খাবারে অনিয়ম থেকে বুক জ্বালা
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৪ এএম | আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৪ এএম
এই মাল্টিকালচার আর গেøাবালাইজেশনের যুগে খাবার গ্রহণের ব্যাপারে আমাদের বেশ সতর্ক হওয়া উচিত। হাত বাড়ালেই এখন দেশি বিদেশি খাবার এখানে সেখানে। বড়রা ছোটরা সবই এসব আমরা দিব্বি খাচ্ছি। বেশ কিছু খাবার আছে সেগুলো গ্রহণ করলে বুকজ্বালা হতে পারে। আবার খাবার গ্রহনের নিয়মানুবর্তিতা না মানলেও এমনটা হতে পারে। এসব খাবার থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। কারণ বুক জ্বালা হলে সেই রোগী বা রোগীর কাছের লোকজন বেশ ভয় পেয়ে যান। অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গও হতে পারে এরকম। তাই যাদের বুকজ্বালার সমস্যা আছে বা কখনো আগে হয়েছে তাদের বেশ কিছু খাবার বর্জন করা উচিত। এসব খাবার বর্জন করলে তারা অনেকটা ভালো থাকতে পারবেন। আর খাবার গ্রহনের আদর্শ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।
প্রথমত বলা হয় যদি একবারে খুব বেশি পরিমানে খাওয়া হয় তাহলে বুক জ্বালা হতে পারে। আমাদের অনেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বা বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে গেলে দেখা যাচ্ছে হঠাৎ করেই অনেক বেশি খেয়ে ফেলেন। এদের অনেক সময় বুক জ্বালা হয়।
অনেকের আবার খুব দ্রæত খাবার খেয়ে ফেলার অভ্যাস আছে। খুব দ্রæত খাবার খেলে অনেক সময় বুকজ্বালা হতে পারে। খাবার ভালো করে বার বার চিবিয়ে, নরম করে, মুখের লালার সাথে মিশিয়ে তা গেলা উচিত। এভাবে না চিবানোর ফলে বুকের মধ্যে জ্বালা-যন্ত্রণা হতে পারে।
খাওয়ার পরপরই শুয়ে পরা চলবে না। এটাও বুক জ্বালা পোড়ার একটা কারন। আবার অনেকেই খাওয়ার সময় অনেক বেশী কথা বলেন, বার বার পানি খান, ঢেকুর তোলেন। এগুলো সবই বুক জ্বালা পোড়ার কারন।
অনেকেই ফাস্টফুড বা চর্বিজাতীয় খাবার, ভাজা-পোড়া, ঝাল মশলা বেশ পছন্দ করেন। এসব খাবার বেশি খেলে বুক জ্বালা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আমরা যে খাবার খাই তার মধ্যে কোনটাতে প্রচুর এসিড থাকে, আবর কোনটাতে খাওয়ার পর এসিড তৈরী হয়, তাই এসব খাবার গ্রহণ করলে কারও কারও বুকজ্বালা হতে পারে। যেমন টমেটো বা টকজাতীয় ফল। এগুলো যদি বেশি পরিমাণে গ্রহণ করা হয় তাহলে অনেকেরই বুক জ্বালা হতে পারে। যেসব খাবারের মধ্যে ক্যাফেইন আছে সেসব গ্রহণ করলেও কারও কারও অনেক সময় বুক জ্বালা হতে পারে। কিছু চকলেটে ক্যাফেইন থাকে। তাই কারও কারও ক্ষেত্রে চকলেট খেলে বুকজ্বলার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। অ্যালকোহল গ্রহণ করলে এবং ধূমপান করলেও অনেক সময় এরকম সমস্যা হয়।
আবার বেশ কিছু উপকারী খাবার আছে, এগুলো গ্রহণ করলে বুক জ্বালা কমে। যেমন কিছু হার্বাল জাতীয় চা, দুধ এবং পানি এগুলো গ্রহণ করলে বুক জ্বালা কমে।
সবার যে একই খাবারে সমস্যা হবে তা নয়। কার কোন খাবারে বুক জ্বালা হয় বা এরকম কষ্ট হয় সেটা খেয়াল রাখতে হবে। সেসব খাবার বর্জন করতে হবে। না হলে এই জাতীয় কষ্ট পেতেই হবে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বড়দিনের ছুটির আগে রিয়ালের বড় জয়
ঘরের মাঠেই বিধ্বস্ত ইউনাইটেড
গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক
জমকালো আয়োজনে পালিত হলো বান্দরবান সেনাবাহিনীর ৬৯ ব্রিগেডের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