বাংলাদেশে গুম-খুন মানবাধিকার লংঘন নিয়ে জাতিসংঘে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফেডারেশনের মৌখিক বিবৃতি
২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:০৬ এএম
গত ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফেডারেশন (এফআইডিএইচ) বাংলাদেশের বিষয়ে সার্বজনীন পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনার (ইউপিআর) দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের (ইউএন) মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৫তম অধিবেশন চলাকালীন একটি বিবৃতি প্রদান করে। বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকারের জোরপূর্বক গুম, নির্যাতন, মৃত্যুদÐ এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়মুক্তি, সেইসাথে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা এবং এলজিবিটিআইকিউ জনগণের অধিকার সহ গুরুতর মানবাধিকার লংঘনগুলিকে মোকাবেলা করতে অস্বীকৃতির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। তারা দীর্ঘস্থায়ী মানবাধিকার লংঘনগুলি মোকাবেলায় সরকারকে চাপ দেয়ার জন্য জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলির প্রতি আহŸান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফেডারেশন (এফআইডিএইচ) বাংলাদেশে গুরুতর মানবাধিকার লংঘনের বিষয়ে জাতিসংঘের অনেক সদস্য রাষ্ট্রের উদ্বেগকে বৈধতা দেয়ার পাশাপাশি এবিষয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের একজন সদস্য হয়েও বাংলাদেশ সরকারের এহেন আচরণ অশোভনীয়। মানবাধিকার লংঘন ও সুশীল সমাজের ওপর দমনপীড়ন সার্বজনীন পর্যালোচনার দাবি রাখে।সরকার আবারও বলপূর্বক গুমের ঘটনা অস্বীকার করেছে। পাশাপাশি বলপূর্বক গুম থেকে সকল ব্যক্তির সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক কনভেনশন এবং নির্যাতনের বিরুদ্ধে কনভেনশনের প্রটোকলের সমস্ত সুপারিশ গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে। উপরন্তু, সরকার মৃত্যুদÐ সংক্রান্ত সমস্ত সুপারিশ গ্রহণ করেনি, তারা বিস্ময়করভাবে মৃত্যুদÐকে ‘শাস্তির একটি বৈধ রূপ’ হিসাবে বর্ণনা করেছে।
লিঙ্গ সমতার বিষয়ে, সরকার সমস্ত সুপারিশ গ্রহণ করেনি। সুপারিশে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার আহŸান জানানো হয়েছিল। নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত কনভেনশনের ধারা ২ এবং ১৬ থেকে সংরক্ষণ প্রত্যাহার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে অস্বীকার করেছে বাংলাদেশ সরকার। পাশাপাশি সরকার এলজিবিটিআইকিউ জনগণের অধিকার সম্পর্কিত সমস্ত সুপারিশ গ্রহণ করতেও অস্বীকার করেছে, যা এটিকে ‘একটি ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, নৈতিক সমস্যা’ হিসাবে গুরুত্ব দেয়।
সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের সুপারিশ গ্রহণ করার পরেও দেশের জাতীয় নির্বাচন ‘উপহাসে’ পরিণত হয়েছে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সরকারের রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন এবং সুশীল সমাজের উপর আক্রমণের কারণে বিঘিœত হয়েছিল। এটাও উপহাসের বিষয় যে, সরকার সুশীল সমাজের কর্মী, আইনজীবী এবং সাংবাদিকদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও আটক থেকে রক্ষা করার সুপারিশ গ্রহণ করেও সব ধরনের ভিন্নমতকে নীরব করার জন্য বিচার ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে চলেছে। প্রবাসে ভিন্নমতাবলম্বীদের ভয় দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে দেশে মানবাধিকার রক্ষাকারীদের অপরাধীর তকমা দেয়া হচ্ছে। আমরা জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে দীর্ঘস্থায়ী মানবাধিকার লংঘন, দায়মুক্তির অবসান, জবাবদিহিতা, ক্ষতিপূরণ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের পুনরাবৃত্তি না হওয়ার গ্যারান্টি নিশ্চিত করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায়বিচার প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দেওয়ার আহŸান জানাই।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
এসএসসির ফল কবে, জানা গেল সম্ভাব্য তারিখ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপতথ্যের বিস্তৃতি মোকাবেলার কৌশল নিয়ে বাংলাদেশ-মরিশাস আলোচনা
কুবিতে পুনরায় ক্লাস চলমান রাখার সিদ্ধান্ত শিক্ষক সমিতির
আ’লীগ সরকার কৃষিবান্ধব সরকার-সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক এমপি
টানা দুদিন চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস;
৫ ম্যাচ টি-২০ সিরিজের ট্রফি উম্মোচন হলো সিলেটে
কুমিল্লায় কন্যা অপহরণের মামলা করে ঘর ছাড়া বাবা-মা
মথুরার শাহী মসজিদ ভাঙ্গার ঘোষণা বিজেপিরভারতের মুসলিম ভোটাররা অস্তিত্ব সঙ্কটে
বিপিজেএ রাজশাহী শাখার দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি তোতা,সাধারণ সম্পাদক সামাদ নির্বাচিত
বর্তমান সরকার শ্রমিক বান্ধব সরকার : মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী
বাংলাদেশে আগামী মাসে ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইথিওপিয়ান এয়ার ও এয়ার চায়না
বাবরদের উপর ক্ষেপেছেন রমিজ
দাবদাহে ঢাকায় উৎপাদনশীল খাতে বছরে ক্ষতি ২৭০০ কোটি ডলার
মাদারীপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০
রাজশাহী বাঘায় পুকুর থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
ম্যাগার্ক তাণ্ডবে দিল্লির রেকর্ড ২৫৭
পাবনায় বৃষ্টির জন্য বিভিন্ন স্থানে ইস্তেসকার নামাজ ও দোয়া
রাজশাহীর মোহনপুরে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ব্যাক্ষা প্রদানের নোটিশ
না.গঞ্জের আলোচিত সাত খুনের ১০ বছর