প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠায় তৃতীয় ধাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের ৪৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা ৬ মাসের জন্য স্থগিতের আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার কোর্ট। এর ফলে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তবে পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা তদন্তের হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আদালত। তদন্ত শেষে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। আদালত বলেছেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় তদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা যাবে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের চেম্বার জাস্টিস এম.ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। সরকারপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো: মোরসেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর আলম। রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
এর আগে গত ২৮ মে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠায় তৃতীয় ধাপে ঢাকা চট্টগ্রাম বিভাগের ৪৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রিটের পক্ষের শুনানিতে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল। আর এই ফাঁস হওয়া প্রশ্নে অনেকে পরীক্ষা দিয়েছে। ইতোমধ্যে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার ফলও প্রকাশিত হয়েছে। এ কারণে পরীক্ষার প্রকাশিত ফল নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনার তদন্ত ও পরীক্ষা প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ের্ রিট করেন ঢাকা ও চট্টগ্রামের কয়েকজন পরীক্ষার্থী।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের (তিনটি পার্বত্য জেলা ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিতদের ভাইভা পরীক্ষা চলমান রয়েছে।