খালেদা জিয়াকে কেবিনে স্থানান্তর
২৫ জুন ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ১২:০৪ এএম
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকালে খালেদা জিয়াকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয় বলে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। ম্যাডামকে মেডিকেল বোর্ড সদস্যরা দেখার পর সবকিছু পর্যালোচনা করে তাকে বিকাল ৪টা ৪৫মিনিটে সিসিইউর সব সুবিধা সম্বলিত কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখানে ডাক্তারদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।
এর আগে শুক্রবার দিনগত রাত সাড়ে ৩টায় গুলশানের বাসা ফিরোজায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া। এরপর তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। এরপর রোববার খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। ৭৯ বছর বয়সি খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।
এদিকে গতকাল প্রফেসর শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসে। তারা বিএনপি চেয়ারপারসনের গত ১২ ঘণ্টা রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করেন। এরপর সিসিইউতে খালেদা জিয়াকে বোর্ড সদস্যরা দেখতে যান। এরপর আবার বৈঠকে করে তাকে কেবিনে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেন।
মেডিকেল বোর্ডের এ বৈঠকে লন্ডন থেকে ডা. জোবায়দা রহমানসহ অষ্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
খালেদা জিয়ার হৃদরোগের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। হার্টে তিনটি বøক ছিল। আগে একটা রিং পরানো হয়েছিল। সবকিছু পর্যালোচনা করে বিদেশি চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে পেসমেকার বসানো হয়েছে বলে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ জানান।
খালেদা জিয়াকে সর্বশেষ গত ২ মে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই সময় তাকে সিসিইউতে রেখে দুদিন চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর আগে গত বছরের ৯ আগস্ট খালেদা জিয়াকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তখন পাঁচ মাসের বেশি সময় চিকিৎসা শেষে গত ১১ জানুয়ারি তিনি বাসায় ফেরেন। এরপর ওই বছরের ২৭ অক্টোবর লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসনের রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। তার স্বাস্থ্য কিছুটা স্থিতিশীল হলে সে দফায় পাঁচ মাসের বেশি সময় পর তাকে বাসায় নেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রæয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায়র কারাদÐের সাজা পেয়ে খালেদা জিয়া কারাগারে যান। পরে একই বছরের অক্টোবরে হাইকোর্টে আপিলে সাজা বেড়ে দ্বিগুণ হয়। সেই মাসেই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ৭ বছরের সাজা হয় তার। সেই থেকে প্রায় দুই বছর জেলে ছিলেন তিনি। পরে মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়ার দÐ স্থগিত করে দুটি শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
প্রথমটি হলো, তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। দ্বিতীয় শর্তটি হলো, তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। তখন করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে তার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাস অন্তর অন্তর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
লক্ষ্মীপুরের মান্দারীতে দুই হোটেল মালিকের জরিমানা
কালিয়াকৈর পুকুর থেকে নারী ও শিশুর লাশ উদ্ধার
চেয়ারে দাঁড়িয়ে ইয়ানসেনের ইন্টারভিউ নিলেন দুই সঞ্চালক!
আজ নায়ক রাজ রাজ্জাকের ৮৩ তম জন্মদিন
ভর্তির টাকা নেই মেডিকেলে চান্স পাওয়া প্রান্তির
খুলনায় হিফজ এ্যাওয়ার্ড ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
বিএনপিতে চাঁদাবাজ অত্যাচারী ও দখলবাজের কোন জায়গা নেই -আমান উল্লাহ আমান
কুষ্টিয়ায় যুবদল কর্মীকে হুমকি দিয়ে আলোচনায় হাবলু মোল্লা
কুষ্টিয়ায় সেনা অভিযানে অস্ত্র-গুলি-ককটেল উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় ইউসুফ শেখ হত্যা মামলার পলাতক আসামী পুলিশের হাতে আটক
ঈশ্বরগঞ্জে ইউএনও’র সরকারি মোবাইল নাম্বার ক্লোন করে টাকা দাবি
পটুয়াখালীতে ড.মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিল নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়
উত্তরা রাজউক জোনাল অফিস স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন
বড় বড় কোম্পানি বাংলাদেশে ইনভেস্ট করতে চায়: প্রেস সচিব
দেশের স্বার্থে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
বিপ্লবী ছাত্রদের স্বপ্ন ভেঙে পড়ছে বেকারত্বে
মেম্বারকে হত্যার হুমকি দেওয়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
রংপুরকে মাটিতে নামাল রাজশাহী
দাম কমল রিয়েলমি সি৬৩ স্মার্টফোনের
দোয়ারাবাজারে রাস্তা নির্মান কাজে বালু ব্যবহার! কাজ বন্ধ করল এলজিইডি