খ্রিস্টান রাষ্ট্র বানানোর চক্রান্ত : যে ষড়যন্ত্র ফাঁস করে প্রশংসায় ভাসছেন প্রধানমন্ত্রী
২৭ মে ২০২৪, ০৭:১১ পিএম | আপডেট: ২৭ মে ২০২৪, ০৭:১১ পিএম

দেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী। এবার দেশের একটি অংশকে খ্রিস্টান রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র প্রকাশ্যে আনলেন স্বয়ং তিনি নিজেই। প্রধানমন্ত্রীর এমন একটি বক্তব্য দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রশাশিত হয়। মুহুর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রবিরোধী ভয়ঙ্কর এই ষড়যন্ত্রটি সামনে নিয়ে আসতেই প্রশংসা ভাসছেন নেটি দুনিয়ায়। অনেকেই শেখ হাসিনার এই বক্তব্যটি শেয়ার করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সেই সাথে তারা এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অতিদ্রুত কঠোর পদক্ষেপ কামনা করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে সরকারী বাসভবন গণভবনে ১৪ দলের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের একটা অংশ নিয়ে খ্রিস্টান রাষ্ট্র বানানোর চক্রান্ত চলছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ফিলিস্তিনের মতো বাংলাদেশের একটা অংশ চট্টগ্রাম, মিয়ানমার নিয়ে খ্রিস্টান স্টেট (রাষ্ট্র) বানাবে।বে অফ বেঙ্গলে (বঙ্গপোসাগরে) একটা ঘাঁটি করবে। তাঁর কারণ হচ্ছে বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরে প্রাচীন কাল থেকেই ব্যবসা বাণিজ্য চলে, আর এই জায়াগটাতে কোনো কন্ট্রোভার্সি নাই, কারও কোনো দ্বন্দ্ব নাই। বঙ্গোপসাগর ভারত মহাসাগরের ভেতরেই একটি উপসাগর, এটা প্রাচীন কাল থেকেই ব্যবহার হচ্ছে। এই জায়গাটার ওপর অনেকের নজর।এটা আমি হতে দিচ্ছি না, এটাও আমার একটা অপরাধ।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যদিও একটা দেশকে দেখানো হয়, কিন্তু আমিতো জানি তারা কোথায় কোথায় হামলা চালাবে, সেটা তো আমি জানি। সে কারণে আমাদের কিছু সমস্যায় পড়তে হচ্ছে, পড়তে হবে জানি, কিন্তু আমি সেটা পাত্তা দেই না। দেশের মানুষ আমার শক্তি, মানুষ যদি ঠিক থাকে তাহলে আমরা আছি।
জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক, কলামিস্ট ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে সাধুবাদ জানিয়ে নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘‘আজকে যে ক্রিস্টিয়ান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা প্রধানমন্ত্রী বললেন, সেই ১৯৯৬ সাল থেকে আমি অবিরত লিখে আসছি এবং বলে আসছি এবং দেশবাসীকে সতর্ক করে আসছি। আমার আগেও অনেকে বিচ্ছিন্নভাবে এ কথা বলেছেন। তাদের লেখালেখি থেকেই এগুলো আমি পেয়েছি। কিন্তু আমার মত করে এভাবে ধারাবাহিক টানা ২৮ বছর কেউ এ বিষয়ে কাজ করেছে কিনা আমার জানা নেই। এটা আমার কোন কৃতিত্ব নয়, বড় মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া ও কৃতজ্ঞতা যে তিনি আমাকে এই কাজের জন্য নির্বাচন করেছেন এবং তৌফিক দিয়েছেন। তিনি চাইলে অন্য যে কাউকে নির্বাচন করতে পারতেন। আমি সৌভাগ্যবান যে তিনি আমাকে নির্বাচন করেছেন এবং এজন্য আমি শুকরিয়া জানাই।
আজকে আমি অত্যন্ত খুশি এজন্য যে, এই দেশের শীর্ষ পর্যায় থেকে এ বিষয়ে বক্তব্য এসেছে। যে কথা আমি দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে লিখে ও বলে আসছি আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুখ থেকে সে কথা প্রতিধ্বনিত হয়েছে। রাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায় থেকে এই বক্তব্য আসায় এখন এই দৃষ্টিভঙ্গি রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ে পৌঁছে যাবে। সমগ্র মানুষ বিষয়টি জানতে পারবে। ফলে সারাদেশে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি হবে। ধীরে ধীরে অন্যান্য রাজনৈতিক দলও এ বিষয়ে মুখ খুলবে এমনটা আমার প্রত্যাশা। মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা যে তিনি এই সচেতনতা তৈরীর যে অবিশ্রান্ত লড়াই তার কিঞ্চিত সাফল্যের ভাগীদার আমাকে করেছেন। এখন এই দায়িত্ব সমগ্র দেশবাসীর। কারণ তারা সবাই বিষয়টি এখন জানেন। দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে রাষ্ট্রের অখণ্ডতা রক্ষার এই লড়াই তাদেরও। মুসলিম হিসেবে খ্রিস্টবাদী চক্রান্ত রুখে দেয়ার ঈমানী দায়িত্ব তাদেরও। শুধু মুসলিম নয়, এ দায়িত্ব হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানদেরও। দেশ প্রেমিক হিসেবে এই রাষ্ট্রের অখণ্ডতা রক্ষা দেশের ১৮ কোটি মানুষের নৈতিক ও জাতীয় দায়িত্ব।’’
