প্রত্যেক ধর্মের শান্তির বাণী নিজের মধ্যে স্থাপন করতে হবে: ড. ইউনূস
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৬ এএম
প্রত্যেক ধর্মের শান্তির বাণী নিজের মধ্যে স্থাপন করতে হবে, তাহলে অন্যের ধর্মের সঙ্গে কোনো বিভেদ থাকবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে খ্রিষ্টান ধর্মের নেতাদের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন— বাংলাদেশের ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু আর্চবিশপ বিজয় এন ডি'ক্রুজ, দ্যা ন্যাশনাল ক্রিশ্চিয়ান ফেলোশিপ অব বাংলাদেশের সভাপতি বিশপ ফিলীপ পি অধিকারী, বাংলাদেশ ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, বাংলাদেশ ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ইগ্লাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া এবং বাংলাদেশ খ্রিষ্টান মহাজোটের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নির্মল ডি' কস্তা।
বক্তব্যে তারা প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাংলাদেশে উদারতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি গড়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন এবং খ্রিষ্ট্রান সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আর্চবিশপ বিজয় এন ডি'ক্রুজ বলেন, ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। প্রফেসর ইউনূস দেশ পরিচালনার কঠিন দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন। আপনি জ্ঞানী, সৎ এবং বাংলাদেশে সবার আস্থাভাজন ব্যক্তি। আপনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হয়ে উঠুক, মানুষের মধ্যে ভালোবাসা, মমত্ববোধ, মানবপ্রেম, ভ্রাতৃত্ববোধ ও ক্ষমাশীলতা গড়ে উঠুক। বড়দিনে এটাই আমাদের প্রার্থনা। বাংলাদেশ আপনাদের নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে। খ্রিষ্টান সম্প্রদায় আপনার পাশে আছে।
বড়দিন উপলক্ষ্যে খ্রিষ্ট্রান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে আড়াই কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান তারা। দেশব্যাপী চার্চগুলোতে এ অনুদান বণ্টন হয়েছে বলে জানান তারা।
বড়দিন উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টাকে একটি বাইবেল উপহার দেন তারা।
বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজকের দিনে আপনাদের সঙ্গে দেখা হলো এতে আমি খুব খুশি হয়েছি। আমরা ধর্মীয় সংহতি চাই। সংখ্যালঘু, সংখ্যাগরিষ্ঠ এই শব্দগুলো আমরা চাই না। এদেশে আমরা সবাই এক পরিবার, সবাই মিলে একত্রে থাকবো, এটা আমাদের স্বপ্ন। এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সবার এগিয়ে আসতে হবে।
‘আমরা মানুষ একই। আমাদের মানুষ পরিচয় আগে, তারপর ধর্ম। প্রত্যেক ধর্মে শান্তির বাণী আছে। সেই শান্তির বাণী নিজের মধ্যে স্থাপন করতে হবে। তাহলেই বিভেদ দূর হবে। নিজ নিজ ধর্মের শান্তির বাণী নিজের মনের মধ্যে স্থাপন করা গেলে অন্য ধর্মের মধ্যেও তা খুঁজে পাবেন। তখন আর অন্য ধর্মের সঙ্গে বিভেদ হবে না। আমাদের ছেলেমেয়েরা সুন্দর শৈশব পাবে।’
শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
সালথায় যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যায় তিনজন কারাগারে
আজ মুক্তি পাচ্ছে জয়া আহসানের 'বাগান বিলাস'
বিশ্ব রেকর্ড গড়ে চেলসিতে গির্মা
কলম্বিয়ার ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প
রাজবাড়ীতে বিভিন্ন মামলার ৬ আসামী গ্রেপ্তার
ইত্যাদিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ উঠে আসবে নানা অজানা বিষয়
ইসলামী আন্দোলন-বিএনপির বৈঠকে ১০টি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ
চাটমোহরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল আলিম আটক
দুই বছরের মধ্যে দিল্লিকে বাংলাদেশি মুক্ত করব: অমিত শাহ
ধর্মপুর এডুকেশনাল এস্টেট এর এডহক কমিটির সভাপতি হলেন সানিয়া মাহমুদ
কঙ্গোর গোমা শহর দখলের দাবি বিদ্রোহীদের, বাস্তুচ্যুত লাখো মানুষ
ময়মনসিংহে অটোরিকশা চালকদের ধর্মঘট, বিপাকে যাত্রীরা
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
খুলনায় দ্বিতীয় দিনের মত ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ
রাজবাড়ীতে হেরোইনসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
নিরাপদ অভিবাসন ও দক্ষতা উন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
৩৪ বছর পর উইন্ডিজের পাকিস্তান জয়
লালমোহনে ১০ লাখ টাকার অবৈধ জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস
চরমোনাই পীরের সঙ্গে বৈঠকে মির্জা ফখরুল
মতলবে মাসিক আইন শৃঙ্খলা ও সাধারণ সভা