জিয়াউর রহমান দেশের প্রথম ও প্রধান মুক্তিযোদ্ধা : আমীর খসরু
১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৮ পিএম | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৮ পিএম
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মহান বিজয়ের জন্য চট্টগ্রামের গুরুত্ব অনেক। আজকের এই দিনে চট্টগ্রামের বিপ্লব উদ্যান থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। দেশের প্রধান ও প্রথম মুক্তিযোদ্ধা হচ্ছেন জিয়াউর রহমান। খসরু বলেন, এই চট্টগ্রাম রেডিও স্টেশন থেকে প্রথম তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। আজকের স্বাধীনতা পাওয়ার পেছনে যুদ্ধের যে প্রেরণা, সেটা চট্টগ্রাম থেকে শুরু হয়েছে। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় গর্বের। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের ষোলশহর বিপ্লব উদ্যানে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে মহানগর বিএনপির বিজয় র্যালিপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আগামী দিনের সংস্কারের কথা যদি বলা হয়, আমরা যে ৩১ দফা প্রস্তাব দিয়েছি। প্রতিজ্ঞা করেছি, বিএনপিসহ প্রায় ৫০টি দলের ঐক্যমতে আমরা আমাদের ৩১ দফার সংস্কার পরিপূর্ণভাবে পালন করব। এখন কী সংস্কার হবে, না হবে আমরা সেটার সহযোগিতা করতে রাজি আছি। এটা হচ্ছে আগামী সংসদের কাজ। সেটা হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের কাজ। বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে, যেভাবে বিগত দিনে নিয়েছে। বিগত দিনের রাজনীতিবিদরা যেহেতু সফল হয়নি, তারজন্য রাজনীতিবিদরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। রাজনীতিবিদরা তার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের আগামী দিনের রাজনৈতিক পথ সঠিকভাবে চালাবে। সেটাই গণতন্ত্র, এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
স্বাধীনতার এত বছর পরেও আমরা এখনো গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, স্বাধীনতার এত বছর পরেও আমরা এখনো গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি। স্বাধীনতার পর যখন বাকশাল হয়, এই বাকশালের মাধ্যমে সকল রাজনৈতিক দলকে মুখ বন্ধ ঘোষণা করে দেয়, সমস্ত সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়, বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রিত করে এবং মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের লক্ষ মানুষের উপর গুম, খুন, নিপীড়ন, নির্যাতন চালানো হয়। সেখান থেকে আবারো মুক্ত করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। সংস্কারের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই যে সংস্কারের কথা বলছে, প্রথম সংস্কার করেছেন শহীদ জিয়াউর রহমান। প্রথম সংস্কারটা হলো- একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র। এটি ছিল, প্রথম সংস্কার বাংলাদেশের। সংস্কার সংস্কার যারা বলে তারা এগুলো বোঝে নাই, চিন্তা করেনি। দ্বিতীয় সংস্কার হলো সরকারচালিত অর্থনীতি। যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বাকশালরা লুটপাট করে দেশের দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করেছিল। সেখানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তৃতীয় সংস্কার করেছিলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতির মাধ্যমে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতির মাধ্যমে সমস্ত বাংলাদেশিদের অর্থনীতিতে অংশগ্রহণের সমান অধিকার পেয়েছিল। এজন্য শ্রমিক, কিশোর, ব্যবসায়ী, পেশাজীবী সকলে মিলে আরেকটি নতুন বাংলাদেশ গড়েছিল সেদিন। সেই সংস্কারের মাধ্যমে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, আজকের যে গার্মেন্টস শিল্প অর্থনীতিতে প্রথম অবদান রাখছে। সেটা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে গার্মেন্টস শিল্প নীতিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটা বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রথম পিলার, প্রথম শক্তি। বিদেশে মানুষ পাঠিয়ে যে রেমিটেন্স আজ বাংলাদেশে আসছে, দেশের মানুষ বাইরে গিয়ে কাজ করছে, সেটার অবদান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের। তিনি বলেন, আরও সংস্কার বাংলাদেশের স্বৈরাচারের পতনের পরে সংসদীয় গণতন্ত্রকে প্রবর্তন করেছিল বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সমস্ত সংস্কারের মাধ্যমে আজকে যে অর্থনীতি বাংলাদেশে দাঁড়িয়েছে, এটা হচ্ছে বিএনপির অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে। আজও বাংলাদেশ যেখানে দাঁড়িয়ে আছে।
সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে বিএনপি দেশকে এগিয়ে নেওয়ার সংগ্রাম চালিয়ে যাবে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন কেবল বিএনপি করেছে। আর তা সম্ভব হয়েছে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উত্তরসূরি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের জন্য। মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে সব গণতান্ত্রিক সংগ্রাম কিংবা দেশ গঠনে জিয়া পরিবারের অবদান অপরিসীম। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন— বিএনপি নেতা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিমুদ্দিন এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য তারিকুল ইসলাম তেনজিং। সমাবেশ শেষে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে এক বিশাল বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি বের হয়ে নগরের দুই নম্বর গেট, জিইসি মোড়, ওয়াসা মোড়, কাজির দেউড়ি মোড় হয়ে নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিজয় মঞ্চে এসে শেষ হয়।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
রানার অটোমোবাইলস পিএলসির এজিএম সম্পন্ন
আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ কাজের আহ্বান: এমরান আহমদ চৌধুরী
নকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির উপর শুল্ক কমানোর দাবি বাজারের ২০ শতাংশ খাদ্য মানহীন
লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে জনসম্মুখে যুবককে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, নাকে খত
বাঘায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ৪ ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগ
বিশ্বে বছরজুড়ে আলোচনায় যুদ্ধ, নির্বাচন ও মূল্যস্ফীতি
যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে : চীন
আওয়ামী দুঃশাসনের বিচার না হলে জুলাই আগষ্টের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী হবে: ডা. জাহিদ হোসেন
মেক্সিকোতে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৭
মাথাপিছু ১৪০০ ডলারের চেক পাচ্ছেন ১০ লাখ মার্কিনি
৯১ শিশু খেলোয়াড়সহ ৬৪৪ ক্রীড়াবিদকে হত্যা করেছে ইসরাইল
মোজাম্বিকে ঘূর্ণিঝড় চিডোরে নিহত ৯৪
মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা পড়িয়ে সম্মানহানী
রাফালের আগমনে ভারত সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি
উত্তর প্রদেশে নিহত ৩ খলিস্তানি নেতা
ভারতে বাল্যবিবাহবিরোধী অভিযানে আটক ৫০০০
মুজিবল্যান্ড বানিয়ে হিন্দুস্তানে থাকুক আ.লীগ : রাশেদ প্রধান
গ্রেফতার ভয়ে পোল্যান্ড সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু
পানামা খাল দখলের হুমকিকে ভর্ৎসনা পানামা প্রেসিডেন্টের
স্বৈরাচারের দোসর শাহরিয়ার আলমের স্ত্রী-সন্তানসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা