বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী আধুনিক ইসলামী রাষ্ট্র হিসাবে আর্বিভূত হচ্ছে- এ এম এম বাহাউদ্দীন
২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৪ এএম
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন সভাপতি, দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেছেন, বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী আধুনিক ইসলামী রাষ্ট্র হিসাবে আর্বিভূত হচ্ছে। গত ৫৪ বছর ধরে এদেশের কৃষ্টি সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার জন্য ভারত কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে। অনেক মিডিয়া তৈরী করেছে, ব্যাপক প্রচার প্রচরণা চালিয়েছে, কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হয়নি। মূহুর্তের মধ্যে সব শেষ হয়ে গেছে। বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ ইসলামী চেতনায় বিশ্বাসী। এদেশের মানুষ ইসলাম প্রিয়, শান্তি প্রিয়। রাজধানীর বায়তুল মোকাররম চত্বরে শুক্রবার মুনিরিয়া যুব তাবলীগের এশায়াত সম্মেলনে বিশেষ অথিতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, এদেশের মুসলমানরা ইসলামের বিরুদ্ধে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র বরদাস্ত করবে না। ইসলামের প্রশ্নে দেশের সকল আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ, দরবার শরীফ সব ঐক্যবদ্ধ হয়ে যাবে। এদেশে অলি- আউলিয়াদের হাত ধরে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ইসলামের প্রচার ও প্রসার হয়েছে। এখন এই শীতের মৌসুমে সারাদেশে ওয়াজ মাহফিল চলছে। কোটি কোটি মানুষ আলেম উলামাদের বয়ান শুনছেন, ইসলামের মর্মবাণী অনুধাবন করছে। এটাই বাংলাদেশের সংস্কৃতি। এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে কেউ ঠিকতে পারবেনা। তিনি বলেন, সরকারে যারা আছেন তাদের বুঝতে হবে যে এদেশের মানুষ ইসলাম প্রিয়, শান্তি প্রিয়। ছাত্র সমন্বয়কদের মেধা ও মননে এর পরিস্ফুটন লক্ষ করা যায়। তারা এদেশকে একটি বৈষম্যহীন আদর্শ রাষ্ট্র গঠনে কাজ করছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন ভারত যদি এখনো নিজেদের সংযত না হয় তাহলে তাদের নর্থইস্ট নিয়েও ঝালেমা শুরু হবে। মাহফুজ যে টা বলেছেন তাই হবে।
ইনকিলাব সম্পাদক বলেন, এদেশের সংস্কৃতিকে ধ্বংস করতে, পরিবর্তন করতে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। অনেক প্রচার প্রচারণা হয়েছে। ইসলাম বিদ্বেষী, লোভী, হিংসাত্মক সমাজ গঠনে অনেক চেষ্টা করেছে কিন্তু সব কিছু ভেঙ্গে এদেশের মানুষ তাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে ধারণ করে টিকে আছে। আল্লাতায়লা, যেটা নির্ধারণ করেছেন তার বাইরে যাওয়া সম্ভব নয়। লোভ, প্রতিহিংসা, দম্ভ অহংকার এসব করেও শে হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। সিরিয়ায় বাশার আল আসাদও ক্ষমতা ছেড়ে পালাতে হয়েছে। অটোমান সাম্রাজ্য, রোমান সাম্রাজ্য কোন কিছুই টিকে থাকেনি। আজকে আমরা দেখছি ইসরাইল অনেক শক্তিশালী। হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নারী-পুরুষ ও শিশুকে হত্যা করছে। কিন্তু বাস্তবে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থাও অনেক নড়বড়ে। ইসরাইলও অনেক হুমকিতে আছে।
