গারো পাহাড়ে রকমেলন চাষে বাজিমাত
২৪ মে ২০২৪, ১২:১৫ এএম | আপডেট: ২৪ মে ২০২৪, ১২:১৫ এএম
গত কয়েক বছর আগে থেকেই মরুভ‚মির সুস্বাদু ও মিষ্টি জাতের রকমেলন ফলের আবাদ শুরু হলেও শেরপুরের গারো পাহাড়ে গতবছর থেকে চাষ শুরু হয়েছে। রকমেলন মরু অঞ্চলের একটি ফল।
শেরপুরের গারো পাহাড়ে এ ফল চাষে বাজিমাত করেছেন উদ্যোক্তা আনোয়ার হোসেন জানান, গত বছর চাষ করে লাভবান হয়ে এবারো সফলতা পেয়েছেন। নতুন জাতের এই মরু ফলের চাষ হওয়ায় ফলের বাগান দেখতে আসছেন আশপাশের এলাকার আগ্রহী কৃষকরা। তার কাছ থেকে চাষের পরামর্শ নিচ্ছেন অনেকে। এই জাতের রকমেলন ফলের বাইরের অংশ সবুজ এবং ভেতরে হলুদ। অন্য জাত বাইরের অংশ হলুদ ও ভেতরে লাল। দুই জাতের ফলই খেতে মিষ্টি, সুস্বাদু ও সুগন্ধযুক্ত। দশ শতাংশ জায়গায় ইস্পাহানির রকি জাতের রকমেলন মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করেছেন আনোয়ার হেসেন। ৩ মাসের ব্যবধানে অল্প জায়গায় খরচ হয় ২৮ হাজার টাকা। শুরুতেই বিক্রি করেছেন প্রায় লাখ টাকা।
বাগানে গিয়ে দেখা যায়, সুতায় তৈরী মাচায় ফুলে-ফলে ভরে গেছে রকমেলন বা সাম্মাম ফল। নানা আকারের পাকা-আধাপাকা কয়েকশ ফল ঝুলছে। সবুজ থেকে হলুদ বর্ণ ধারণ করছে ফল। গাছের গোড়ার অংশের মাটি মালচিং পেপার দিয়ে ঢাকা। সহকর্মীসহ উদ্যোক্তা আনোয়ার গাছ থেকে ফল উঠিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সাধারণ গ্রাহকদের নিকট বিক্রির জন্য প্রস্তুত করছেন।
এই তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা জানান, এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি ছেড়ে কয়েক বছর আগে বাড়ি এসে বাবার সঙ্গে সবজি চাষ শুরু করি। সবজির পাশাপাশি নতুন কিছু চাষ করার চেষ্টায় ইউটিউব থেকে রকমেলন সম্পর্কে ধারণা পাই। উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় শুরু করি পরীক্ষামূলক চাষ। প্রথমবারেই সফল হয়েছি। এ বছর ফেব্রæয়ারি মাসে ১০ শতক জমিতে বীজ রোপণ করি। মাত্র ১ মাসেই গাছে ফুল আসতে শুরু করে। এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে ফল পাকতে শুরু করে। মাত্র ৩ মাসেই বাজারে বিক্রির উপযোগী হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভাল। ফল চাষে খরচ হয়েছে ২৮ হাজার টাকা। ইতোমধ্যেই ৮৫ হাজার টাকার বিক্রি করেছি। বাগানে যে পরিমাণ ফল এসেছে তাতে আরো লাখ টাকার ফল বিক্রি করতে পারবো।
স্থানীয় পাইকাররা জানান, ফল ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজিতে খুচরা বিক্রি করা হয়। ২০০ টাকা কেজি দরে বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকারি ক্রয় করি। বাইরের জেলা থেকে কিনলে খরচ বেশি হয়। এখানকার ফলগুলো আমাদের জেলায় বেশি উৎপন্ন হলে আমাদেও লাভ গ্রাহকদেরও লাভ।
ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. হুমায়ুন দিলদার জানান, দেশে ফলটি সাম্মাম হিসাবে পরিচিতি পেলেও এটা রকমেলন বা হানিডিউ মেলন ফল। সাম্মাম বা রকমেলন জাতীয় ফলগুলো জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না। পানি আটকে থাকলে গাছের গোড়া পচে গাছ মারা যায়। তাই মরুভ‚মিতেই আবাদ হয়। তবে গারো পাহাড়ের মাটির বিশেষ গুণ হচ্ছে, পানি আটকে না। তাই রকমেলন চাষ ও ফলন ভাল হচ্ছে। অনেক কৃষকই এই বিদেশি ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভ‚ইয়া জানান, আনোয়ার একজন তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা। তিনি পরীক্ষামূলকভাবে রকমেলন চাষ করে সফল হয়েছেন। স্থানীয় কৃষি বিভাগ তার বাগান নিরাপদ রাখতে সব ধরনের সহযোগিতা করছে। তার চাষ দেখে আশপাশের অনেকেই রকমেলন চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। এই ফলের চাষে লোকসানের ভয় নেই।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ব্র্যান্ডেনবুর্গের নির্বাচনে এক নম্বর দল হতে চলেছে এসপিডি
জম্মুর হিন্দুদের দিয়ে অধিকৃত কাশ্মীর জেতা বিজেপির পক্ষে সম্ভব হবে?
রাজবাড়ীতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু স্বামী আটক
কর্মস্থলে অনুপস্থিত পুলিশ সদস্যদের বিধি অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে: ডিএমপি
কক্সবাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার মিছিলে গুলি বর্ষণকারী চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আটক
মহিপুরে ইটালী পরিবহন রাস্তার বাইরে আহত -১৫
কমবে গরম, বাড়বে বৃষ্টি
কুলাউড়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কর্মচারী নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ
রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত করেছিল ইসরাইল
হাসিনা-রেহানাসহ ৭১ জনের নামে মামলা, তদন্তে পিবিআই
ঢাকাসহ সব মেট্রোপলিটনে সাতদিনই বাসে হাফ ভাড়া দিতে পারবেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে একজনকে কুপিয়ে হত্যার অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
রাতের ভোটের কারিগর হেলাল উদ্দিন এখনো গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ কক্সবাজার বাসী
খুলনার ডিসি সাইফুলকে প্রত্যাহারের দাবিতে মানব বন্ধন
পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে ৩০ কর্মকর্তার বদলি
মোহাম্মদপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১
শ্রমিক বিক্ষোভে আশুলিয়ায় ৩৯ পোশাক কারখানা বন্ধ, সড়ক অবরোধ
বরিশাল রেঞ্জের আনসারের উপ-মহাপরিচালক ফখরুলকে বরখাস্ত
সৈয়দপুরে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি ঘরে ঘরে, হাঁসফাঁস জীবন
গাজীপুরে ১২ দফা দাবি জানিয়ে কারখানা শ্রমিকদের বিক্ষোভ