পার্বত্য জেলাসমূহের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আরও টেকসই ও বেগবান হবে: প্রেসিডেন্ট
০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০১ এএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৫ এএম
আজ পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের ২৭ বছর। এ দিনটি উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন বাণী দিয়েছেন।
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর কোনো তৃতীয় পক্ষ বা বহিঃশক্তির মধ্যস্থতা ছাড়াই তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এই ঐতিহাসিক শান্তির দলিলটি স্বাক্ষরিত হয়।
শান্তিচুক্তিতে সর্বমোট ৭২টি ধারা রয়েছে। ৭২টি ধারার মধ্যে শান্তিচুক্তির ৬৫টি ধারা বাস্তবায়িত হয়েছে, অবশিষ্ট ধারার বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দীর্ঘদিনের জাতিগত হানাহানি বন্ধ হয়। অনগ্রসর ও অনুন্নত পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ও উন্নয়নের ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট তার বাণীতে বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এক ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ অঞ্চলের উন্নয়নে গঠিত হয় পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ। চুক্তি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে আর্থ-সামাজিক, অবকাঠামো ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন চলমান রয়েছে। পার্বত্য জেলাসমূহে অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য আমি দল মত নির্বিশেষে সকলকে একযোগে কাজ করা আহ্বান জানাচ্ছি।’
প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরের ২৭ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আমি পার্বত্য তিন জেলার সব অধিবাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’
তিনি বলেন, পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, বান্দরবান এবং খাগড়াছড়ি প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ একটি অঞ্চল এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। যুগ যুগ ধরে এই তিন পার্বত্য জেলায় বসবাসরত বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বর্ণিল জীবনাচার, ভাষা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি এ অঞ্চলকে বিশেষভাবে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছে।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের উন্নয়ন সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এক ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ অঞ্চলের উন্নয়নে গঠিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ।
তিনি বলেন, চুক্তি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের আর্থসামাজিক, অবকাঠামো ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন চলমান রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চল নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অপার আধার। আমাদের ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ জাতির সব সংকট ও ক্রান্তিকালে পার্বত্য অঞ্চলের অধিবাসীদের ছিল স্বতঃস্ফূর্ত ভূমিকা।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত, ন্যায়ভিত্তিক ও আধুনিক বাংলাদেশ গঠনে বহুমুখী সংস্কার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর সফল বাস্তবায়ন বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত একটি পার্বত্য অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।
প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘পার্বত্য জেলাসমূহের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আরও টেকসই ও বেগবান হবে, উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে এগিয়ে যাবে পার্বত্য অঞ্চল— এ প্রত্যাশা করি।’
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আত্মহত্যা করেছেন দক্ষিণী অভিনেত্রী শোবিতা শিবন্না
গিনিতে ফুটবল মাঠে ভিড়ে পিষ্ট হয়ে নিহত অনেক
খুলনায় ৫০ ভরি স্বর্ণসহ গ্রেফতার ২ যুবক
হাসিনার আমলে বছরে পাচার ১৬ বিলিয়ন ডলার : প্রতিবেদন
পুলিশে একযোগে ৪১ কর্মকর্তার বদলি
৫ তারিখে আসিফ নজরুলের অবস্থান নিয়ে দেয়া পোস্ট ভাইরাল
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের দখলে রাবির জন্মস্থান 'বড়কুঠি'; জানেন না শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
সিরিয়ার বিদ্রোহীদের আক্রমণ,গৃহযুদ্ধে নতুন মোড়!
এবার ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণার রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন
বাজারে মিলছেনা বোতলজাত সয়াবিন তেল
আইনজীবীকে হত্যা করে দেশকে তপ্ত শ্মশানে পরিণত করতে চেয়েছিলো: জামায়াত আমীর
ফ্যাসিস্ট হাসিনার পাচারের অর্থে করা যেতো ৮৭টি পদ্মা সেতু : রিপোর্ট
আইসল্যান্ডে নির্বাচনে জয়ী সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটস
শৈলকুপায় মটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত
আবারও শেষের ব্যর্থতায় হার রংপুরের
গাজায় ‘জাতিগত নিধন’ চলছে : ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী
কেবল যৌন নির্যাতনই নয় নারীদের বাধ্য করতেন পতিতাবৃত্তিতে, ধারণ করতেন ভিডিও
আরব-মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে মাসাদ বোলোসকে নিয়োগ দিলেন ট্রাম্প
কদমতলীতে ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১৫ আগস্টকে ছুটি ঘোষণার রায় স্থগিত