ধন্যবাদ জানিয়ে নেজামুল ইসলাম লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি এই কথা বোঝার কারণে আপনাকে ধন্যবাদ। যেভাবে সম্ভব চট্টগ্রামে ব্যাপকভাবে দাওয়াহর কাজ করার সুযোগ দিন। সেনাবাহিনীকে তাদের পাশে থেকে সমর্থন জানানোর সুযোগ দিন, এবং সেনাবাহিনীর ব্যাপক হারে সেখানে ক্যাম্প নির্মাণ করুন। ইনশাআল্লাহ খৃষ্টান মিশনারীরা সেখান থেকে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হবে।
আতিকুর রহমান কামালি লিখেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী দেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তি। গতকাল থেকে তার একটি বক্তব্য আমরা দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে ঘুরে বেড়াতে দেখছি। তিনি বলেছেন, চক্রান্ত এখনও আছে। পার্বত্য চট্রগ্রাম এবং মিয়ানমারের একটি অংশ নিয়ে খ্রিস্টান দেশ বানাতে চাচ্ছে একদল!
একথা আসলে নতুন কিছু না। বাংলাদেশপ্রেমী আলেমগণ অনেক আগ থেকেই এ কথা বলে আসছেন। বেশি দূর যাওয়ার দরকার নেই। ১১ বছর আগে হেফাজতে ইসলাম যে ১৩ দফা কর্মসূচি দিয়েছিল, তার মধ্যে ১০ তম দফা ছিল, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত এনজিও এবং খ্রিস্টান মিশনারিগুলোর ধর্মান্তকরণসহ সব অপতৎপরতা বন্ধ করা।বাংলাদেশের আলেমগণ ৯০ এর দশকে এন,জি,ও বিরোধী আন্দোলন করেছেন। মানুষদের সতর্ক করেছেন।
আলেমদের পশ্চাদপদ ভেবে অনেকে কথাগুলো শুনতে চায় নি। অথচ আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও একই কথা বললেন।
পাহাড়ে দাওয়াতি কাজ বেগমান করা দরকার। নানাভাবে সরল সহজ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। সরকারের উচিত সেবার নামে আসা এন,জি,ওদের লাগাম এখনই টেনে ধরা। সময় চলে গেলে পার্বত্য চট্রগ্রাম নিয়ে আফসোসের শেষ থাকবে না।’’
মোঃ আমির হোসাইন লিখেছেন, সব বিষয় নিয়ে হাসিতামাশা করা ঠিক না। এই কথাটা ১০০% রাইট।
যারা জানেন না ভালো করে খোঁজ নিয়ে দেখুন।পার্বত্য অঞ্চলে পশ্চিমা এনজিওগুলা কোটি কোটি টাকা দিচ্ছে উপজাতিদের খ্রিস্টান বানানোর জন্য।রাষ্ট্রীয় ভাবে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।আর যদি পারেন যারা সেসব এলাকায় আছেন এসবের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেন নিজের অবস্থান হতে।
মোঃ শফিক হাসান লিখেছেন, সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আমেরিকার প্রায় ৭৫০+ সামরিক ঘাটি রয়েছে, বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে ও তারা সামরিক ঘাটি করতে ইচ্ছুক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণতায় আমেরিকা বাংলাদেশে সামরিক ঘাটি করার সুযোগ পাচ্ছে না এটা ১০০% সঠিক।
মুহাম্মাদ উজ্জ্বল লিখেছেন, এই ব্যপারে আমি শেখ হাসিনার পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্রের ফিউচার প্লান নস্যাৎ করতে হবে নইলে পরবর্তী স্নায়ুযুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দু হবে বে অব বেঙ্গল।যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গোপসাগরে এয়ার বেইস করে মিয়ানমারে হামলা চালাতে চায়। এতে মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো খারাপ হবে। আবার দেখা গেল ভবিষ্যতে চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরনের দ্বন্দ্ব হলে ওরা চাইবে চীনকে ভারত মহাসাগরে ব্লক দিতে এতে সবচেয়ে চাপে থাকবে বাংলাদেশ।
তানিব কামাল লিখেছেন, এসমস্ত সিদ্ধান্ত গুলোর জন্যেই আপনাকে ভালো লাগে️। ১০০% বিচক্ষণ আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গহীন পাহাড়ে এখন খৃষ্টান ধর্মালম্বীর সংখ্যা অনেক।
মোহাম্মাদ রাশিদুল ইসলাম লিখেছেন, তবে এই সমস্যা এখন সিরিয়াস আকার দিচ্ছে আমেরিকা। তারা এই দেশের পিছনে মারাত্মকভাবে লেগেছে যা আমরা এখনো উপলব্ধি করতে পারছি না। আর আমেরিকা যার পেছনে একবার লাগে তাকে ধ্বংস না করে ছাড়বে না।এই দেশের মানুষের পাটা আর শীলের মাঝে পরছে! ২ দিকেই বিপদ!
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাবের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

