হুমকিতে ইলিশের প্রজনন
০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম | আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
* বাংলাদেশে চলা নিষেধাজ্ঞার সময় ভারতে ইলিশ ধরা চলে এবং এ সময় পশ্চিমবঙ্গের উপক‚লে বেশি ইলিশ ধরা পড়ে * ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি * সাগরে ভারতের জেলেদের অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ না হওয়ায় মৎস্য আহরণে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার সুফল পাচ্ছে না বাংলাদেশ * ভারত মায়ানমারের সাথে যৌথ পদক্ষেপে নিষেধাজ্ঞার সময় নির্ধারণের দাবি মৎস্যজীবী ও বিশেষজ্ঞদের
দেশীয় অর্থনীতির বিরাট সম্ভাবনাময় খাত ইলিশ। দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনে ইলিশের অবদান ১১ এবং জিডিপিতে ১ শতাংশ। কালক্রমে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের তালিকায়ও জায়গা করে নিয়েছে ইলিশ। ইলিশ উৎপাদনে ১১ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। ওয়ার্ল্ড ফিশের পরিসংখ্যান মতে, ৮৬ শতাংশ ইলিশ বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়, কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে ইলিশের উৎপাদন ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। এর পেছনে দায়ী নদী দখল-দূষণ, বালি উত্তোলন, নাব্য সংকট, জাটকা নিধন, অবৈধ জালের ব্যবহারসহ নানা কারণ।
এ ছাড়া বাংলাদেশে সাগরে ইলিশ মাছ ধরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার সুবিধা পাচ্ছে ভারতের মৎস্যজীবীরা। এক মাসের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে চলা নিষেধাজ্ঞার সময় ভারতে ইলিশ ধরা চলে। এতে বিশেষ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপক‚লে বেশি ইলিশ ধরা পড়ে এমটোই বলছেন দেশের মৎস্যজীবী, বিশেষজ্ঞরা। আর এতে বাংলাদেশে ভরা মৌসুমে ইলিশ কম ধরা পড়ছে বলে মনে করছেন এ দেশের মৎস্যজীবীরা। দেশে ইলিশের উৎপাদন সংকট কাটাতে ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে একটি অভিন্ন সময়ে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার কথা বলছেন দেশের মৎস্যবিজ্ঞানী ও মৎস্যজীবীরা। তবে এ নিয়ে এখনো ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি বাংলাদেশ।
মৎস্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, উল্লিখিত সমস্যাগুলোর দ্রæত সমাধান করা না গেলে আগামীতে ইলিশের উৎপাদন ও প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে শূন্যের কোটায়। অবিলম্বে ইলিশের উৎপাদন হ্রাস রোধ ও উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলোকে খতিয়ে দেখা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সর্বশেষ গত দুই অর্থবছরে দেশে ইলিশ উৎপাদনে প্রবৃদ্ধির হার ১ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির গতি শ্লথ হয়ে আসার পেছনে নদ-নদী দখল, দূষণ, নদীতে পানির প্রবাহ হ্রাস এবং অপরিকল্পিত নৌ-অবকাঠামো এবং ভারত বাংলাদেশে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময়ের ভিন্নতাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ইলিশ ডিম পাড়তে নদীর মোহনায় চলে আসে, কিন্তু সা¤প্রতিক সময়ে নদীতে দখল-দূষণ, ডুবোচর ও বাঁধ-সেতুসহ নানা অবকাঠামোর প্রভাবে নদীতে বিচরণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে মাছটির। ক্রমেই হুমকির মুখে পড়ছে ইলিশের প্রজনন।
মৎস্য বিজ্ঞানী ও মৎস্যজীবীরা মনে করেন, সাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোর বাস্তবতা মেনে বাংলাদেশে চালু থাকা নিষেধাজ্ঞার সময় নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। এ বিষয়ে মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর ইনকিলাবকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ ও প্রতিবেশগত বিষয় মাথায় রেখেই সরকার ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞার সময়ের ভিন্নতায় ভারত সুবিধা ভোগ করছে এ বিষয়টি নিয়ে আমরাও ভাবছি। তবে বিষয়টি নিয়ে ভারতের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনো কথা হয়নি। আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছি।
