আমরা সবাই মিলে সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চাই: সেনাপ্রধান
০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম
ইসলাম-বৌদ্ধ-হিন্দু-খ্রিষ্টান সব ধর্মের মানুষ মিলে সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চান বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারে পবিত্র কঠিন চীবর দান উৎসব ও জাতীয় বৌদ্ধধর্মীয় মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, ‘ইসলাম, বৌদ্ধ, হিন্দু, খ্রিষ্টানসহ অন্য যেসব ধর্ম আছে, সব ধর্ম, জাতি ও গোষ্ঠী সবাই মিলে সুন্দর বাংলাদেশ গঠন করতে চাই। এখানে সুন্দরভাবে শান্তিতে বসবাস করতে, দেশ ও জাতির উন্নতি করতে চাই।’
বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা তুলে ধরে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘যখন আজান হচ্ছিল, তখন তারাই বললেন যে, কিছুক্ষণ পরে শুরু করি, আজানটা শেষ হয়ে যাক। এই যে ধর্মীয় বোঝাপড়া (আন্ডারস্ট্যান্ডিং), ধর্মীয় সম্প্রীতি, মমত্ববোধ দেখিয়েছেন, এটা অতুলনীয়।’
বৌদ্ধদের নির্ভয় দিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমরা দেখতে চাই, এভাবেই প্রতিনিয়ত, প্রতি সময় আপনারা আপনাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো পালন করবেন। সুখে-শান্তিতে থাকবেন। এজন্য যা কিছু করতে হয়, আমরা সেটা করব। এর আগে দুর্গাপূজাতেও আমরা নিরাপত্তা দিয়েছি। খুব সুন্দরভাবে তা উদ্যাপন করা হয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনারা যখনই যে ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা চাইবেন, আমরা সেটা প্রদান করব।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের উদ্দেশে সেনাপ্রধান বলেন, এখানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের দেখে ভালো লাগছে। বিশেষ করে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতকে দেখে। তারা এ দেশে অনেক বৌদ্ধমন্দির তৈরিতে আর্থিক সহায়তা করেছেন। বাংলাদেশের বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের জন্য এটা চমৎকার অবদান। এখানে ভিয়েতনাম ও অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারও আছেন। তারাও বাংলাদেশে শান্তি-সম্প্রীতির জন্য অবদান রাখছেন।
তিন পার্বত্য জেলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পার্বত্য জেলায়, বিশেষ করে যেহেতু এখানে আমাদের একটু শান্তি-সম্প্রীতির কিছুটা ঘাতটি আছে, সেদিকটা পুষিয়ে নিতে চাই। একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। পাহাড়ে সবাই পাহাড়ি-বাঙালি যেন একসঙ্গে বসবাস করতে পারি।
বাংলাদেশ বৌদ্ধ ফেডারেশনের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর, ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ন্যুয়েন মান কুঅং এবং অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
দুঃশাসন ও নির্যাতন সরকার পতনের মূল কারন - মাসুদ বিন সাঈদী
হত্যা মামলার আসামি হয়েও অফিস করছেন অনেক পুলিশ কর্মকর্তা
বিএনপি জনসাধারণের নিরাপত্তায় অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে
কাবুলে তালিবানের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক ভারতের
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লায় দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
৭ নভেম্বরের পোস্টার ছিড়ে অশ্রদ্ধা প্রদর্শন সমীচীন কাজ নয় : ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক
কুয়াকাটায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে বাধা ও হামলার অভিযোগে শতাধিক দখলদারের বিরুদ্ধে মামলা
'আত্মহত্যা করেছেন বলিউড অভিনেতা নীতিন চৌহান'
বৈষম্যহীন কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় রাসূল সা. এর জীবনাদর্শ প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই
মুসলিম দেশগুলোতে সুশাসনের ঘাটতি
তরুণ প্রজন্ম এবং ৭ নভেম্বরের বিপ্লব
তরুণদের বিদেশমুখী প্রবণতা কমাতে হবে
জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে দেশে কোন নির্বাচন করতে দেয়া হবে না -মোস্তফা
ব্র্যাক ব্যাংক রিডিং ক্যাফেতে জর্জ অরওয়েলের ‘১৯৮৪’ নিয়ে আলোচনা
হলিউডশীর্ষ পাঁচ
বলিউডশীর্ষ পাঁচ
চার ব্যান্ড নিয়ে ঢাকা রেট্রো কনসার্ট
ঢাকা আসছেন ব্ল্যাক ডায়মন্ডখ্যাত বেবী নাজনীন
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের আলোচনা সভা
ক্যাপশন