ল্যাম্পপোস্টেই চলছে রাতের ক্লাস
০২ আগস্ট ২০২৪, ১২:১৯ এএম | আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২৪, ১২:১৯ এএম
সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে রাতের পড়াশোনা। এর মধ্যেই আবার অন্তত দু’বার লোডশেডিং। সিলিং বিহীন টিনের চাল ও বেড়ার মাদরাসায় বিদ্যুৎ চলে গেলে গরমে টেকা দায় শতাধিক শিক্ষার্থীর। অপরদিকে ক্লাস বন্ধ করে দিলে ক্ষতি হয় পড়াশোনার। বিকল্প আলোর ব্যবস্থা না থাকায় প্রচন্ড গরমেও অগত্যা শতাধিক শিক্ষার্থীর রাতের পড়াশোনা চলে মাঠের পাশে সড়কের সোলার লাইটে। শিক্ষার্থীদের গোল করে বসিয়ে সেখানেই চলে তালিম। শিক্ষকদের দাবি, রাস্তার পাশে মাদরাসা হওয়ায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার সাথে সাথেই ছোট ছোট বাচ্চারা চলে যায় মাঠের পাশে প্রধান সড়কে। ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি এবং ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় পড়ালেখা ব্যঘাত ঘটে। তাই বাধ্য হয়েই সপ্তাহের অধিকাংশ দিনেই কম আলোতেই চালাতে হয় রাতের ক্লাস।
সরেজমিনে দেখা যায়, শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার কুড়িকাহনিয়া মদিনাতুল উলুম হাফেজিয়া ও কওমি মাদরাসায় ল্যাম্পপোস্টের আলোতে সবাইকে একসাথে বসানো সম্ভব না হওয়ায় শুধু বড়দের বসানো হয়।
মাদরাসা হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. হুমায়ুুন বলেন, অনেক ছাত্র একসাথে থাকলে এমনিতেই গরম বেশি লাগে। গরমে রাতে দুই-তিনবার কারেন্ট চলে যায়। আমাদের মুখস্ত বিদ্যা পড়াশোনা। তাই ক্লাস বন্ধ থাকলে সমস্যা হয়। নিয়ম করে পড়তে না বসলে পড়া মুখস্ত হয় না। তাই কারেন্ট না থাকলেও পড়তে হয়। যদি আইপিএস থাকতো তবে বাইরে বসে পড়তে হতো না। একটা আইপিএস হলে ভালো হতো। মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ শহিদুল ইসলাম শাহীন বলেন, ছাত্ররা যেন ছোটাছুটি করতে না পারে তার জন্য চারপাশে শিক্ষকরা বসে থাকি। এভাবে পড়ালেখা করানো খুবই কষ্ট। ঘনঘন বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ চলে গেলে টিনের ঘর আগুনের মতো গরম হয়। ফ্যান চলেনা। লাইট জলেনা। তাই তীব্র গরমে বাধ্য হয়েই ছেলেদের খোলা মাঠে পাঠদান করাচ্ছি। বিদ্যুতের বিকল্প ব্যাবস্থা করা হলে নির্বিঘেœ পাঠদান করানো যেতো। ফ্যান ও লাইট যাতে বিদ্যুতবিহীনও চলে এমন ব্যবস্থা দরকার।
মাদরাসার মোহতামিম মুফতি মো. গোলাম রব্বানী বলেন, মাদরাসায় তিন শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। তার মধ্যে শতাধিক শিক্ষার্থী আবাসিক। রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে ঘরে বিকল্প লাইট ও ফ্যানের ব্যাবস্থা নেই। তাই ছাত্রদের পড়াশোনার স্বার্থে মাঠের মাঝখানে ল্যাম্পপোস্টের আলোয় পাঠদান করাচ্ছি। সমাজের বিত্তবান ও সরকার সুনজর দিলে শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারতো।
কুড়িকাহনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ খান নুন বলেন, শিক্ষার্থীদের কষ্টের কথা শুনেছি। পরিষদের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করা হবে। উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হবে।
শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাবের আহমেদ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, কঁচি ছাত্রদের ল্যাম্পপোস্টের নিচে পড়াশোনা আসলেই দু:খজনক। মাদরাসার প্রধানকে শ্রেণিকক্ষগুলোর জন্য আইপিএস’র প্রয়োজনীয় ক্যাপাসিটি উল্ল্যেখসহ একটি আবেদন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
উৎসব মুখর পরিবেশে পালিত হলো জাবির ৫৪ তম দিবস
কুষ্টিয়ায় স্কুল কমিটি নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত ৩০
জুলাই বিপ্লবে ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ির চাকার পিষ্ট হয়ে নিহত মাহবুব আলমের পরিবারের পাশে তারেক রহমান
ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন ষড়যন্ত্রকারী বিএনপির ক্ষতি করতে পারবে না : আমিনুল হক
যায়যায়দিন পত্রিকায় নির্বাহী সম্পাদক হলেন খুরশীদ আলম
বিধ্বংসী শতকে লিটনের জবাব, ঝড়ো সেঞ্চুরি তানজিদেরও, বিপিএলে রেকর্ড
ফরিদপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন দিনে মোট ১১ জন নিহত, আহত ৩৫
চলমান সংস্কার গতিশীল করতে হবে, যাতে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে : মান্না
ওয়ান টাইম প্লাস্টিক বন্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৬ হাজার প্রতিষ্ঠান: বিপিজিএমইএ
পাটগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে বিএসএফের গুলি, আহত ১
ওসি মুহিবুল্লাহকে বাঁচাতে স্বজনদের মানববন্ধন
ব্র্যাক ব্যাংকের টপ টেন রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড জয় ২০২৪ সালে ১.৬ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স সংগ্রহ
শেখ হাসিনা ভারতের সাথে বৈষম্যমৃলক চূক্তি করেছিলেন-মৌলভীবাজারে সারজিস আলম
শেখ হাসিনার চোখ ছিল শুধু ঢাকা থেকে টুঙ্গীপাড়া পর্যন্ত : সারজিস
স্বাধীন সামরিক বাহিনী সংস্কার কমিশন গঠনের প্রস্তাব
চকরিয়ায় পুলিশ-সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি: বসতবাতিতে আগুন, ওয়ার্ড মেম্বারসহ আহত ২
শাহজালাল বিমানবন্দরে বিমান বাহিনীর সদস্যদের অপসারণে আইনি নোটিশ
সউদী-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক হজ চুক্তি স্বাক্ষরিত
ব্যবসা গুটিয়ে নিতে এক্সিট পলিসি চান ব্যবসায়ীরা
ভ্যাট বাড়লেও সাধারণ মানুষের উপরে খুব প্রভাব পড়বে না: প্রেস সচিব