পরীক্ষামূলক কাজুবাদাম চাষ হচ্ছে গারো পাহাড়ে
১৫ মার্চ ২০২৪, ১২:০৭ এএম | আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৪, ১২:০৭ এএম
শেরপুর গারো পাহাড়ে পরীক্ষামূলকভাবে কাজুবাদাম চাষ হচ্ছে। ইতোমধ্যে পাহাড়ি বাগানগুলোর কাজুবাদাম পরিপক্ক হতে শুরু করেছে। ফলে চাষিদের মুখে ফুটছে হাসি। সীমান্তের পাহাড়ি এলাকার কৃষকদের মনে আশার আলো জেগেছে। সেইসঙ্গে অবহেলিত প্রত্যন্ত পাহাড়ি জনপদের অর্থনীতির চাকা ঘুরে যেতে পারে উচ্চ মূল্যের কাজুবাদাম চাষে।
মেঘালয় ঘেঁষা ৪০ কিলোমিটার দূরত্বের সীমান্তের এ অঞ্চলে হাতির আক্রমণের ভয়। পানির অভাবে বিস্তীর্ণ জমি পতিত থাকে। ফলে অনাবাদি জমিতে আমদানি নির্ভর কাজুবাদাম চাষে দেশের কৃষিতে নতুন মাত্রা যোগ হবে। এতে বেকার সমস্যারও সমাধান হবে। সৃষ্টি হবে নতুন কর্মসংস্থানের। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানায়, দেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে কাজুবাদাম চাষ হচ্ছে। শেরপুরের গারো পাহাড়ে প্রায় ৪ বছর আগে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পে তিন উপজেলা ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী পাহাড়ি অঞ্চলে সাড়ে ১৮ একর জমিতে ৩৬টি প্রদর্শনী প্লটে কম্বোডিয়ান-এম ২৩ জাতের কাজুবাদাম চারা বিতরণে চাষ শুরু হয়েছে। প্রায় ৪ বছরে বেশ কয়েকটি প্রদর্শনী বাগানে বাদাম পাকতেও শুরু করেছে। বাগানে এখন থোকা থোকায় ঝুলছে কাজুবাদাম। এসব গাছ থেকে ৫০ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত ফল পাওয়া যাবে। কাজুবাদামের বাজারমূল্য প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। তবে প্রসেসিং ছাড়া ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি। বাদাম পাকার পর ওপরের অংশ আপেলের মতোই খাওয়া যায়। নিচের অংশ যান্ত্রিক ব্যবস্থাপনায় বাদাম বের করা যায়। শেরপুর পাহাড়ের মাটি খুব উৎকৃষ্ট। তাই অল্প সময়েই গাছগুলোয় বাদাম আসতে শুরু করেছে। আগামীতে ফলন আরো বাড়বে এমন আশা বাগান মালিকদের। পাহাড়ে আমদানিনির্ভর উচ্চমূল্যের কাজু বাদামের চাষ হচ্ছে খবরে অনেকে কৃষি উদ্যোক্তা ও বেকার যুবকরা আসছেন বাগান দেখতে। তারাও বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক কাজুবাদাম চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছে। অনেকেই হাতির আক্রমণের ভয়ের কথাও জানাচ্ছেন। তবে কাটাতারের বেড়া দিয়ে হাতির আক্রমণ ঠেকানো যায়। কাজুবাদাম চাষে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব বলে কৃষি বিভাগ ও স্থানীয়রা জানান।
ঝিনাইগাতীর গজনির বাগান মালিক সোয়েব হাসান সাকিল বলেন, কৃষি বিপ্লবের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছি। কৃষি বিভাগের এই পাইলট প্রকল্পে কাজুবাদাম চাষ। আমার বাগানে ২ বছর থেকে ফুল আসলেও এবার ফল হয়ে পাকতে শুরু করছে। ৫০ শতকে ২০০ গাছ রয়েছে। তিন বছরে সব মিলে ১০ লাখ টাকার মত খরচ হয়েছে। আশা করছি আগামী বছর থেকে ফলন বাড়বে। প্রতি গাছে ১৫ থেকে ২০ কেজি করে বাদাম পাওয়া যাবে। ৮০০ থেকে হাজার টাকা কেজিতে বাদাম বিক্রি করা যাবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক ড. সুকল্প দাস বলেন, উচ্চ মূল্যের কাজুবাদাম দেশে নতুন অর্থকরী ফসল। কৃষি বিভাগ উৎপাদন বাড়াতে এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে। দেশে এ ফসলের ঘাটতি রয়েছে। অথচ কাজুবাদাম আমদানিতে প্রচুর টাকা ব্যয় হয়। আমদানি নির্ভরতা কমাতে, দেশকে সমৃদ্ধ করতে, এ ফসলকে শেরপুরের গারো পাহাড়সহ পুরো দেশে ছড়িয়ে দিতে কৃষি বিভাগ কাজ করছে। তবে হাতির উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ করা গেলে কৃষকদের মাঝে কাজুবাদাম চাষে ব্যাপক সাড়া জাগবে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এগিয়ে কুমারা দিসানায়েকে
ড. ইউনূস-জো বাইডেন বৈঠক হবে নিউইয়র্কে
ফ্রিজের ভেতর থেকে মিলল তরুণীর ৩০ টুকরা লাশ
খলিস্তানপন্থীদের সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন কর্তারা, সফরের আগেই অস্বস্তিতে মোদি
আওয়ামী দুর্বৃত্তায়ন ও দুর্নীতি র আতুঁড়ঘর ‘পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক’
বড় ব্যবধানে হেরে এএফসি বাছাই শুরু যুবাদের
যাত্রাবাড়ীতে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ১
বজ্রপাতে এক দিনে ৯ জনের মৃত্যু
রফিকের রেকর্ড ভাঙলেন সাকিব
লেবাননে ভয়ঙ্কর পেজার বিস্ফোরণ, নেপথ্যে হাত ভারতীয় বংশোদ্ভূতের!
ছাগলনাইয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত,আহত ১
তামিমকে টপকে শীর্ষে মুশফিক
শেষ মিনিটের গোলে পয়েন্ট হারাল মায়ামি
ভিনিসিউস-এমবাপ্পে ঝলকে রিয়ালের বড় জয়
ফের বিবর্ণ ইউনাইটেড হারাল পয়েন্ট
দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা
এবার বুন্দেসলীগায়ও বায়ার্নের গোল উৎসব
দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা
দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও অজিদের অনায়স জয়
প্লটবঞ্চিত পূর্বাচলের আদিবাসিন্দাদের ৩শ’ ফুট সড়কে অবস্থান : বিক্ষোভ অব্যাহত