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে গ্রহণ করতে হবে প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগি পরিকল্পনা এবং পরিকল্পনার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন। মা-ইলিশের ডিম ছাড়া, জাটকা বেড়ে ওঠা এবং পরবর্তী বছরে প্রজনন প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে প্রয়োজন সামগ্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ। এ জন্য নদীর নাব্য সংকট দূর ও নদীকে দখলদারত্ব এবং দূষণমুক্ত করা এবং অভিন্ন সময়ে ভারত ও বাংলাদেশে সাগরে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা এখন সময়ের দাবি।
বাংলাদেশে ইলিশ সুরক্ষায় তিন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা থাকে। এর মধ্যে অক্টোবরে ২২ দিন। এ সময় মা মাছের ডিম ছাড়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এরপর বাচ্চা হলে তার সুরক্ষায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাস নিষেধাজ্ঞা থাকে। মাছের বৃদ্ধির জন্য ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই আবার এক দফায় সাগরে নিষেধাজ্ঞা থাকে। অন্য দিকে ভারতে নিষেধাজ্ঞা থাকে ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত। ১৫ জুন তাদের মাছ ধরা শুরু হয়।
মাৎস্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সাবেক মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ইলিশ গবেষক আনিছুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, এখন আমরা যে সাফল্য পাচ্ছি, তা এই নিষেধাজ্ঞার ফল। নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। এখানে একটা সমস্যা আছে। আমাদের এখানে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই নিষেধাজ্ঞা থাকে। ভারতে নিষেধাজ্ঞা থাকে ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত। ১৫ জুন শুরু হয় তাদের মাছ ধরা। দুই দেশের মাছ ধরারর নিষেধাজ্ঞার সময়ের এই ভিন্নতা দূর করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, আমরা নিষেধাজ্ঞার যে মেয়াদ নির্ধারণ করেছি, তা দীর্ঘ সময়ের পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার ভিত্তিতে। আমাদের জলসীমায় ৮০ ভাগ ইলিশ বিচরণ করে। তাই আমাদের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদই ভারতের মানা উচিত।
ইলিশের প্রজনন উৎপাদন এবং আহরণসহ নানা বিষয় নিয়ে আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যের আলোকে রিপোর্টটি তৈরী করেছেন বিশেষ সংবাদদাতা রফিক মুহাম্মদ। সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন নিচে তুলে ধরা হলো।
বরিশাল থেকে নাছিম উল আলম জানান, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সমুদ্র এলাকায় ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের মৎস্য আহরণ নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও পাশ^বর্তি দেশ ভারতের জেলেদের চোরাগোপ্তা মৎস্য শিকার বন্ধ হয়নি। এমনকি আজ পর্যন্ত প্রতিবেশী ভারত ও মায়ানমারের সাথে অবৈধ মৎস্য শিকার বন্ধে সরকারের পক্ষ থেকে কোন যৌথ পদক্ষেপ গ্রহনেরও উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে বাংলাদেশের গোটা সমুদ্র এলাকায় মৎস্য আহরনে ৬৫ দিনসহ আশি^নের পূর্ণিমার আগে পরে ইলিশের মূল প্রজননকালীন সময়ে উপকূলের ৩ হাজার ৩৪৪ বর্গ কিলোমিটারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভারত ও মায়ানমারের জেলেদের মাছ শিকার বন্ধ থাকছে না। অথচ মৎস্য বিজ্ঞানীগনও প্রতিবেশী দেশের সথে সমন্বয় ও সমতা রেখেই সাগরে মৎস্য আহরন নিষিদ্ধের সময় নির্ধারণের কথা বলে আসছেন।
