ছাদের কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি করা সেই এসআই গ্রেফতার
২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৩ এএম | আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৫ এএম
গত ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর রামপুরায় এক ভবনের ছাদের কার্নিশে ঝুলে থাকা এক তরুণকে গুলি করেন পুলিশের এক কর্মকর্তা। এ ঘটনায় পুলিশের অভিযুক্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে গ্রেফতার করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ টিম।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাতে পৌনে ১০টার দিকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রোববার রাতে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থানা এলাকা থেকে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে গ্রেফতার করা হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তানভীর হাসান জোহার নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিল ঢাকা থেকে আসা পুলিশের একটি বিশেষ ইউনিট। গ্রেফতারের পর রোববার রাতেই পুলিশি পাহারায় এসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি মো. জাকারিয়া।
জুলাই আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে বনশ্রীতে হোটেলে কাজ করে বাসায় ফিরছিলেন আমির হোসেন। বনশ্রী-মেরাদিয়া রাস্তায় দুই পাশে পুলিশ ও বিজিবির গাড়ি দেখে ভয়ে পেয়ে যান তিনি। একপর্যায়ে পাশে থাকা নির্মাণাধীন চার তলা একটি ভবনের ছাদে উঠে পড়েন আমির। তার পিছু পিছু পুলিশও যায়। একপর্যায়ে প্রাণে বাঁচাতে রড ধরে ঝুলতে থাকেন তিনি। পুলিশ সদস্যরা তাকে দেখেই গুলি শুরু করেন। আর নিচে লাফ দিতে বলেন। এরপর আরেকজন পুলিশ তিন তলায় গিয়ে ছয়টা গুলি করে, সেই গুলি তার দুই পা ও উরুতে লাগে। সবগুলো গুলি এক জায়গায় দিয়ে ঢুকে অন্য জায়গায় দিয়ে বের হয়ে যায়।
এরপর তিনি তিন তলায় পড়ে যান।এরপর তার চিৎকার শুনে চার-পাঁচজন লোক এসে বনশ্রীর ফেমাস হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ব্যান্ডেজ ও রক্ত বন্ধ করার পর রাত ১টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে মেরাদিয়ার বাসায় ফেরেন আমির হোসেন।
সেদিনের স্মৃতিচারণ করে আমির হোসেন বলেন, ‘সেদিন পুলিশ যাকে পেয়েছে তাকেই গুলি করেছে। আমার কাছে মনে হয়েছে, পুলিশ আমাকে বুকে পেটে মাথায় গুলি করতে পারতো। কিন্তু তারা চেয়েছে আমি যেন লাফ দিয়ে পড়ে যাই। আর এত ওপর থেকে লাফ দিলে মনে হয় না আমি বাঁচতাম। কিন্তু যেসময় গুলি করছিল, মনে হয়েছিল আমি আর বাঁচবো না। আমি যন্ত্রণায় ছটফট আর গড়াগড়ি করছিলাম। এরপর আমার চিৎকার শুনে চার-পাঁচজন লোক এসে আমাকে বনশ্রীর ফেমাস হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ব্যান্ডেজ ও রক্ত বন্ধ করার পর রাত ১টার দিকে আমাকে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে যাওয়া হয়। ৫টা গুলি গুলি লাগে পায়ে। একটা গুলি লাগে উরুর পাশে।’
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
শিক্ষার্থীদের ভিসা দ্রুত দিতে কানাডাকে ঢাকার অনুরোধ
অবৈধ বালু উত্তোলন বিরুদ্ধে অভিযানে ৪০ মিনি ড্রেজার, টাওয়ার ও পাইপ ধ্বংস
২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা বহাল রাখার নির্দেশ
ইবিতে বাস ভাঙচুর ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি
সাইবার আদালত থেকে খালাস পেলেন নূরুল করীম আকরাম ও ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন
‘টাকা থাকলে দল নেবে, না থাকলে নেবে না’
লামায় অস্ত্রসহ ১ জন পাহাড়ি সন্ত্রাসী আটক
বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার বুমরাহ
আটকেপড়া বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর দিলো মালয়েশিয়া
৩৫৬টি কেন্দ্র, কল সেন্টার এবং অনলাইনে বিকাশের নিরবচ্ছিন্ন গ্রাহক সেবা
পায়ে হেঁটে দুই ঘণ্টায় দুই লাখ ফিলিস্তিনির উত্তর গাজায় প্রবেশ
ঢাবি থেকে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলে সাদা দলের অভিনন্দন
৩ মাসে অ্যাপেক্সের মুনাফা ৩ কোটি টাকা
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সেইভ ইয়ুথের নেতৃত্বে রুম্পা-বাপ্পি
বিএনপির ৩১দফা বাস্তবায়নে সালথায় জিয়া মঞ্চের লিফলেট বিতরণ
বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে ইইউ
৩ মাসে ৯৪ কোটি টাকা মুনাফা করেছে বার্জার পেইন্টস
আহসানুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যালুমনাই ও লাফার্জহোলসিমের সমঝোতা চুক্তি
রেলের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আহ্বান সরকারের
ড. ইউনূসকে নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা