৮০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ : হাসিনা-রেহানার দুর্নীতি অনুসন্ধান শুরু
১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৭ এএম | আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৭ এএম
ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা ৯ প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। আত্মসাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তার বোন শেখ রেহানা, পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকী। এমন দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ লক্ষ্যে গঠন করা হয়েছে টিম। গতকাল মঙ্গলবার সংস্থার উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম জানিয়েছেন এ তথ্য।
দুদক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের দৌলতে অনুগত সংবাদ মাধ্যমগুলো শেখ হাসিনাকে ‘মানবিক’ হিসেবে উপস্থাপন করে। অথচ তার কথিত এই মানবিকতার পেছনে কত হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে সেটি তলিয়ে দেখা হতো না। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়া এমন অন্তত আটটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে যাতে আত্মসাৎ হয়েছে অন্তত ২১ হাজার কোটি টাকা। এসব প্রকল্প পরবর্তীতে অন্তঃসারশূন্য হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। যেমনÑ শেখ হাসিনার ‘মানবিক প্রকল্প’ হিসেবে প্রচারণা পায় ‘আশ্রয়ণ-২’ নামের প্রকল্পটি। প্রকল্পের আওতায় তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের নামে গৃহহীনদের ঘর দিতে আট হাজার ৭৯৯ কোটি টাকা অপচয় করা হয়। অথচ যাদের ওই ঘর দেয়া হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই ওইসব ঘর ব্যবহার করে না। নিম্নমানের কাজের কারণে বেশির ভাগ ঘরই এখন ব্যবহার অনুপযোগী। শেখ হাসিনাকে খুশি করতে অন্যের জমি দখল করে ডিসি-টিএনওরা গৃহহীনদের ঘর দেয়ার কাজ করেছেন। ফলে হাসিনার এ প্রকল্প লোকদেখানো এই উদ্যোগ জনগণের ট্যাক্সের টাকার অপচয় হিসেবেই গণ্য হচ্ছে। একটি-দু’টি নয় এমন অন্তত আটটি অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন হাসিনা। প্রশ্নবিদ্ধ এসব প্রকল্পে ব্যয় করেন ২০ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা।
কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর পূর্ব-উত্তর তীরে খুরুশকুলে ২০২০ সালের ২৩ জুলাই প্রথম ধাপে তৈরি ২০টি পাঁচতলা ভবন উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। সে সময় ৬০০ পরিবারের হাতে ঘটা করে ফ্ল্যাটের চাবি হস্তান্তর করা হয়। ফ্ল্যাটের যারা মালিক হয়েছেন, তাদের বেশির ভাগ জেলে, শুঁটকি শ্রমিক, রিকশা ও ভ্যানচালক, ভিক্ষুকসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। সেখানে অধিগ্রহণ করা ২৫৩ একর জমিতে গড়ে উঠছে ১৩৭টি পাঁচতলা ভবন। এসব ভবনে ফ্ল্যাট চার হাজার ৩৮৪টি। বিনামূল্যেই এই ফ্ল্যাটের মালিক হচ্ছে জলবায়ু উদ্বাস্তুরা। প্রকল্পটিতে এক হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা খরচ হয়। এ রকম বেজা, বেপজার আটটি প্রকল্প বাস্তবায়নের আড়ালে শেখ হাসিনা এবং তার দোসর আমলা-মন্ত্রীরা আত্মসাৎ করেন ২১ হাজার কোটি টাকা।
এ ছাড়া রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যরা মালয়েশিয়ার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কমিশন নেন অন্তত ৬৯ হাজার কোটি টাকা। এভাবে মোট ৯টি প্রকল্পে হাসিনার বিরুদ্ধে অন্তত ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির প্রাথমিক তথ্য রয়েছে দুদকের হাতে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
হাসিনাকে ফেরত আনতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন
আসাদের পতন, নিজের বেঁচে থাকার গল্প বললেন এক সিরিয়ান শরণার্থী
গভীর রাতে শীতার্ত মানুষের পাশে বিএনপি নেতা আমিনুল হক
বঙ্গতে আসছে 'ফ্যামিলি ফিউড বাংলাদেশ'
সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন
পানামা খাল দখলের হুমকি ট্রাম্পের, ভর্ৎসনা পানামার প্রেসিডেন্টের
কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা
পাবনা-৩ এলাকায় অ্যাডভোকেট রবিউলের গণসংযোগ ও কম্বল বিতরণ
পান্থকুঞ্জ ও আনোয়ারা পার্ক নিয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
নারী পুলিশের দিকে তাকিয়ে আসামির হাসি, নেটদুনিয়ায় তোলপাড়
জার্মানির ক্রিসমাস মার্কেটে হামলায় ৯ বছরের শিশুর মৃত্যুতে শোকের ছায়া
স্ত্রী-কন্যাসহ সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
গ্রেপ্তারের ভয়ে পোল্যান্ড সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু
নাটোরে ৬ ট্রাকের সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২, আহত ৭
রাখাইনের অস্থিরতায় টেকনাফ স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি কমেছে ৯০ ভাগ
ক্রিসমাস মার্কেট হামলা, জার্মান কর্তৃপক্ষের কাছে গত বছরেই এসেছিল সতর্কবার্তা
উপদেষ্টা হাসান আরিফকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন
ডলার বাজারে অস্থিরতা, দাম বেড়ে ১২৯ টাকা
উত্তরার বিপ্লবী জনতাকে যে কঠিন মূল্য দিতে হয়েছিল