নতুন দল গঠন নিয়ে বিপাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা
১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০২ পিএম | আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৭ পিএম
‘জাতীয় সংহতি পরিষদ’ নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রাথমিক পর্যায়ে বিপাকে পড়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ইতোমধ্যে দেশের বৃহৎ ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেশ দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা শিক্ষার্থীরাও ইতোমধ্যে ২৫টিরও বেশি নতুন প্ল্যাটফর্ম গঠন করেছে। জুলাই আন্দোলনের মূল চেতনাকে ধরে রাখতে গঠিত এসব প্ল্যাটফর্ম আওয়ামী লীগের বিচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে শতাধিক কর্মসূচি পালন করেছে। এমনই একটি প্ল্যাটফর্ম ‘বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ’। ২১ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি ও জাতীয় বেঈমানদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে প্ল্যাটফর্মটি। নতুন সংগঠন তৈরির পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহবায়ক আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, ৫ আগস্টের আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সক্রিয় অংশগ্রহণ করি। কিন্তু ৮ আগস্টের পর সরকার ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে জুলাই স্পিরিটের ব্যাঘাত লক্ষ করায় আমরা নতুন সংগঠনের প্রয়োজন বোধ করি। সেখান থেকেই আমরা আওয়ামী লীগের বিচার ও ফ্যাসিবাদের উৎখাতের জন্য কর্মসূচি পালন শুরু করেছি। এর একদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা ব্যানারে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে কফিন মিছিল কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন-কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষের কারণে এই বিভক্তি বলে জানা গেছে। গত ৩ অক্টোবর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কসহ ১৭ জন পদত্যাগ করেন। পরে ২৩ অক্টোবর ‘গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন’ নামে ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কর্মসূচি পালন শুরু করেন তারা। ওই সময় পদত্যাগের কারণ হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সমন্বয়কের বিতর্কিত কার্যক্রম, ব্যক্তিগত প্রভাব খাটিয়ে নিজ স্বার্থ হাসিলের প্রচেষ্টা, সরকারি দলের মতো আচরণ ও গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট-বিরোধী কাজের অভিযোগের কথা তুলে ধরেন পদত্যাগকারীরা। একই কারণ দেখিয়ে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও সমন্বয়করা পদত্যাগ করেছেন।
ফ্যাসিবাদবিরোধী ‘ছাত্র-জনতা’ ব্যানারের মুখপাত্র ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই আমাদের কৌশল ছিল রাজনৈতিক পরিচয় পরিহার করা। গণঅভ্যুত্থান শেষে সব ছাত্রসংগঠনের বৈঠকে আমাদের প্রস্তাবনা ছিল প্ল্যাটফর্মটি সার্বজনীন হবে। কিন্তু সেখানে অন্য রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের অবদান ও অংশগ্রহণকে যথাযথ স্বীকৃতি না দেওয়া সবাই নিজেদের মতো সংগঠন বানিয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রেখেছে। তিনি অভিযোগ করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সরকারে প্রতিনিধি পাঠালেও আন্দোলনের মূল স্পিরিটকে ধরে রাখেনি। প্রেসিডেন্টের অপসারণ, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা, নতুন সংবিধানসহ ৫ দাবির আন্দোলনেও তাদের কোনো কর্মসূচি নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাসান এনাম অভিযোগ করেন, আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং আহত হওয়া সত্তে¡ও তিনি প্রাপ্য স্বীকৃতি পাননি। এ কারণে তিনি নিজের গঠনমূলক চিন্তা বাস্তবায়নে দু’টি নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তার একটি উদ্যোগ হলো ‘জুলাই ম্যাসাকার আর্কাইভ’। এ আর্কাইভ বেসরকারি পর্যায়ে গণঅভ্যুত্থানের বিভিন্ন উপাদান যেমন- ছবি, ভিডিও, কনটেন্ট তৈরিসহ বিভিন্ন কাজ বৃহৎ পরিসরে তুলে ধরছে। হাসানের আরেকটি উদ্যোগ হলো স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদ গঠন, যার লক্ষ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক ও সামাজিক অধিকার আদায় এবং ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে সচেতনতা সৃষ্টি করা। আন্দোলনের মূল চেতনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে আরও বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে উঠেছে। এসব প্ল্যাটফর্মের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট কোয়ালিশন, একতার বাংলাদেশ, জাস্টিস ফর জুলাই, ইনকিলাব মঞ্চ, নিরাপদ বাংলাদেশ, রক্তিম জুলাই, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটি, জুলাই গণহত্যা বিচার নিশ্চিত পরিষদ, জুলাই বিপ্লব পরিষদ, বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্য, স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স ফর ডেমোক্র্যাসি ও স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদ। উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উম্মা ফাতেমার এক সতর্কবার্তার প্রেক্ষাপটে গড়ে উঠেছে এসব প্ল্যাটফর্ম। ১০ আগস্ট এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে উম্মা ফাতেমা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে অকার্যকর করার আহŸান জানিয়ে বলেছিলেন, এটি একটি আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম। এই আন্দোলনের মঞ্চকে রাজনৈতিক কাঠামোতে পরিণত করলে গণঅভ্যুত্থান তার আকাক্সক্ষা থেকে বিচ্যুত হবে।
সে সময় আমাদের বুঝতে হবে, কোথায় আমাদের থামতে হবে উল্লেখ করে উম্মা ফাতেমা সতর্ক করেছিলেন, আন্দোলনের প্ল্যাটফর্মটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের পরিবর্তে গোষ্ঠীস্বার্থ রক্ষার হাতিয়ারে পরিণত হতে পারে। সা¤প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে ২১ নভেম্বর তিনি গণমাধ্যমে বলেন, ওই সময় সেটি আমার ব্যক্তিগত মত ছিল, কারণ সমন্বয়ক পরিচয়ে অনেকেই অরাজকতা করছিল। কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলনকারীরা দুর্নীতি ও ফ্যাসিবাদের প্রতিবাদ করলে টার্গেটেড হয়। আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা ও প্রতিহিংসার কবল থেকে বাঁচতেই সুসংহত হতে হয়েছে। এছাড়া ভুয়া সমন্বয়কদের দৌরাত্ম্যও কমানো দরকার ছিল। আমাদের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের লক্ষ্যে ঘোষিত ৫ দফায় আমরা এখনও অটল আছি। সরকারকে টেকসই রাখার স্বার্থে এখন বড় ধরনের কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে না। নতুন প্ল্যাটফর্মগুলোর বিষয়ে উম্মা ফাতেমা আশা প্রকাশ করে বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সবার ঐক্যবদ্ধ অংশগ্রহণের কারণেই সেটি গণঅভ্যুত্থানে রূপ পায়, যেখানে সব রাজনৈতিক মতাদর্শের ও নাগরিকদের অংশ ছিল। এখন তারা আবার ভিন্ন নামে প্ল্যাটফর্ম করছেন, আমরা সেটাকে স্বাগত জানাই। এসব প্ল্যাটফর্মের অনেকগুলো আমাদের কর্মসূচিতেও সংহতি প্রকাশ করেছে। এরই মধ্যে স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদ, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ও ইনকিলাব মঞ্চের মতো সংগঠনগুলো ১৯টি ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে একটি সভায় অংশ নেয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত ওই আলোচনা সভায় আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক দ্ব›দ্ব নিরসনের উপায় নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে বলা হয়, পৃথক পৃথক প্ল্যাটফর্মের আত্মপ্রকাশ সত্তে¡ও নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করা সম্ভব। এর আগে ১১ নভেম্বর ১৩টি নবগঠিত সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় বসে সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক উপায়ে ফ্যাসিবাদ মোকাবিলা নিয়ে আলোচনা করে।
