সাবেক বিডিআর সদস্যদের মানববন্ধন বিজিবিতে ফিরিয়ে প্রাপ্য বুঝিয়ে দেওয়ার দাবি
১০ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৪ এএম
রাজধানীর পিলখানায় ২০০৯ সালে বিদ্রোহের ঘটনার পর তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) অনেক সদস্যকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এসব চাকরিচ্যুতদের ফিরিয়ে এনে তাদের প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘বিডিআর কল্যাণ পরিষদ ও স্বৈরাচার কর্তৃক চাকরিচ্যুত ক্ষতিগ্রস্ত সকল বিডিআর সদস্য’র ব্যানারে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এ দাবি জানান। এছাড়া শাহবাগেও একই দাবিতে মানববন্ধন হয়।
বক্তারা বলেন, ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের হেডকোয়ার্টার পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নাম দিয়ে একটা অপ্রত্যাশিত নীরবে হত্যাকা- হয়েছিল। এই হত্যাকা- সরাসরি তৎকালীন ক্ষমতায় থাকা বাংলাদেশ সরকারের সরকার প্রধান ও কিছু এমপি-মন্ত্রীর ইন্ধনে সংঘটিত হয়েছিল। এই হত্যাকা- সুস্থ ও সূক্ষ্ম জ্ঞানে তৎকালীন সরকারের পরিকল্পনায় ভারতীয় সৈন্য পিলখানায় অনুপ্রবেশ করে ঘটায়। পিলখানা হত্যাকা-ের পরে ঘটনার আলামত হিসেবে ভারতীয় অস্ত্রের সিলিং এবং গ্রেনেড সংরক্ষণ করা হয়, যা তদন্ত কমিশন ও বিচারিক আদালত তৎকালীন ক্ষমতায় থাকা সরকারকে বাঁচানোর জন্য আমলে নেয়নি। তারা বলেন, এই হত্যাকা-ের দায় এড়াতে পিলখানাসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থাপনার প্রায় ১৮ হাজার ৫১৯ জনের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিডিআর বিদ্রোহ বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। তারা চাকরিচ্যুতিসহ জেল-জুলুম ও অত্যাচারের শিকার হন এবং এখনো অনেকে কারাগারে আছেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে রিয়াজ উদ্দীন, শফি আহমদ, আরিফ হোসেন, রেজাউল করিম, হাবিবুর রহমান, সোলায়মান মিয়া, মো. ইসহাক, মো. রায়হান এবং শাহবাগে বক্তব্য রাখেন তৎকালীন বিডিআরের সদস্য আব্দুল বাছেদ, আতাউর রহমান, মো. আব্দুর রশিদ, ইয়াদুল হক, জসিম উদ্দিন, শামীম খান, আহসান হাবীব প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি আমরা আমাদের কর্তব্য ঠিক মতো পালন করছিলাম। কিন্তু কৌশলে আমাদের দুইটা ক্ষতি করা হয়েছে। এক চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, অন্যদিকে জেল খাটানো হয়েছে। আমরা কোনো মানুষকে মারিনি, শুধু আমরা ফায়ার করেছি।
আমাদের সব প্রাপ্য আমাদের ফেরত দিতে হবে। আমাদের চাকরিতে আবারও পুনর্বহাল করতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের হক থেকে বঞ্চিত করেছে। আমরা না খেয়েও দিনযাপন করেছি। বিশেষ করে, যখন আমরা জেলে ছিলাম তখন আমাদের পরিবার অসহায়ের মত জীবনযাপন করেছে। এমনও দিন গিয়েছে, আমাদের পরিবারের লোকজন না খেয়ে থেকেছে।
এসময় তারা রাষ্ট্রপতি, অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান, বিমানবাহিনী প্রধান, বিজিবি প্রধান, পুলিশপ্রধান, আনসার বাহিনীর প্রধান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, সুশীল সমাজ, সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
প্রোটিয়াদের হোয়াইট ওয়াশ করে পাকিস্তানের ইতিহাস
৯ গোলের উৎসবে লিভারপুলের বড় জয়
বড়দিনের ছুটির আগে রিয়ালের বড় জয়
ঘরের মাঠেই বিধ্বস্ত ইউনাইটেড
গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক