‘হাত ভেঙে দিবো, চুপ করে থাকবেন, পাকিস্তান পাঠিয়ে দেবো’- বলা এসপির সেই ভিডিও ফের ভাইরাল

সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১৮ পিএম | আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২২ পিএম

৫ আগস্টের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, একজন পুলিশ একটি সমাবেশ মঞ্চে বলছেন, বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংবিধান যারা মানেন না তাদের কাছে তিনটা অপশন আছে। তা হলো- হাত ভেঙে দিবো, জেল খাটতে হবে। একবারে চুপ করে থাকবেন, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নিয়ে কোনো প্রশ্ন করতে পারবেন না। আর আপনার কাছে বাংলাদেশ পছন্দ না হলে পিয়ারে পাকিস্তানে চলে যান। এরপর সামনে বসা উপস্থিত দর্শকরা তালি দিয়ে দিয়ে তার বক্তব্যের সমর্থন জানাচ্ছেন।

আরও দেখা যায়, যারা বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার করে না তারা হলো রাজাকার। বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতির পিতা এ নিয়ে কোনো আপস নয়। মৌলবাদীরা বাংলাদেশের ইতিহাস স্বীকার করতে চায় না। বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। যারা জাতির পিতার ভাস্কর্য ভাঙে তারা বাংলাদেশকে স্বীকার করে না। এছাড়া মাদরাসা ও মৌলবাদীদের নিয়ে তিনি কটাক্ষ করেন।

তিনি হলেন- কুষ্টিয়ার সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম তানভীর আরাফাত। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) কুষ্টিয়ায় বিএনপির কর্মী সুজন মালিথা হত্যা মামলার প্রধান আসামি ‘তিন অপশন’ খ্যাত সেই আরাফাতকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান। খুলনার খালিশপুরের বাসিন্দা তানভীর আরাফাত সিলেট রেঞ্জ ডিইউজি অফিসে উপ-পুলিশ কমিশনার (সংযুক্ত) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

জানা গেছে, এই পুলিশ হাসিনার চামচা বলে খ্যাত ছিল। স্বৈরাচার হাসিনা যা করতে বলতেন, তাই তিনি করতেন। তিনি হাজার হাজার মানুষ খুন করেছেন। এছাড়া তিনি ধর্ষণ ও জোড়পূর্বক জমি দখল করতেন। বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের প্রকাশ্যে গুলি করতেন আরাফাত। যার কারণে এলাকায় তাকে খুনি ও হাসিনার চামচা বলেও পরিচিত ছিল। তিনি স্বৈরাচারদের সেবাদীসী হিসেবে পরিচিত চিল। তার আমলে সাধারণ মানুষ কোনো ন্যায় বিচার পেতো না। অনেকেই বলছেন, অতি দ্রুত যেন এই খুনি, বাটপার ও প্রতারকের ফাঁসি হয়।

নেটিজেনরা বলছেন, হাজার হাজার ব্যক্তিদের খুন করা লোক তানভিরের কেন এখনও ফাঁসি হয় না। যার বিরুদ্ধে অসংখ্য মানুষদের প্রত্যক্ষ প্রমাণ ও সাক্ষী থাকার পরও কেন এই খুনির বিচার হয় না। আমরা চাই তার প্রত্যক্ষ ফাঁসি দেওয়া হোক। এসব ব্যক্তিদের কারণে অসংখ্য মানুষ এখন পুলিশ পরিচয় দিতে ভয় পায়।

সাইদ আনোয়ার নামে একজন লিখেছেন, কিছু বলার মতো ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আওয়ামী লীগ আর পুলিশ লীগের কথাবার্তা শুনে জাতি পাগল হয়ে যাবে।

নেটিজেনরা আরও বলছেন, এসএম তানভীর আরাফাতের মতো প্রশাসনে অসংখ্য খুনি হাসিনার চামচা ছিল। তাদের কাজই ছিল খুনি হাসিনার কথা বাস্তবায়ন করা। প্রশাসনে এসব লোক থাকলে দেশ কখনও উন্নত হতে পারে না। তাই আমরা চাই দ্রুত খুনি হাসিনার আমলে প্রশাসনে যারা ছিল ও যারা তার কথা বাস্তবায়ন করেছে, এসব খুনিদের চিহ্নিত করে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হোক।

বিভাগ : জাতীয়