গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না করতে পারলে এই রাষ্ট্র অস্তিত্বের হুমকির মধ্যে পড়বে : আলোচনা সভায় জাতীয় নেতৃবৃন্দ

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

১২ জুলাই ২০২৪, ০৬:১৯ পিএম | আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৪, ০৬:১৯ পিএম

যুগপৎ আন্দোলনের ৩১ দফা ও এক দফা ঘোষণা বর্ষপূর্তিতে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে আয়োজিত '৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর' শীর্ষক এক আলোচনা সভা আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার যেভাবে দেশের মানুষের ভোটের অধিকারসহ সকল অধিকার হরণ করে বিদেশ-নির্ভর ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র কায়েম করেছে, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে এই রাষ্ট্রের অস্তিত্বই হুমকির মধ্যে পড়বে।

গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক ও গণ-সংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সঞ্চালনায় এই আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব, গন অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মিয়া মশিউজ্জামান, আমার বাংলাদেশ পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ প্রমুখ।

সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, যে ব্যবস্থা জবাবদিহিহীন চরম স্বেচ্ছাচারী ক্ষমতার জন্ম দেয়, দেশকে সংগঠিত মাফিয়া, দূর্বৃত্ত, দুর্নীতিবাজ ও অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করে সেই রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তন ছাড়া বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেই। তার জন্য দরকার রাষ্ট্র, প্রশাসন, সংবিধানসহ সমগ্র ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক রূপান্তর। গণতান্ত্রিক এই উত্তরণের লক্ষেই গণতন্ত্র মঞ্চ, বিএনপিসহ আন্দোলনরত বিরোধী দলসমূহের পক্ষ থেকে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব ও তার ভিত্তিতে গত বছরের এই দিনে ১ দফার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। দেশের মানুষ এই পরিবর্তনের এই প্রস্তাবে ব্যাপার সাড়া দিয়েছে। আগামীতে বিরোধী দলসমূহ পরিবর্তনের এই এজেন্ডা নিয়েই আন্দোলন জোরদার ও বেগবান করবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, কেবল সরকার পরিবর্তনের গতানুগতিক ধারায় ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিদায় দেয়া যাবে না, তার জন্য দরকার সংস্কারের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা । তারা বলেন, দেউলিয়া সরকার ও সরকারি দলের এখন আর জনকল্যাণের ইতিবাচক কোন এজেন্ডা নেই। তারা আর একদিন ক্ষমতায় থাকার অর্থ হচ্ছে জন-দুর্ভোগ আরও বেড়ে যাওয়া, দেশের আরও সর্বনাশ হওয়া। নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে হাইকোর্ট দেখিয়েছে; কিন্তু হাইকোর্ট সরকারকে কোটা সংস্কারের উদ্যোগ নিতে সুযোগ করে দিয়েছে। তারা বলেন, কোটা বিরোধী ছাত্র জাগরণ দমনের কোন চেষ্টা দেশবাসী গ্রহণ করবে না। তারা সরকারকে নয়ছয় বন্ধ করে অনতিবিলম্বে কোটা সংস্কারের দাবি মেনে নিয়ে এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে আহবান জানান।

তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে দিল্লি আর বেইজিং দুই যায়গা থেকেই প্রায় খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। তারা বলেন, জনম্যান্ডেটবিহীন সরকারকে কেউই যে গুরুত্ব দেয় না তা আরও একবার প্রমাণিত হল। নেতৃবৃন্দ বলেন দমন পীড়ন করে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা যাবে না। অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি দাবি করে নেতৃবৃন্দ বলেন এই অবৈধ সরকার পুরো রাষ্ট্রকে একটা দমনের হাতিয়ারে পরিণত করেছে। নেতৃবৃন্দ ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহবান জানান।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

হাইকোর্টে চিন্ময়ের জামিন আবেদন, শুনানি সোমবার
মিডিয়া থেকে ইসলামফোবিয়া কবে যাবে? সারজিস আলম
আমাদের রক্ত ঝরবে, কিন্তু সীমান্ত সুরক্ষিত থাকবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ইনকিলাবে রিপোর্টের পর সরিয়ে দেয়া হলো তিন কর্মকর্তাকে
৬০০ টাকা কেজি দরে ইলিশ বেচবে সরকার, পাওয়া যাবে যেখানে
আরও

আরও পড়ুন

গ্রেফতারকৃত এসকে সুরের বাসায় দুদকের অভিযান, ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার

গ্রেফতারকৃত এসকে সুরের বাসায় দুদকের অভিযান, ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার

