ঈদের দিন রাজধানীর সদরঘাটে পন্টুনে বাঁধা লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পাঁচজন নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে তদন্ত কমিটি নিয়ে সদরঘাটের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

বিআইডব্লিউটিএ এর পরিচালক জানান, দড়ি ছিঁড়ে মৃত্যুর ঘটনা হৃদয়বিদারক। যদি এই দড়ির কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়, তাহলে কেন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি তা অনুসন্ধান করা হবে। এই ঘটনায় জড়িত বা কারো গাফিলতি প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রফিকুল ইসলাম বলেন, সদরঘাটের অব্যবস্থানা আগের থেকেও অনেক উন্নত হলেও কিছুটা ঘাটতি আছে। সেই ঘাটতি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে ১১ নং পন্টুনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে একই পরিবারর স্বামী-স্ত্রী সন্তানসহ পাঁচজন নিহত হন।

নিহতরা হলেন, মো. বেলাল (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা (২৪) এবং তাদের চার বছর বয়সী মেয়ে মাইশা। নিহত অপর দুজন হলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের তরুণ রবিউল (১৯) এবং পটুয়াখালীর রিপন হাওলাদার (৩৮)।

জানা যায়, ঘাটে বাঁধা টিপু-১৩ ও তাশরিফ-৪ লঞ্চের মাঝ দিয়ে ঢুকতে যায় ফারহান-৬ নামের একটি লঞ্চ। এ সময় ফারহান ধাক্কা দেয় টিপুকে। আর টিপুর ধাক্কায় তাশরিফের রশি ছিঁড়ে যায়। রশির বাড়িতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এ ঘটনায় এমভি তাসরিফ-৪ ও এমভি ফারহান-৬ এর রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে। একইসাথে লঞ্চ দু’টির ম্যানেজার, কর্মচারীসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।