ভারতে সর্বপ্রথমে ১৯৮৮ সালে ১৫ জুন থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সমুদ্রে মৎস্য আহরন নিষিদ্ধ থাকলেও ২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশ সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের সাগর এলাকায় ১৫ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মিয়ানমারেও জুন থেকে আগষ্ট সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আমাদের সমুদ্র সীমায় আহরণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত। ফলে প্রতিবেশীদের সাথে আমাদের নিষেধাজ্ঞার পরিপূর্ণ সংগতি থাকছে না। উপরন্তু প্রতিবেশী দেশসমুহে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে পদক্ষেপ কঠোর নয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। ফলে বাংলাদেশের সমুদ্র এলাকায় আহরণ নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে ভারত ও মায়ানমারের জেলেরা আমাদের একান্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবৈধ অনুপ্রবেস করে মাছ ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হলেও তেমন কোন প্রতিকার নেই।
এ ব্যাপারে দেশের বিশিষ্ট মৎস্য বিজ্ঞানী ও মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (সামুদ্রিক) ড. মোঃ আবুল হাসনাত জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময়ে মাছধরা বন্ধ রাখা সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের কার্যকরি ব্যবস্থাপনার একটি সহজ ও অত্যন্ত ফলদায়ক পদ্ধতি। যা বিশে^র বিভিন্ন দেশে বাস্তবায়ন হচ্ছে। জাতীসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা-ফাও’এ ইতোপূর্বে কর্মরত ড. হাসনাত সমুদ্রে আহরন নিষেধাজ্ঞার সময়কাল প্রতিবেশী দেশের সাথে সমন্বয় করে নির্ধারনের ওপরও গুরুত্বারোপ করেছেন।
বঙ্গোপসাগরে আহরন নিষিদ্ধকালীন ৬৫দিন কোন ধরনের সামুদ্রিক ট্রলার সহ মাছ ধরার নৌকার পরিচালন ও বিচরন বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করণে মৎস্য অধিদপ্তর নৌপুলিশ, কোষ্ট গার্ড, র্যাব ও নৌ বাহিনী সহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় অভিযান পরিচালনার কথাও জানিয়েছে। নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে আহরন শ‚ণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে সম্ভব সব কিছু করার কথা জানিয়েছেন মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপ পরিচালক।
কিন্তু এ নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভারত ও মায়ানমারের জেলেদের চোরাগোপ্তা মৎস্য শিকারের অভিযোগ করেছেন মৎস্যজীবীগন। বরিশাল, পাথরঘাটা, গলাচিপা, হিরনপয়েন্ট এলাকার মৎস্যজীবীরা ভারতীয় জেলেদের অনুপ্রবেসের অভিযোগ করে তা প্রতিহত করতে না পারলে বাংলাদেশের এ কার্যক্রম অকার্যকর হয়ে পড়বে বলেও দাবি করেছেন।
চট্টগ্রাম থেকে রফিকুল ইসলাম সেলিম জানান, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে ভারত ও মিয়ানমারের জেলেরা। সাগরের কোনো কোনো পয়েন্টে তারা বাংলাদেশি জেলেদের ট্রলারে হামলা চালিয়ে মাছ ও জাল লুট করছে। কোথাও আবার এদেশের জেলেদের পাতা জাল কেটে নিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় জেলে নামের দুর্বৃত্তরা। তাতে বাংলাদেশি জেলেরা পর্যাপ্ত মাছ পাচ্ছেন না। মাছ ধরতে না পেরে জেলেরা অর্ধাহারে অনাহারে থাকে। আবার প্রতিনিয়ত বিদেশি জেলেদের আক্রমণের শিকার হয়ে খালি হাতে ফিরছেন অনেকে। চট্টগ্রাম জেলায় নিবন্ধিত মৎস্যজীবীর সংখ্যা ৫০ হাজার ৮৩১ জন। সাগরে মাছ পাওয়া কমে যাওয়ায় জেলেরা যেমন বিপাকে পড়েছেন, তেমনি মাছের দামও বাড়ছে লাফিয়ে।
ইলিশসহ বিশাল মৎস্যভাÐারে সমৃদ্ধ বিশাল সমুদ্রসীমা নিরাপদ করা না গেলে সামুদ্রিক মৎস্য খাতে বিপর্যয় নেমে আসার আশঙ্কা করছেন দেশীয় মৎস্যজীবীরা। জেলেরা বলছেন, ভারতীয় জেলেরা প্রতিনিয়ত আমাদের মাছ লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। প্রজনন মৌসুমে বাংলাদেশে যখন সাগরে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়, ভারতে তখন এ নিষেধাজ্ঞা থাকে না। ফলে সহজেই ওরা এসে মাছ ধরে নিয়ে যায়।