সর্বশেষ প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় ঐক্য গড়ার লক্ষ্যে ছাত্রদের সাথে যে বৈঠক করেছেন সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির ছাত্রনেতারা ছিলেন। ওই ঐক্যের সভায় ছাত্রদল, ছাত্রশিবির এবং বামপন্থি বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের কোনো অংশগ্রহণ ছিল না। এতে ঐক্যের পরিবর্তে এক ধরনের বিভেদের সুর সেখান থেকে বাজতে শুরু করেছে। অনেকে বলছেন তাহলে কি এ সরকার আবার ওয়ান-ইলাভেনের সরকারের মতো কিংস পার্টি গঠন করতে যাচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমন্বয়কের পরিচয়ে ছাত্রনেতারা প্রশাসনসহ সবখানে যেভাবে তাদের ক্ষমতা দেখাচ্ছে বা নাক গলাচ্ছে তাতে সবখানে ক্ষোভ বাড়ছে। এ বিষয়টিকে কেউ ভালোভাবে নিচ্ছেন না।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতারা আলাদা রাজনৈতিক দল গঠন করলে তাকে অবশ্যই আমরা স্বাগত জানাব। তবে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় যদি কিংস পার্টি গঠন করা হয় তাহলে দেশবাসী সেটাকে গ্রহণ করবে না।
এ ব্যাপারে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐক্য গড়তে গিয়ে ছাত্রদের মধ্যে যে বিভেদের সৃষ্টি করেছেন সেটা মারাত্মক ভুল বলে আমি মনে করি। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে ভুল শোধরানোর চেষ্টা করা হবে। সরকার যেভাবে বেষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র নেতাদের গুরুত্ব দিচ্ছেন তাতে আর একটি কিংস পার্টি গঠন হতে পারে এমন সন্দেহ অনেকের মনে তৈরি হচ্ছে। জনমনের এই সন্দেহ দূর করার দায়িত্ব সরকারের। কিংস পার্টিকে অতীতে দেশবাসী ভালোভাবে নেয়নি, এখনো নেবে না। তাই সরকারের উচিত হবে নিজেদের এসব থেকে দূরে রাখা।
সাম্প্রতিক এই বিভক্তি নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভক্তি বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর। তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন নতুন সংগঠনের উত্থান অস্বাভাবিক নয়। তবে এই প্রবণতা শিক্ষার্থীদের যৌথ দরকষাকষির ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। তিনি বলেন, যেকোনো সংকট সমাধানে ঐকমত্য অপরিহার্য। কিন্তু বর্তমানে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেমন ঐক্যের অভাব স্পষ্ট, তেমনি ছাত্র, রাজনৈতিক দল ও সরকারের মধ্যে দ্ব›দ্বও দৃশ্যমান। তাই আলোচনা না হলে ছোট সমস্যাগুলো বড় সংকটে রূপ নিতে পারে, যার উদাহরণ ইতোমধ্যেই দৃশ্যমান হয়েছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
৯ দফা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ কতদূর?
মর্গের দুই লাশের দাবিদার দুই পরিবার,
আইনজীবীকে হত্যার হত্যাচেষ্টা: শেখ হাসিনা-জয়সহ ৯৩ জনের মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ
তথ্য থাকলেও সন্দেহজনক লেনদেনে দেরিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিএফআইইউ!
সাবেক এমপি হেনরীর ৫৬ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ,
গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগে উৎকণ্ঠায় নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা
দেশে এইচএমপি ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত
শাহজালাল বিমানবন্দরে বিমান বাহিনীর সদস্যদের অপসারণে আইনি নোটিশ
চকরিয়ায় পুলিশ-সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি: বসতবাতিতে আগুন, ওয়ার্ড মেম্বারসহ আহত ২
স্বাধীন সামরিক বাহিনী সংস্কার কমিশন গঠনের প্রস্তাব
শেখ হাসিনার চোখ ছিল শুধু ঢাকা থেকে টুঙ্গীপাড়া পর্যন্ত : সারজিস
শেখ হাসিনা ভারতের সাথে বৈষম্যমৃলক চূক্তি করেছিলেন-মৌলভীবাজারে সারজিস আলম
ব্র্যাক ব্যাংকের টপ টেন রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড জয় ২০২৪ সালে ১.৬ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স সংগ্রহ
ওসি মুহিবুল্লাহকে বাঁচাতে স্বজনদের মানববন্ধন
পাটগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে বিএসএফের গুলি, আহত ১
ওয়ান টাইম প্লাস্টিক বন্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৬ হাজার প্রতিষ্ঠান: বিপিজিএমইএ
চলমান সংস্কার গতিশীল করতে হবে, যাতে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে : মান্না
ফরিদপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন দিনে মোট ১১ জন নিহত, আহত ৩৫
বিধ্বংসী শতকে লিটনের জবাব, ঝড়ো সেঞ্চুরি তানজিদেরও, বিপিএলে রেকর্ড
ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন ষড়যন্ত্রকারী বিএনপির ক্ষতি করতে পারবে না : আমিনুল হক