স্বাধীনতা সূচকে ১৬৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪১তম
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৫ এএম | আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৫ এএম
স্বাধীনতা সূচকে ১৬৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৪১তম অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস।
তথ্য-উপাত্তে দেখা গেছে, ফ্রিডম ইনডেক্সে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও আইনি নির্দেশকে বাংলাদেশের অবস্থান টানা ২২ বছর ধরে নিম্নমুখী।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি থিংক ট্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মৌলিক স্বাধীনতা জোরদার করা গেলে দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়।
প্রতিবেদনে দুটি পৃথক সূচক রয়েছে- স্বাধীনতা সূচক ও সমৃদ্ধি সূচক। বিশ্বের ১৬৪টি দেশের স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধির ধরন অনুযায়ী ক্রম বা অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
মার্কিন দূতাবাসের বক্তব্যে বলা হয়, স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের ১৪১তম অবস্থান। এটি ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বাধীনতাবঞ্চিত’ বিভাগের মধ্যে পড়ে। অন্যদিকে সমৃদ্ধি সূচকে ১৬৪টি দেশের মধ্যে ৯৯তম অবস্থান নিয়ে দেশটি ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসমৃদ্ধ’ শ্রেণিতে রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) এবং দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে আটলান্টিক কাউন্সিলের নতুন গ্লোবাল ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি প্রতিবেদনের ফলাফল নিয়ে ‘সমৃদ্ধি ও সুশাসন সম্মেলন’ আয়োজন করে।
সম্মেলনে সরকার, নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী, দাতা, একাডেমিয়া ও থিংক ট্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, ‘প্রতিটি দেশই দুর্নীতির বিপক্ষে এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার সুরক্ষিত করতে লড়াই করছে। সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া নয়, সমস্যা সক্রিয়ভাবে স্বীকার করা এবং তা মোকাবেলাই মূল বিষয়।’
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আটলান্টিক কাউন্সিলের ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি সেন্টারের পরিচালক জোসেফ লেমোইন।
তিনি প্রতিবেদনটির মূল ফলাফল তুলে ধরেন। প্রতিবেদনে স্বাধীনতা সূচকের মাধ্যমে দেশগুলোর গণতান্ত্রিক ও শাসনবিষয়ক নির্দেশকগুলো পরিমাপ, ক্রম নির্ধারণ করা এবং সমৃদ্ধি সূচকের মাধ্যমে একটি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি পরিমাপ করা হয়েছে।
লেমোইন বলেন, ‘যেসব দেশে স্বাধীনতা বেশি রয়েছে সেসব দেশ সমৃদ্ধির ক্ষেত্রেও উচ্চস্তরে অবস্থান করে। অন্যদিকে কম স্বাধীনতা পাওয়া দেশগুলো সমৃদ্ধিতেও নিম্নস্তরে অবস্থান করে। শক্তিশালী আইনি ব্যবস্থার পাশাপাশি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা প্রচারকারী দেশগুলোর পরিবেশ এমন থাকে যা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করে। এই দেশগুলো কম স্বাধীনতার দেশগুলোর চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি পরিমাণে বিদেশী প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ পায়।’
অর্থাৎ স্বাধীনতার প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতি বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার মূল চাবিকাঠি হিসেবে স্বাধীনতা সূচকে উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গণতন্ত্রের লড়াই থেকে জন্ম নেয়া বাংলাদেশ ভবিষ্যতের দিকেই বেশি নজর দিচ্ছে।
২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার কৌশলগত রূপরেখা উচ্চাভিলাষী রূপকল্প ২০৪১ এজেন্ডায় তুলে ধরেছে বাংলাদেশ।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সামাজিক অগ্রগতির পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর জোর দেয়া এই পরিকল্পনা নাগরিকদের ক্ষমতায়ন এবং তার গণতান্ত্রিক ভিত্তিকে দৃঢ় করার ওপর জোর দেয়।
সূত্র : ইউএনবি
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ভারতকে ৩৭৬ রানে গুটিয়ে দিল বাংলাদেশ, হাসানের ৫
লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরো ১৫০ অনিয়মিত বাংলাদেশি
দোয়ারাবাজার সীমান্তে মহিষসহ মাছের চালান জব্ধ
সিলেটে ১৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার, নারী গ্রেফতার
আশ্বিনকেও ফেরালেন তাসকিন
কক্সবাজার পাহাড়তলীতে অনৈতিক কাজে অতিষ্ঠ মানুষ, বাধা দেয়ায় বাসার মালিকের উপর হামলা
অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির খসড়া পাঠিয়েছে ইইউ
তাসকিনের জোড়া আঘাত, লিটনের রেকর্ড
ডিবির আলোচিত সাবেক ডিসি মশিউর গ্রেফতার
১৯৯ রানের জুটি ভাঙলেন তাসকিন
গণপিটুনিতে দুই মাসে ৩৩ জনের মৃত্যু
ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় প্রশ্ন তুললেন জয়
মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশন খুলছে আজ
বিচিত্রার সম্পাদক দেওয়ান হাবিব আর নেই
জাবিতে ছাত্রলীগ নেতা শামীম হত্যা : ৮ শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
তোফাজ্জলকে হত্যার আগে ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা চাওয়া হয় পরিবারের কাছে
বিশ্বের কাছে ১২টি পরমাণু গবেষণার ও স্থাপনা উন্মুক্ত করবে চীন
এবার রাবির শেরে-বাংলা হল থেকে লাঠিসোঁটা-হকিস্টিক উদ্ধার
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস
লেবাননে এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলা ইসরায়েলের