চট্টগ্রাম মৎস্যজীবী সমিতির নেতা বাবুল সরকার বলেন, এখন সাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে। বাংলাদেশি জেলেরা ওই নিষেধাজ্ঞা মেনে মাছ ধরা থেকে বিরত রয়েছেন। তারা অর্ধহারে অনাহারে দিন যাপন করছে। কিন্তু বাংলাদেশি সমুদ্রসীমায় হানা দিয়ে ভারতীয় ও মিয়ানমারের জেলেরা প্রতিনিয়ত ইলিশসহ মূল্যবান সামুদ্রিক মাছ লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের অভিযানে কিছু বিদেশি জেলে ধরা পড়লেও বেশির ভাগ জেলে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে এই লুটতরাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি ৬৫দিন থেকে মাছ ধরা বন্ধ রাখা এক মাসে নামিয়ে আনা এবং ভারত ও বাংলাদেশে একই সময়ে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেয়ারও দাবি জানান।
চাঁদপুর থেকে বি এম হান্নান জানান, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে আমরা নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ একটি স্ট্যান্ডার্ড লেভেলে নির্ধারণ করেছি। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতকেও এই নিষেধাজ্ঞার সময় মানা উচিত। তাহলেই ইংলিশের প্রাচুর্যতায় সবাই লাভবান হবে। এমনই মত প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের ইলিশ গবেষক ড. আনিসুর রহমান । তিনি বলেন, প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা অনুসরণ করলে ইলিশ স্বাধীনভাবে চলাচল করবে। বাংলাদেশ ভারতের জলসীমা ইলিশে ভরে যাবে।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি জনাব মানিক জমাদার ইনকিলাবকে বলেন, বঙ্গোপসাগর থেকেই বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমার ইলিশ আহরণ করে থাকে। সাগরে অভিন্ন নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আমরা বহু বছর যাবত সরকারের বিভিন্ন বিভাগকে জানিয়ে আসছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ফলশ্রæতিতে বাংলাদেশের মৎস্যজীবীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা মৎস্য বিভাগকে বলছি ট্রান্স বাউন্ডারি অর্থাৎ আন্ত:মহাদেশীয় অভিন্ন নিষেধাজ্ঞা নির্ধারণ করার জন্য।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ট্রাম্প
ভোটের অধিকার রক্ষায় জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে : সিইসি
অস্ত্র মামলায় মামুন খালাস
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা
ইনু-মেনন-সালমান-আনিসদের রিমান্ড, নতুন করে গ্রেপ্তার মন্ত্রী-এমপিসহ ১৬ জন
দলীয় নেতাদের একযোগে কাজ করার আহ্বান এবি পার্টির
হত্যা মামলায় মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ৫ দিনের রিমান্ডে
হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা
আমদানি মূল্য পরিশোধের সময় বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
বকেয়া পরিশোধে জুন পর্যন্ত সময় বাড়লো আদানি
অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের
দিল্লি ফ্যাসিবাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে : রিজভী
বেক্সিমকোর ১৬টি কারখানার ছাটাইকৃত শ্রমিকদের চাকরি ফিরে পাওয়ার সিদ্ধান্ত ২৭ জানুয়ারি
যুদ্ধবিরতির কয়েক মিনিট আগেও ইসরায়েলের হামলা গাজায় বিলম্বিত সময়ের মধ্যে নিহত ১৯
আমেরিকার স্বর্ণযুগ শুরু হচ্ছে
প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের মাঝে ছাত্রদল নেতার শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ
এবার মেডিকেলে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উত্তীর্ণদের ফল স্থগিত
চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এলডিপি মহাসচিবের বৈঠক
সরিষাবাড়ী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