আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলা: যা বললেন তারেক রহমান
০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৪ পিএম | আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৪ পিএম
সোমবার ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলা ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে ফেইসবুক পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার পোস্টটির অনুবাদ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের পতনের পর বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতীয় কিছু মহলে অপপ্রচার ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের প্রবণতা বাড়ছে। এসব বিভ্রান্তিকর তথ্য ও উসকানিমূলক বক্তব্য প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে মতবিরোধ এবং সংঘাতের পরিবেশ সৃষ্টি করছে।
শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ঘটনা নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম ও কিছু রাজনৈতিক মহল থেকে অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। এই প্রোপাগান্ডা দুই দেশের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সাম্প্রতিক সময়ে, আগরতলায় বাংলাদেশি দূতাবাসে (কনস্যুলেটে) হামলার ঘটনা এই অপপ্রচারের একটি ফলাফল হিসেবে দেখা যাচ্ছে। এই হামলা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে অস্থিতিশীল করার পাশাপাশি আঞ্চলিক শান্তির জন্যও হুমকি সৃষ্টি করছে।
ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনের পতনের পর বাংলাদেশ একটি নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। তবে এই পরিবর্তনের ফলে উসকানিমূলক বক্তব্য ও ভুল তথ্য ছড়ানোর প্রবণতাও বেড়েছে। ভারতীয় কিছু মহল থেকে বাংলাদেশকে নিয়ে যে ধরনের মিথ্যা প্রচারণা চলছে, তা শুধু জনমানসে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে না, বরং সরাসরি কূটনৈতিক সম্পর্ককেও ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর মধ্যে, আগরতলায় বাংলাদেশি দূতাবাসে (কনস্যুলেটে) হামলা একটি গুরুতর উদাহরণ। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে তথ্য বিভ্রাট এবং প্রোপাগান্ডা কীভাবে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে। আন্তর্জাতিক মহলকে এই বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে নজর দিতে হবে। প্রায় ২০ কোটি (২০০ মিলিয়ন) জনসংখ্যার বাংলাদেশ অস্থিতিশীল হলে তা শুধুমাত্র এই অঞ্চল নয়, বরং পুরো বিশ্বের জন্য অশান্তির কারণ হতে পারে।
বাংলাদেশ একটি বহুজাতিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ, যেখানে সার্বভৌমত্ব এবং নাগরিক অধিকার সুরক্ষিত থাকে। তবে, বর্তমান সময়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য এবং বিদ্বেষমূলক প্রচারণা দেশটির পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে। তাই দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং বিশ্বাস স্থাপন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ অতীতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনে এগিয়েছে, এবং ভবিষ্যতেও ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সার্বভৌমত্ব বজায় রেখে এগিয়ে যাবে। তবে, এই সময়ে বাংলাদেশের জনগণকে সংযমী হতে হবে এবং উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকতে হবে।দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সংহতি বজায় রাখাই আঞ্চলিক শান্তির একমাত্র পথ।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
নাটকীয় জয়ে রংপুরের সাতে সাত
ভক্তদের হঠাৎ কি বার্তা দিলেন ঢালিউড কুইন শাবনূর?
পেকুয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান কারামুক্ত
ধ্বংস হওয়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠনের জন্যই ৩১ দফা কার্যকর প্রয়োজন: আমিনুল হক
বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা জানাল ভারত
হাসিনার এপিএস লিকুর ১৫০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, দুদকের ৪ মামলা
মারের কোচিংয়ে জোকোভিচের প্রথম জয়
উত্তরখানে ভূয়া পুলিশ গ্রেফতার
মাত্র ৯৫ দিনে মুহিব্বুল মুরসালিন খানের পবিত্র কুরআন হিফয সম্পন্ন
চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক
হাজীগঞ্জে ননদ ভাবির ঝগড়া থামাতে গিয়ে বাবার মৃত্যু
মাসরুর আরেফিন পুনরায় সিটি ব্যাংকের এমডি
নতুন বছরে টেকনোর অসাধারণ অফার
‘১৫ জানুয়ারি ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ'র ঈসালে সাওয়াব মাহফিল সফল করুন’
মালয়েশিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে চায় বাংলাদেশ
বিদ্যালয়ের পাশে হাসপাতালের আবর্জনা, মালিককে অর্থদণ্ড
স্ত্রীর দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করার আগে স্ত্রী মারা যাওয়া প্রসঙ্গে।
দাম কমল বিকনলিংক ফিচারযুক্ত অপো ফোনের
ধর্মীয় স্বাধীনতা নাগরিক অধিকার ও চাঁদাবাজিমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষে নতুন বার্তা দেবে ইসলামী যুব আন্দোলন
বিআরটিএ ও ডামের উদ্যোগে ৭২৩ গণপরিবহণ চালককে প্রশিক্ষণ