ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

‘নিরাপত্তাজনিত কারণে’ কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ, নাহিদ ও বাকেরকে ডিবি হেফাযতে নেওয়া হয়েছে

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

২৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪৮ পিএম | আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৫১ পিএম

 

 

গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশিদ আজ রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আসিফ, নাহিদ ও বাকের- কোটা সংস্কার আন্দোলনের এই তিন নেতাকে নিরাপত্তাজনিত কারণে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’

ডিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ, আবু বকের মজুমদার ও নাহিদ ইসলামকে আজ শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর একটি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা আটক করেছে।

গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশিদ আজ রাতে সাংবাদিকদের বলেন, 'আসিফ, নাহিদ ও বাকের- কোটা সংস্কার আন্দোলনের এই তিন নেতাকে নিরাপত্তাজনিত কারণে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।'

বিভিন্ন গণমাধ্যমে ডিবি সদস্যরা তাদের তুলে নিয়ে গেছে এমন সংবাদ প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পর ডিবি প্রধান এই তথ্য জানান।
এর আগে আজ সন্ধ্যায় নাহিদের বাবা বলেন, 'নিজেদের ডিবি পুলিশ হিসেবে পরিচয় দিয়ে কয়েকজন মানুষ আজ বিকাল ৩টার দিকে নাহিদ, আসিফ, বাকের এবং হাসপাতালের একজন কর্মচারীকে নিয়ে যায়।'

আসিফ ও নাহিদ দুজনেই ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আবু বাকেরকেও তুলে নেওয়া হয়। এর আগে গত ২০ জুলাই নাহিদকে খিলগাঁওয়ে এক বন্ধুর বাসা থেকে, ১৯ জুলাই আসিফকে মহানগর এলাকা থেকে এবং একই দিন আবু বকরকে ধানমন্ডি থেকে তুলে নেওয়া হয়।

তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তুলে নিয়ে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর নাহিদকে রাজধানীর পূর্বাচল এলাকায় চোখ বেঁধে ফেলে রেখে যায়। পরে ২৫ জুলাই আসিফকে হাতিরঝিল এলাকায় এবং আবু বকরকে ধানমন্ডি এলাকায় চোখ বেঁধে ফেলে রেখে যায়।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, নাহিদকে লোহার রড দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছিল। আসিফকে ইনজেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে রাখা হয়েছিল। তাদের দুজনের দাবি, কোটাবিরোধী আন্দোলন বন্ধে তাদের চাপ দেওয়া হয়েছিল এবং বিক্ষোভের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
দেশের সাংবিধানিক নাম ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ করার সুপারিশ
সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত