ই-সিগারেট আমদানি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান বেন্ডস্টার
১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৮ এএম | আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৮ এএম
সরকারের ই-সিগারেট ও ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম (ইএনডিএস) আমদানি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন (বেন্ডস্টা)। এই সিদ্ধান্তের আওতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি নীতি আদেশে আমদানিনিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় ই-সিগারেট বা ইএনডিএসকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এতে প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ীদের জন্য প্রমাণিত কম ক্ষতিকর একটি বিকল্প বেছে নেওয়ার পথ বন্ধ হতে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করছে বেন্ডস্টা।
আন্তর্জাতিক গবেষণার তথ্য তুলে ধরে বেন্ডস্টা জানায়, ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি ও অফিস ফর হেলথ ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড ডিসপারিটিস-এর এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ভেপিং বা ই-সিগারেট প্রচলিত সিগারেটের তুলনায় ৯৫ শতাংশ কম ক্ষতিকর। সংগঠনটি বলছে, এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার ফলে বর্তমানে যারা ই-সিগারেট ব্যবহার করছেন, তারা আবার প্রচলিত সিগারেটের দিকে ঝুঁকতে পারেন। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য আরও বড় ঝুঁকি তৈরি করবে। বেন্ডস্টা বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতায় প্রমাণিত হয়েছে যে, ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করলেই এর ব্যবহার বন্ধ হয় না। বরং আইনসম্মত পথ বন্ধ করলে গড়ে ওঠে কালো বাজার। ভারতে ২০১৯ সালে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করার পর অবৈধভাবে এই পণ্য বিক্রির পরিমাণ ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। ফলে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণের সুযোগ ও জবাবদিহিতা না থাকায় ব্যবহারকারীরা ঝুঁকির মুখে পড়েন।
নিম্নমানের পণ্য ছড়িয়ে পড়ায় দেশটির জনস্বাস্থ্য লক্ষ্যমাত্রা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়। ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক গবেষণা জার্নাল প্রিভেন্টিভ মেডিসিন রিপোর্টস-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় উঠে এসেছে, ভারত সরকারের কঠোর নিষেধাজ্ঞার পরও ই-সিগারেট তরুণদের জন্য সহজলভ্য রয়ে গেছে। এতে স্পষ্ট হয় যে কালো বাজারে নিষিদ্ধ পণ্যেরও বেচাকেনা অবাধে চলতে থাকে। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, এই অনিয়ন্ত্রিত ব্যবসা ব্যবহারকারীদের ঝুঁকির মুখে ফেলেছে এবং সরকারও হারিয়েছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। সংগঠনটি জানায়, কেবল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেই কোনো পণ্যের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়। বরং এতে নকল ও নিম্নমানের পণ্য ছড়িয়ে পড়ার মতো নতুন সমস্যা তৈরি হয়।
বেন্ডস্টা সরকারকে প্রমাণভিত্তিক ও বাস্তবসম্মত নীতি গ্রহণের আহ্বান জানায়, যা তামাকজনিত ক্ষতি হ্রাসে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। বেন্ডস্টার বিশ্বাস, ই-সিগারেটের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে বৈজ্ঞানিক ও যুক্তিসংগত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে একদিকে জনস্বাস্থ্য লক্ষ্য অর্জন করা যাবে, অন্যদিকে প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ীদের জন্য নিরাপদ বিকল্প নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সংগঠনটি একটি সুষ্ঠু নিয়ন্ত্রক কাঠামো তৈরি করতে সরকার ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। ধূমপান রোধে বিভিন্ন দেশে প্রমাণিত তামাকের ক্ষতিহ্রাস কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কুমিল্লায় মুক্তিযোদ্ধাকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত
টিকটক-এ ৭ কোটি বারের বেশি দেখা হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্যের ওয়েব সিরিজ ‘প্রেমের বিকাশ’
'সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নগরীর যানজট নিরসন করা হবে' ---বিভাগীয় কমিশনার মোখতার আহমেদ
অস্তিত্ব সংকটে ট্রাম্প টাওয়ারসহ ৩৫ বিলাসবহুল ভবন
রাজশাহী সীমান্তে গভীর রাতে বিএসএফের দফায় দফায় গুলি বর্ষন
আজীবন সন্মাননা পাচ্ছেন আবদুল হাদি-খুরশিদ আলম
প্রকৌশলীর দুর্নীতির ৮ প্রকল্পের ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাতের সত্যতা পেয়েছে দুদক
পদ্মা সেতু হয়ে বেনাপোল-ঢাকা রুটে আগামীকাল ২৪ ডিসেম্বর যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু: যাত্রীদের মাঝে ব্যপক সাড়া
বাংলাদেশের কাছে ২০০ কোটি রুপি পায় ত্রিপুরা, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা
লক্ষ্মীপুরে দুই নারীকে পিটুনি, অভিযুক্ত যুবক গ্রেপ্তার
নওগাঁর রাণীনগরে জাতীয়তাবাদী প্রবাসী ঐক্য পরিষদের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত
বিনিয়োগ ‘ধ্বংসের’ অভিযোগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি এস আলমের
বাতিল হলো মৌলভীবাজারের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক প্রকল্প
সাভারে বাস চাপায় সিআরপি শিক্ষার্থী নিহতের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
কৃতিত্বপূর্ণ কাজের জন্য পদক পেলেন ৭২ বিজিবি সদস্য
শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা জনজীবন স্থবির
খুবির নির্মাণকাজের গুণগতমান নিশ্চিত ও তদারকি বাড়ানোর নির্দেশ উপাচার্যের
নওগাঁ শহরের দেয়াল থেকে মুছে ফেলা হলো জয় বাংলা
জাহাজে ছিল ৫ জনের লাশ, হাসপাতালে মারা গেলেন আরও ২ জন
বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালইজড হাসপাতালে পুনরায় শুরু হলো বহুল প্রতীক্ষিত কিডনি প্রতিস্থাপন