জিআই পণ্য বাণিজ্যিকভাবে বিকশিত করতে হবে : শিল্প উপদেষ্টা

সকল পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে সোচ্চার সিলেটের ব্যবসায়ীরা

আশুলিয়ায় রোকসানা হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা সোহাগকে গ্রেফতার

জকিগঞ্জের হাজীগঞ্জে ফ্রি খতনা কার্যক্রম সম্পন্ন

বিভিন্ন সম্প্রদায়ের হারিয়ে যাওয়া মাতৃ ভাষাগুলোকে পাঠ্য বইয়ে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করতে হবে: পার্বত্য উপদেষ্টা

আগামী ৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশ সফল করতে মানিকগঞ্জে হেফাজতের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ

ইবিতে মারধরের শিকার সেই সাংবাদিক হলের অবৈধ শিক্ষার্থী- হল প্রভোস্ট

আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে ইরানি স্কুলশিক্ষার্থীদের সাফল্য

আনোয়ারায় ধানক্ষেতে ফিল্মি স্টাইলে কৃষক পিটিয়ে লাপাত্তা দুর্বৃত্তরা

বগুড়ায় এনসিপির সমাবেশে দফায় দফায় হাতাহাতি, আওয়ামী লীগ আর রাজনীতি করতে পারবে না: সারজিস আলম

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় প্রথম যৌথ দলিল অনুমোদন করবে ইসলামী দেশগুলো

সাভারে রাজউকের অভিযান, সাতটি বাড়ির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

গফরগাঁওয়ে ছাদ থেকে পড়ে মাদরাসার শিক্ষকের রহস্যজনক মৃত্যু

রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে দুদকের অভিযান, ৯১টি ফাইল উদ্ধার

ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলছে

শেরপুর অবৈধ বালু পরিবহন: ভ্রাম্যমাণ আদালতে ট্রাক চালককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

মসজিদে হত্যাকাণ্ড, ফরাসীদের মুসলিম-বিদ্বেষী আচরণ প্রকাশ পাচ্ছে

বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে ফাতেহা শরিফ শুরু বৃহস্পতিবার সকালে আখেরী মোনাজাত