নেটিজেনদের 'বাহুবলী' হাসনাত আবদুল্লাহ

অনলাইন ডেস্ক

২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৬ এএম | আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:১১ এএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে গতরাতে সংঘর্ষের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি প্রশমিত করার জন্য ছাত্রনেতা হাসনাত আবদুল্লাহর ভূমিকা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে ব্যাপক আলোচনা। নেটিজেনরা তাঁকে ভালোবেসে তুলনা করেছেন জনপ্রিয় চরিত্র ‘বাহুবলী’র সঙ্গে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাবি শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যেই তাদের বিরত করার চেষ্টায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

তিনি সোমবার মধ্যরাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে ঢাবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা যায়। একপর্যায়ে ঢাবি শিক্ষার্থীরা হাসনাত আব্দুল্লাহর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরের দিকে যান। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস এবং ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি ভুল বোঝাবুঝি সংঘাতে রূপ নেয়। মূলত, পরীক্ষার সময়সূচি এবং অন্যান্য একাডেমিক বিষয় নিয়ে তৈরি হওয়া সমস্যাই এই উত্তেজনার মূল কারণ ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে শুরু করলে হাসনাত আবদুল্লাহ মধ্যস্থতার উদ্যোগ নেন।

ঘটনার সময়ে হাসনাত আবদুল্লাহ রাতেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সেখানে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে চান। তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন কিন্তু তাঁর কথা কেউ না শুনে চারদিক থেকে ঘিরে ধরেন এবং ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকেন। পরিস্থিতি অশান্ত দেখে তাঁর সঙ্গে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতা তাঁকে সরিয়ে নেন। তবে হাসনাত আবদুল্লাহর বিচক্ষণতা, সাহসী নেতৃত্ব ও তাৎক্ষণিক উপস্থিতি দিয়ে নেটিজেনদের প্রশংসা পান।

এই ঘটনাটি প্রকাশিত হওয়ার পর, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাসনাতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা। তাঁর সাহস এবং ধৈর্য্যকে বাহুবলীর শক্তি ও নেতৃত্বের সঙ্গে তুলনা করে তাঁকে “বাহুবলী হাসনাত” নামে অভিহিত করা হচ্ছে। অনেকে মন্তব্য করেছেন, “হাসনাতের মতো নেতৃত্বই এখনকার শিক্ষার্থীদের দরকার।”

হাসনাত আবদুল্লাহর এই উদ্যোগ শুধু সংঘর্ষ থামাতেই নয়, শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এরকম নেতৃত্ব এবং বিচক্ষণতা শিক্ষাঙ্গনে শান্তি বজায় রাখতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে।

বিভাগ : জাতীয়