ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে রূপরেখায় দেওয়ায় নেটিজেনদের উচ্ছ্বাস

রুহুল আমিন

০৬ আগস্ট ২০২৪, ১১:৫১ এএম | আপডেট: ০৬ আগস্ট ২০২৪, ১১:৫১ এএম

নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠনের রূপরেখা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ভোর ৪টার পর ফেসবুকে দেওয়া ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন আন্দোলনের সমন্বয়করা।

এ ঘোষণার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে। কেউ কেউ তাকে এখনই অগ্রিম অভিনন্দন বার্তা দিয়েছেন।

মো. রনি খাঁন নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, বর্তমানে ড. ইউনূস বাংলাদেশের সব থেকে প্রভাবশালী ব্যক্তি, পুরো পৃথিবী তাকে চিনে। ইন্ডিয়ার অত্যাচার থেকে বাঁচতে এখন তার বিকল্প কেউ নেই।

কে এম আরফান উল্লাহ নামে একজন লিখেছেন, ড. ইউনূসের টাকার অভাব নেই। আর তার ক্ষমতার লোভ নেই। তিনি বাংলাদেশকে ভালোবেসে এই দায়িত্ব নিবেন। আন্তর্জাতিক কূটনীতি রক্ষার্থে ড. ইউনূস একমাত্র পরিচিত ব্যক্তি। যদি দেশের সবাই ভালো চান, তাহলে তাকে এক্ষুনি দায়িত্ব দেওয়া উচিত। তা না হলে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হবে।

ইয়াসির সরকার পাভেল নামে একজন লিখেছেন, একজন নোবেল বিজয়ী রাষ্ট্রনায়ক হবেন এটা তো আমাদের স্বপ্ন। একজন ইকোনমিস্ট ডিপ্লোম্যাটই পারবে এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ দিতে।

তানজির হোসাইন প্রবাসী নামে একজন লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ ড. ইউনুস স্যারকে অন্তর্বতীকালীন সরকারের দায়িত্ব দেওয়া হোক।

আল হেলাল নামে একজন লিখেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আগামী বাংলাদেশের সরকার প্রধান চেয়েছেন ছাত্র জনতা। অভিনন্দন আপনাকে হে নোবেল বিজয়ী।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাতে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। পওে সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে শেখ হাসিনা উড্ডয়ন করেন। এসময় তার ছোট বোন শেখ রেহানা সঙ্গে ছিলেন।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন। শেখ হাসিনা যাওয়ার আগে একটি ভাষণ রেকর্ড করে যেতে চেয়েছিলেন। তিনি সে সুযোগ পাননি।

দুপুরে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে যাওয়ার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রবেশ করেন হাজারো ছাত্রজনতা।

বিভাগ : জাতীয়