এশায়াত সম্মেলনে প্রধান মেহমানের বক্তব্যে কাগতিয়া আলীয়া দরবার শরীফের পীর হযরতুলহাজ্ব আল্লামা অধ্যক্ষ শায়খ ছৈয়্যদ মুনীরুল্লাহ আহমাদী বলেন, মানুষের প্রতিটি আমল তার নিয়তের উপর নির্ভরশীল। পরিশুদ্ধ নিয়ত ব্যতিরেকে কোন আমলই গ্রহণযোগ্য হয় না। বিশুদ্ধ নিয়তের জন্য প্রয়োজন অভ্যন্তরীণ পরিশুদ্ধি। তাকওয়া-তাওয়াক্কুল, ইবাদাত-বান্দেগিতে একাগ্রতা সৃষ্টির জন্য প্রয়োজন সিনা-ব-সিনা তাওয়াজ্জুহ বিশিষ্ট তরিক্বত। এ তরিক্বতে রয়েছে রাসূলে পাক (দ.) এর বাতেনি নূরের তাওয়াজ্জুহ, ফয়েজে কুরআন তথা কুরআনের নূর লাভের সুযোগ, মোরাকাবার অনুশীলন এবং দৈনিক ১১১১ বার দরূদে মোস্তফা পড়ার বিধান। রাসূলে পাক (দ.) এর বাতেনি নূরের তাওয়াজ্জুহ প্রদানের মাধ্যমে ক্বলবের অন্ধকার দূর করে আল্লাহ তা’আলার জিক্ধিসঢ়;র জারি করান। মানুষের মাঝে নবীপ্রেমের শিক্ষা দিয়ে রাসূলে পাক (দ.) এর সুমহান আদর্শ ও আখলাকে হাসনার আলোকে জীবন গঠনে সকলকে অনুপ্রাণিত করেছেন। বিশেষ করে যুবসমাজের চারিত্রিক পরিশুদ্ধির মাধ্যমে একটি সুন্দর সৌহার্দপূর্ণ ও মানবিক সমাজ বিনির্মানে অবিস্মরণীয় ভ‚মিকা পালন করেছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও সিনেট সদস্য এবং মুনিরীয়া যুব তবলিগ কমিটি বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এশায়াত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জমিয়তুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব আল্লামা শাব্বির আহমদ মোমতাজী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গণিত বিভাগের প্রফেসর ড. জালাল আহমেদ। বক্তব্য রাখেন মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ কাজী আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকী, মাওলানা মুহাম্মদ আবদুস সবুর, মাওলানা মুহাম্মদ ফোরকান, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মাওলানা মুহাম্মদ এরশাদুল হক, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন নূরী, মাওলানা মুহাম্মদ রকিব উদ্দিন, মাওলানা মুহাম্মদ গোলাম রাব্বানি ফয়সাল। মিলাদ-কিয়াম শেষে প্রধান মেহমান দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি-সমৃদ্ধি এবং কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
যুদ্ধবিরতি চললেও পশ্চিম তীরে ইসরাইলি হামলায় আহত ১২
সাভারে রূপালী ব্যাংকের এটিএম বুথ উদ্বোধন
মোরেলগঞ্জে স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করণে ডরপ’র মতবিনিময় সভা
কৃষক জামালের ক্ষেতে রঙিন ফুলকপি, উদ্বুদ্ধ হচ্ছে অন্য কৃষকরাও
জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার বাতিল
কুয়াশা ও তাপমাত্রা নিয়ে নতুন তথ্য আবহাওয়া অধিদপ্তরের
কলকাতায় প্রকাশ্যে মুরগির মাংস বিক্রি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ভারত থেকে অনুপ্রবেশের সময় ফেনীতে সুদানের নাগরিক আটক
ক্ষমতা গ্রহণ করেই বাইডেন আমলের ৭৮ নির্বাহী আদেশ বাতিল ট্রাম্পের
পেকুয়ায় প্রাচীন খাল উদ্ধারে পদক্ষেপ জনমনে স্বস্তি
ঢাকার বাতাস ২৪৬ স্কোর নিয়ে আজ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
ট্রাম্প ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গায় জড়িত ১৫০০ জনকে ক্ষমা করলেন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত ‘সেকেন্ড লেডি’
গাজা একটি ‘বিশাল ধ্বংসস্তূপ’, পুনর্নির্মাণ করা প্রয়োজন: ট্রাম্প
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির প্রথম পদক্ষেপ গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি: ডোনাল্ড ট্রাম্প
ট্রাম্পের শপথ : যোগ দেন চীনের হ্যান ঝেং ভারতের জয়শঙ্কর
সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
সত্যিই কি মারা গেছেন ম্যাশ? কি বলছে রিউমর স্ক্যানার?
সেই যুবকের বিরুদ্ধে ৯০০ টাকা চুরির মামলা
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা ট্রাম্পের