চাল আমদানির সময় বাড়ল ২৭ দিন: দুইমাসে ৯,৬৬২ টন চাল আমদানি হলেও প্রভাব নেই বাজারে

চাল আমদানির সময় বাড়ল ২৭ দিন: দুইমাসে ৯,৬৬২ টন চাল আমদানি হলেও প্রভাব নেই বাজারে

সিরিয়ার আসাদ সরকারের মাদক বাণিজ্যের ভয়াবহ চিত্র প্রকাশ

সিরিয়ার আসাদ সরকারের মাদক বাণিজ্যের ভয়াবহ চিত্র প্রকাশ

হাইকোর্টে চিন্ময়ের জামিন আবেদন, শুনানি সোমবার

হাইকোর্টে চিন্ময়ের জামিন আবেদন, শুনানি সোমবার

পুলিশ লাইন্সে ফ্যানের সঙ্গে নারী কনস্টেবলের লাশ ঝুলছিল

পুলিশ লাইন্সে ফ্যানের সঙ্গে নারী কনস্টেবলের লাশ ঝুলছিল

দাউদকান্দির গৌরীপুর চররায়পুর আসমানিয়া সড়কে বড় বড় গর্ত, জনদুর্ভোগ চরমে

দাউদকান্দির গৌরীপুর চররায়পুর আসমানিয়া সড়কে বড় বড় গর্ত, জনদুর্ভোগ চরমে

লৌহজংয়ে যানবাহন চলাচলে জন্য বালিগাঁও সেতু উন্মুক্ত করা হয়েছে

লৌহজংয়ে যানবাহন চলাচলে জন্য বালিগাঁও সেতু উন্মুক্ত করা হয়েছে

নারায়ণগঞ্জে পাওয়ার প্ল্যান্টের ৩৬০ মেট্রিকটন তেল ডাকাতি, ৮ ডাকাত গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জে পাওয়ার প্ল্যান্টের ৩৬০ মেট্রিকটন তেল ডাকাতি, ৮ ডাকাত গ্রেপ্তার

ভারতের  প্রথম মহিলা  নৃবিজ্ঞানী ইরাবতী কারভে, সাহসী গবেষক ও সংস্কারক

ভারতের প্রথম মহিলা নৃবিজ্ঞানী ইরাবতী কারভে, সাহসী গবেষক ও সংস্কারক

মুজিবনগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী পালন

মুজিবনগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী পালন

ভয়ঙ্কর প্রেমের ফাঁদ!

ভয়ঙ্কর প্রেমের ফাঁদ!

মিডিয়া থেকে ইসলামফোবিয়া কবে যাবে? সারজিস আলম

মিডিয়া থেকে ইসলামফোবিয়া কবে যাবে? সারজিস আলম

যুদ্ধবিরতি স্থগিত করে গাজায় হামলা অব্যাহত রাখল ইসরাইল

যুদ্ধবিরতি স্থগিত করে গাজায় হামলা অব্যাহত রাখল ইসরাইল

দাউদকান্দিতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী পালিত

দাউদকান্দিতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী পালিত

টেকনাফমুখী ৪টি পণ্যবাহী জাহাজ এখনো ছাড়েনি আরাকান আর্মি

টেকনাফমুখী ৪টি পণ্যবাহী জাহাজ এখনো ছাড়েনি আরাকান আর্মি

বাঁওড়ের ইজারা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

বাঁওড়ের ইজারা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

মার্কিন মুলুকে নিষিদ্ধ টিকটক, আমেরিকা প্লাটফর্মটি প্রত্যাশা করেঃ মি.বিষ্ট

মার্কিন মুলুকে নিষিদ্ধ টিকটক, আমেরিকা প্লাটফর্মটি প্রত্যাশা করেঃ মি.বিষ্ট

আমাদের রক্ত ঝরবে, কিন্তু সীমান্ত সুরক্ষিত থাকবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আমাদের রক্ত ঝরবে, কিন্তু সীমান্ত সুরক্ষিত থাকবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ইনকিলাবে রিপোর্টের পর সরিয়ে দেয়া হলো তিন কর্মকর্তাকে

ইনকিলাবে রিপোর্টের পর সরিয়ে দেয়া হলো তিন কর্মকর্তাকে

জনগণের ভোটে যারা নির্বাচিত হবে তারা সংস্কার শেষ করবে : মির্জা ফখরুল

জনগণের ভোটে যারা নির্বাচিত হবে তারা সংস্কার শেষ করবে : মির্জা ফখরুল