কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশ’ ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধ

অনলাইন ডেস্ক

১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৩ এএম | আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৩ এএম

সম্প্রতি কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশ’ এলাকার ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের পর্যটকদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি বৈঠক করেছেন। তারা নিশ্চিত করেছেন যে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একটি সমন্বিত প্রচেষ্টা নেওয়া হবে, যাতে ভুল তথ্য ও ভ্রান্ত ধারণা দূর করা যায়।

মঙ্গলবার(০৯ডিসেম্বর) এই বৈঠকে ব্যবসায়ীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তারা সোশ্যাল মিডিয়া এবং ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের পর্যটকদের জানাবেন যে তাদের নিরাপত্তা ভারত সরকার,পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসন এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রধান অগ্রাধিকার। এটি এমন একটি উদ্যোগ যা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে(সোশ্যাল মিডিয়ায়)প্রচারিত ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তি মোকাবেলা করবে, যা বাংলাদেশের পর্যটকদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করেছে। এসব ভুয়া খবরের কারণে কিছু পর্যটক পূর্বে ভারত ত্যাগ করেছেন এবং অনেকে তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করেছেন।

মার্কুইস স্ট্রিট, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, কলিন স্ট্রিট, রফি আহমেদ কিদওয়াই রোড এবং কিড স্ট্রিটের ছোট ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্যরা একত্রিত হয়ে চিন্তা-ভাবনা করেছেন, কারণ এই এলাকা থেকে পর্যটক কমে যাওয়ার কারণে ব্যবসায়িক অবস্থা সংকটাপন্ন হয়েছে। এসব এলাকায় অবস্থিত হোটেলগুলো, যেগুলোর অধিকাংশই বাংলাদেশের পর্যটক দ্বারা পূর্ণ থাকে, যা বর্তমানে কমে মাত্র ১০ থেকে ১৫% । ফ্রি স্কুল স্ট্রিট ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী খান বলেছেন, “অনেক নিয়মিত পর্যটক যাদের চিকিৎসার জন্য কলকাতা আসার কথা ছিল, তারা নিরাপত্তার চিন্তা করে তাদের ভ্রমণ স্থগিত করেছে। অনেক পর্যটক যারা দ্রুত ফিরে গেছেন, তারা প্রতিবাদ-প্রতিরোধের ভয়ে চলে গেছেন। আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি যে তারা কলকাতা এবং ভারতজুড়ে সম্পূর্ণ নিরাপদ।"

হোটেল মালিক পিন্টু বাসক বলেন,“গত দুই দশকে, এই এলাকায় বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল। আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে কলকাতা আগের মতোই অতিথিপরায়ণ” আছে। “কলকাতার মিনি বাংলাদেশ শুধু ব্যবসার কেন্দ্র নয়; এটি দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ সম্পর্কের প্রতীক। এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে আমরা দেখাতে চাই কীভাবে ছোট ছোট পদক্ষেপ বড় বড় উত্তেজনা প্রশমিত করতে পারে এবং কলকাতার ঐতিহ্যগত স্বাগত এবং অন্তর্ভুক্তির বার্তা পুনঃপ্রকাশ করতে পারে," বলেছেন এন সি ভৌমিক, এক রেস্টুরেন্টের মালিক।

কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশ’ এলাকার ব্যবসায়ীরা যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা বাংলাদেশের পর্যটকদের কাছে কলকাতার নিরাপত্তা এবং অতিথিপরায়ণতার বার্তা পৌঁছাতে সহায়ক হতে পারে। তথ্যসূত্র : দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া

বিভাগ : জাতীয়