ঘটনাবহুল দিনে সারা দেশের অফিস আদালতে চলে পূর্ণ কর্মবিরতি
১৫ মার্চ ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৪, ১২:০৪ এএম
১৫ই মার্চ, ১৯৭১। মার্চের উত্তাল দিনগুলোর ১৫তম দিন ছিল আজ। এই দিনটি ছিল ঘটনাবহুল। এই দিনে সারা বাংলার অফিস-আদালতে পূর্ণ কর্মবিরতি চলে। রাজধানী ঢাকায় দিনব্যাপী সভা ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। অপর দিনে এই দিন কড়া নিরাপত্তায় পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঢাকায় আসেন। এ সফরে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোন সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা ছিল না।
এই দিনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সরকারি ও বেসরকারি ভবনের শীর্ষে এবং যানবাহনে কালো পতাকা ওড়ে। বঙ্গবন্ধুর ডাকা অসহযোগ আন্দোলনে আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। এ আন্দোলন তত দিনে অস্তিত্বের লড়াইয়ে পরিণত হয়ে গেছে মুক্তিকামী বাঙালির কাছে। প্রতিপক্ষের আঘাতের জবাব দেয়ার জন্য তখন প্রস্তুত সবাই। এই দিন রাতে ঢাকায় প্রাদেশিক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ বিবৃতির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের ব্যাখ্যা করে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এ আহŸানে জনগণের নিরঙ্কুশ সাড়া পাওয়া গেছে।
এ দিনে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বৈঠক করতে প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান কড়া নিরাপত্তার মধ্যে করাচি থেকে ঢাকায় আসেন। বিমানবন্দরে সামরিক গভর্নর লে. জেনারেল টিক্কা খান তাকে স্বাগত জানান। তবে কোনো সাংবাদিক ও বাঙালিকে এ সময় বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
এই দিনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বেতার ও টিভি শিল্পীরা দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হয়। ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পরিবেশন করা হয় গণসঙ্গীত ও পথনাটক। নতুন সামরিক বিধি জারির প্রতিবাদে স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে ছাত্র সভার আয়োজন করে। সভায় ছাত্র নেতারা অবিলম্বে বাংলাদেশ থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের জন্য প্রেসিডেন্টের প্রতি আহŸান জানান। দেশবাসীকে তাদের অধিকার বঞ্চিত করার প্রতিবাদস্বরূপ শিল্পী-বুদ্ধিজীবীরা তাদের খেতাব বর্জন অব্যাহত রাখেন। চারদিকে শিল্পী-বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে এ নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়। শিল্পাচার্য জয়নুলের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে সাংবাদিক-সাহিত্যিক আবুল কালাম শামসুদ্দীন ও অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী তাদের রাষ্ট্রীয় খেতাব বর্জন করেন। বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে খেতাব বর্জনের বিষয়টি ব্যাপক সাড়া ফেলে।
পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো করাচিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে নতুন দাবি উত্থাপন করে বলেন, কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও পিপলস পার্টির সমন্বয়ে কোয়ালিশন সরকার গঠন করতে হবে। এ নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। করাচিতে এক জনসভায় কয়েকজন পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতা বলেন, ভুট্টো পশ্চিম পাকিস্তানের পক্ষ থেকে অনেক কথাই বলেছেন। কিন্তু তিনি ভুলে গেছেন তার পিপলস পার্টি এ অঞ্চলে শতকরা আটত্রিশ ভাগ ভোটও পায়নি। তারা বলেন, ক্ষমতা লাভ করার জন্য আওয়ামী লীগই একমাত্র দল।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
হেলিকপ্টারের তেল শেষ! ভোটপ্রচারে যেয়ে বিপাকে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
নির্বাচনের পর শ্রীলঙ্কায় কারফিউ জারি
রামাল্লায় ভারী অস্ত্র নিয়ে আল জাজিরা অফিসে ইসরাইলি সেনাদের হানা
শান্ত-সাকিবের সাবধানী শুরু
ট্রাম্পের সঙ্গে আবারো মুখোমুখি হতে চ্যালেঞ্জ কমলার
পরিচারককে অপমান! মেয়েকে ‘শিক্ষা’ দিতে গিয়ে বিপাকে রণবীরের বোন
হার্ট অ্যাটাক করেছেন মাহমুদুর রহমান মান্না, হাসপাতালে ভর্তি
দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধে অচল তিন পার্বত্য জেলা
যুক্তরাষ্ট্র পৌঁছে প্রথম দিনেই বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে যে আলোচনা হলো মোদির
পাগড়ি বিতর্কে সাফাই দিয়ে বিজেপিকে তোপ রাহুলের
ড. ইউনূসকে মার্কিন চার সিনেটরের চিঠি, যা জানা গেল
পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ড. জাকির নায়েক
খালেদা জিয়া মানসিকভাবে অনেক শক্ত : মুশফিকুল আনসারী
স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর থানায় স্বামীর আত্মসমর্পণ
বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৭
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় নিহত আরও শতাধিক ফিলিস্তিনি
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এগিয়ে কুমারা দিসানায়েকে
ড. ইউনূস-জো বাইডেন বৈঠক হবে নিউইয়র্কে
ফ্রিজের ভেতর থেকে মিলল তরুণীর ৩০ টুকরা লাশ
খলিস্তানপন্থীদের সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন কর্তারা, সফরের আগেই অস্বস্তিতে মোদি