রিমান্ডে শারীরিক নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা চলছে : ফখরুল
২৯ জুলাই ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৪, ১২:০৫ এএম
গ্রেপ্তারকৃত দলের নেতাদের রিমান্ডের নামে চোখ ও হাত-পা বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায়ের নিরন্তর চেষ্টা চলছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (২৮ জুলাই) বিকেলে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে নিয়ে সরকার দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করছে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, একদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে নিরীহ ছাত্রছাত্রী এবং কোটা সংস্কারের নেতাদের নির্যাতন করা হবে না, অপরদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রাখা হয়েছে। মির্জা ফখরুল বলেন, সাধারণ মানুষ, প্রতিবন্ধী শিশু ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার এমনকি চাকরিজীবীরা পর্যন্ত এ ধরনের অমানবিক কর্মকাণ্ড থেকে রেহাই পাচ্ছে না।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসিরুদ্দিনসহ সারা দেশে গ্রেপ্তার নেতাদের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারা দেশে ৯ হাজারের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সরকারের নানামুখী ষড়যন্ত্র, অপকৌশল ও নিপীড়ন-নির্যাতন চালানো হচ্ছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য যারা প্রকাশ্যে সাধারণ ছাত্রদের বুকে গুলি চালিয়ে হত্যা করল, তাদের একজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়নি, বরং তাদের নিয়ে সরকারপ্রধান মায়া কান্না করছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, গ্রেপ্তার সাবেক এমপি, মন্ত্রীসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাদের নিষিদ্ধ সন্ত্রাসীদের মতো ৫/৭ দিন করে রিমান্ডে নির্যাতন করা হচ্ছে। সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাইফুল আলম নীরব, আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনুসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার এবং রিমান্ডে নিয়ে অবর্ণনীয় নির্যাতন করা হয়েছে। তাদের নির্মমভাবে চোখ ও হাত-পা বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায়ের নিরন্তর চেষ্টা চলছে। তারা আদালতকে অবহিত করেছে, তারপরও আদালত সরকারপ্রধানের ইশারায় তাদের রিমান্ড অব্যাহত রেখেছেন। তিনি বলেন, তাদের শারীরিক সুস্থতা নিয়ে দেশবাসী শঙ্কিত। তাদের ওপর চলমান নির্যাতনে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু হয়ে গেলে এর দায় সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেই নিতে হবে।
বিএনপি মহাসচিবের দাবি, দেশটাকে আজ ত্রাসের রাজ্যে পরিণত করেছে সরকার। দিন দিন নিরীহ ছাত্রছাত্রীদের হত্যার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে সরকার যতই ছলচাতুরী করুক না কেন, গণদাবির কাছে নতি স্বীকার করে পদত্যাগ করতেই হবে। মানুষ যখন প্রতিবাদ শুরু করেছে, এই প্রতিবাদের ধারা অব্যাহত থাকবে। সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছে যে গুলি করে মানুষকে হত্যা করা হয় নাই অথচ শিশু আহাদ, সামীর থেকে শুরু করে বয়োজ্যেষ্ঠ পথচারী সবাই গুলিতে নিহত হয়েছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মাগুরা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে কল্লোল সভাপতি, টগর সাধারণ সম্পদক নির্বাচিত
পেকুয়ায় ১ হাজার পিস ইয়াবাসহ কারবারি আটক
দেশকে বিভাজনের জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হচ্ছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
ঈশ্বরগঞ্জে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ
দেশের সাংবিধানিক নাম ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ করার সুপারিশ
ইউক্রেনে আরও ৬০ বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে জার্মানি
দেশের ইতিহাসে প্রথম গোয়েন্দা জাহাজ উন্মোচন ইরানের
বিয়ে না করেও ৩২ বছর বয়সে ৮৭ সন্তানের পিতা!
৮ ফেব্রুয়ারী কক্সবাজারে আসছেন জামায়াত আমীর ডা. শফিকুর রহমান
মোবারকগঞ্জ সুগার মিলে চিনি খেতে বাধা দেওয়াই মারামারি : আহত-১, আটক-২
বিরলে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি কর্তৃক বিপুল পরিমাণ ফেন্সিডিল উদ্ধার
বিএসএফের হাতে আটক যুবক ফেরত আনলো বিজিবি
নিজেকে আ.লীগের চক্রান্তের শিকার দাবি এনবিআরের সেই মতিউরের
হিলিতে দিনব্যাপী ৪৬ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণ
মহিলাদের জন্য সংসদে কোন সংরক্ষিত আসন চাই না : মুফতি ফয়জুল করীম
কারামুক্ত ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীন
ময়মনসিংহ সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দিনব্যাপী তারুণ্য উৎসব উদযাপন
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু