কামরুল হাসান ও মোশারফ হোসেন। পরে ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট হাইকোর্ট নিম্ন আদালতে মৃত্যুদন্ড পাওয়া ৮ আসামির মধ্যে ২ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল, ৪ জনের মৃত্যুদন্ড পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন এবং অপর দুজনকে বেকসুর খালাস দেন হাইকোর্ট।
এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত ১৩ আসামির মধ্যে আপিল করে খালাস পান ২ জন। নিম্ন আদালতে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত যে দুই আসামি হাইকোর্টে খালাস পান তারা হলেন-সাইফুল ইসলাম ও কাইয়ুম মিয়া। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ৮ আসামির মধ্যে যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত ৪ আসামি হলেন মাহফুজুর রহমান ওরফে নাহিদ, রাশেদুজ্জামান ওরফে শাওন, ইমদাদুল হক ও নূরে আলম (পলাতক) ওরফে লিমন। মৃত্যুদন্ড বহাল রাখা হয় রফিকুল ইসলাম ওরফে শাকিল ও রাজন তালুকদারের। তারা পলাতক রয়েছেন। বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন দন্ডিত ১৩ আসামির মধ্যে থেকে এইচএম কিবরিয়া ও গোলাম মোস্তফা খালাস পেয়ে যান হাইকোর্টে। যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত অন্য ১১ আসামির সবাই পলাতক ছিলেন। এদের মধ্যে অন্যতম জামিন আবেদনকারী তমাল। ২০১৮ সালের ২৬ জুন ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক আব্দুর রহমান সরদার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সেই থেকে তিনি কারাবন্দী রয়েছেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ফেনীতে বজ্রপাতে প্রাণ হারাল শিক্ষার্থী
সামাজিক সুরক্ষার সুবিধাভোগী বাছাইয়ে অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে -ডা. দীপু মনি
ব্রিটেনে ধনকুবেরদের তালিকায় শীর্ষে হিন্দুজা, রাজাকে টপকালেন সুনাক!
মেরিনড্রাইভ সড়কে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত
ইসরাইলে বিস্ফোরক পাঠাচ্ছে ভারত! অস্ত্র বোঝাই জাহাজ আটকাল স্পেন
পায়রা বন্দরের সঙ্গে সড়ক ও রেলের কানেকটিভিটি বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ
কাশ্মীরে ফারুক আবদুল্লার সভায় ছুরি হাতে তাণ্ডব আততায়ীর
ইতালি কি ইথিওপিয়াকে ঔপনিবেশিক শোষণের ক্ষতিপূরণ দেবে?
সরকার নানা কায়দায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নির্যাতন শুরু করেছে: মির্জা ফখরুল
কালশীতে রিকশাচালক-পুলিশের সংঘর্ষে পথচারী গুলিবিদ্ধ
ইউরোপিয়ান সোশ্যাল বিজনেস ট্যুরে প্রফেসর ইউনূস
মুস্তাফিজের অভাব বোধ করেছে দল: চেন্নাই অধিনায়ক
১৭ মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা চেয়ারম্যান প্রার্থী : টিআইবি
ভারতের মুসলিম জনসংখ্যা কি সত্যিই বিস্ফোরিত হয়েছে?
গাজায় যুদ্ধাপরাধের তদন্ত দাবি করেছে জর্ডান
পাবলিক ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট রিফর্ম স্ট্রাটেজি প্রণয়নের কাজ শুরু
বাজার থেকে এসএমসি প্লাসের সব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ
কোহলির যে কথায় মুগ্ধ আফ্রিদি
ভারতীয় ভাতাপ্রাপ্ত এজেন্সীগুলো দেশে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে: রাশেদ প্রধান
ভারতীয় ভাতাপ্রাপ্ত এজেন্সীগুলো দেশে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে: রাশেদ প্রধান