৪০ দিন পর ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সাব্বির মারা গেলেন
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৭ এএম | আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৭ এএম
অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ কুমিল্লার সাব্বির হোসেন (১৯)। ৪০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) মারা যান সাব্বির। সকাল ৯টার দিকে দেবিদ্বার ভিংলাবাড়ি এলাকায় তার মৃত্যু হয়। সাব্বিরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবিদ্বার থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহিনুল ইসলাম।
নিহত সাব্বির হোসেনের বাড়ি জেলার মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল এলাকায় হলেও তিনি ছোটবেলা থেকেই নানাবাড়ি দেবিদ্বারের ভিংলাবাড়িতে মায়ের সঙ্গে থাকতেন।
স্থানীয়রা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চূড়ান্ত বিজয়ের দিন গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালানোর পর বিজয় মিছিল করে ছাত্রজনতা। ওইদিন বিকালে মিছিল করতে দেবিদ্বার থানার দিকে যান মিছিলকারীরা। এ সময় পুলিশ থানার ছাদে উঠে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করতে থাকলে ১৫-১৬ জন মিছিলকারী গুলিবিদ্ধ হন। তাদের মধ্যে সাব্বিরের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুলি লাগে। অবশ্য পুলিশের দাবি, ওইদিন দেবিদ্বার নিউমার্কেট গোলচত্বর এলাকায় মিছিল করা অবস্থায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ মিছিলকারীদের উপর গুলিবর্ষণ করে। তাতেই গুলিবিদ্ধ হন সাব্বির।
গুলিবিদ্ধ সাব্বিরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসক তার মাথায় সিটিস্ক্যান করে মাথার ভেতরে গুলি থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হন। পরে অস্ত্রোপচার করে সাব্বিরের মাথার ভেতর থেকে গুলি বের করা হয়। পরে ধীরে ধীরে সুস্থ হতে থাকেন সাব্বির। কিছুদিন পর ঢাকা মেডিকেল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হলে দেবিদ্বার ভিংলাবাড়ি ফিরে আসেন তার মা এবং তিনি।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে হঠাৎ নিজের অস্বস্তি লাগছে বলে মাকে জানান সাব্বির। পরে ঘরে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়েন। পরে তাকে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ পরিদর্শক শাহিনুল ইসলাম জানান, সাব্বিরের মৃত্যুর খবর পেয়ে বাড়িতে গিয়ে তার মরদেহের ময়না তদন্তের জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু স্থানীয় লোকজন আমাদের বাধা দিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করতে চায়। পরে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সাব্বিরের মরদেহ দাফনের অনুমতি দিয়ে থানায় ফিরে আসি।
নিহত সাব্বির হোসেন তিন ভাইবোনের মধ্যে সবার বড়। বছর তিনেক আগে তার বাবার মৃত্যুর পর সাব্বির সংসারের হাল ধরতে অটোরিকশা চালানো শুরু করেন। তার মৃত্যুতে পরিবারটি এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে দ’ুটি তদন্ত কমিটির বিষয়ে কাল একাডেমিক কাউন্সিলের সভা।
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের ডিপিডিস’র বিদ্যুৎ বিল সেবা পুন:রায় চালু
ডি রোসিকে ছাঁটাই করল রোমা
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরছেন খালেদা জিয়া
বিশ্ব সেরা বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিংয়ে ইরানের ৬৯টি
ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করবে ইউজিসি-ইউনেস্কো
ওরিয়নের ওবায়দুল করিম ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ
নৈতিক দায়বদ্ধতা থেকে আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি - সারজিস আলম।
দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা পদক পেলেন নৌবাহিনীর ২০০ জন সদস্য
এবার ভারত অভিযানে শান্ত-মুশফিকরা
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটে ডামি ফুয়েল লোডিং শুরু
লালমনিরহাটে নিখোঁজ বৃদ্ধের মরদেহ মিলল ধানক্ষেতে।
জাবিতে 'একতার আলোয় বাংলাদেশ' শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনী কাল
কুচক্রি মহলের কারণে ইফার ইসলামী বই মেলা অনিশ্চিত
রাসূল (সা.) বিশ^জগতের জন্য রহমত স্বরূপ
গাছ লাগানোর বিষয়টি আত্মায় ধারণ করা উচিৎ : পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা
সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে দূরে থেকে বাদাম বেচে খেলেও ভালো করতাম- রাজশাহীতে শীর্ষ সন্ত্রাসী রুবেল
বাংলাদেশে কোন সংখ্যালঘু নেই, আমরা সবাই বাংলাদেশী : মাওঃ রফিকুল ইসলাম খাঁন।
সাবেক ২ মেয়র ও কাউন্সিলরসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
বিশ্ব দক্ষতা প্রতিযোগিতায় ইরানি শিক্ষার্থীদের ৯ পদক