সিরাজগঞ্জের যমুনা চরে মহিষ ও গরুর ভ্রাম্যমাণ বাথান
২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদী বুক জুড়ে জেগে উঠা চরে ঘাস খাওয়ানের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শত শত মহিষ ও গরু নিয়ে জমায়েত হয়েছে বাথানীরা। এই গরু ও মহিষের খামার দেখতে প্রতিদিন শত শত মানুষ জমায়েত হচ্ছে যমুনার চর জাগা সবুজের বুকে। প্রতি বছরই এই ভ্রাম্যমাণ বাথান গুলো বিভিন্ন জেলা হতে একত্রিত হয়ে মহিষ ও গরু ঘাস খাওয়ানের জন্য নিয়ে আসে যমুনার চরে। চরে গজিয়ে উঠা সবুজ ঘাস দিয়ে মহিষ ও গরুর খাদ্যের যোগান দিচ্ছেন।
চরাঞ্চলের বিশাল এলাকার উপর অবস্থানকারী এই বাথান গুলির এক প্রান্তে নদী রয়েছে যা খামারিদের জন্য মহিষ ও গরুগুলোর পানি পান করা ছাড়াও গোসল করানো সুবিধা পাচ্ছে। তাদের বাথানে বিভিন্ন প্রজাতির মহিষ ছাড়াও রয়েছে গরুর বিভিন্ন জাত। এদের মধ্যে মানিকগঞ্জ, বগুড়া, জামালপুর জেলা থেকে একত্রিত হয়ে এনায়েতপুর থানা আওতাধীন ঘাটাবাড়ী, উতুলি, বাঐখোলা, মালিপাড়া, নওহাটা, তেগুরী, গোসাইবাড়ি, কুচেমোড়া, কাজিপুরের তেকানীসহ বিভিন্নস্থানে অবস্থান করছে। সরেজমিনে দেখা যায়, তাদের এই সব বাথানে প্রায় ৪০০ ছোট বড় মহিষ ছাড়াও কয়েক’শ গরু রয়েছে।
বাথান পরিচালনাকারী হানিফ জানান, কাজিপুরের বিভিন্ন চরে প্রায় ১০টি বাথান রয়েছে। প্রতিটি বাথানে ২০ থেকে ২৫টি গরু ও ২০০ মহিষ রয়েছে। শ্রাবণ থেকে জ্যৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত পরিচালনা হয়ে থাকে। এ সময়ের মধ্যে গরু-মহিষের খাদ্যের জন্য ঘাস এক থেকে দেড় লাখ টাকায় স্থানীয় জমির মালিকদের থেকে চর ইজারা নেয়া হয়। আয় হিসেবে প্রতিটি বাথান থেকে প্রতিদিন ১৭০ থেকে ১৮০ লিটার দুধ সংগ্রহ করা হয়। যা ৮০ টাকা লিটার বিক্রয় করা হয়।
গরু ও মহিষের রাখাল হাবিব বলেন, আমার ৫০টি মহিষ রয়েছে। আমার মতন অনেকে একসাথে এসে এখানে মহিষ ও গরু গুলো খাওয়াচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের এলাকায় ঘাস কম থাকায় এখানে এসেছি, প্রায় ছয় মাস ধরে অবস্থান করছি আগামী বর্ষা মৌসুমে যার যার এলাকায় চলে যাব।
আরেক রাখাল আব্দুল আজিজ জানান, এখানে নদী কাছে হওয়ায় এবং সবুজ ঘাস বেশি হওয়ার কারনে খামার পরিচালনা করতে খুব সহজ হয়। তিনি আরো বলেন, এখানকার লোকজন অনেক ভাল। আমাদের খুবই সাহায্য সহযোগিতা করছে, প্রতি বছর এই সময়ে এখানে গরু ও মহিষ নিয়ে আসি এবং ভবিষ্যতেও আসব।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ওমর ফারুক জানান, প্রতি বছরই সিরাজগঞ্জে যমুনার চরে গজিয়ে উঠা সবুজ ঘাস খাওয়ানোর জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে বাথানীরা গবাদি পশু নিয়ে আসে। বর্ষা মৌসুমে চরে পানি উঠার আগে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যাবে। প্রতিটি বাথান থেকে বাথানিরা দুধ সংগ্রহ করে। প্রতি কেজি দুধের মূল্য ৮০ টাকা।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ট্রাম্প
ভোটের অধিকার রক্ষায় জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে : সিইসি
অস্ত্র মামলায় মামুন খালাস
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা
ইনু-মেনন-সালমান-আনিসদের রিমান্ড, নতুন করে গ্রেপ্তার মন্ত্রী-এমপিসহ ১৬ জন
দলীয় নেতাদের একযোগে কাজ করার আহ্বান এবি পার্টির
হত্যা মামলায় মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ৫ দিনের রিমান্ডে
হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা
আমদানি মূল্য পরিশোধের সময় বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
বকেয়া পরিশোধে জুন পর্যন্ত সময় বাড়লো আদানি
অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের
দিল্লি ফ্যাসিবাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে : রিজভী
বেক্সিমকোর ১৬টি কারখানার ছাটাইকৃত শ্রমিকদের চাকরি ফিরে পাওয়ার সিদ্ধান্ত ২৭ জানুয়ারি
যুদ্ধবিরতির কয়েক মিনিট আগেও ইসরায়েলের হামলা গাজায় বিলম্বিত সময়ের মধ্যে নিহত ১৯
আমেরিকার স্বর্ণযুগ শুরু হচ্ছে
প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের মাঝে ছাত্রদল নেতার শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ
এবার মেডিকেলে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উত্তীর্ণদের ফল স্থগিত
চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এলডিপি মহাসচিবের বৈঠক
সরিষাবাড়ী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