গাজায় গণহত্যা ও ইন্ডিয়ায় ওয়াকফ আইন সংশোধন: বিএমএল’র উদ্বেগ
১০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০১ এএম | আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০১ এএম

গাজায় চলমান গণহত্যা এবং ইন্ডিয়ায় ওয়াকফ আইন সংশোধনের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) এর সভাপতি ব্যারিস্টার নাসিম খান।
৯ এপ্রিল বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গাজা জ্বলছে, ওয়াকফ বিলুপ্ত হচ্ছে- মুসলিমদের আত্মপরিচয় আজ চূড়ান্ত হামলার মুখে। গাজা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, আর ভারতের সংসদে ওয়াকফ আইনের গলা কেটে ফেলার প্রস্তুতি চলছে। দুই দেশের ঘটনা, কিন্তু বার্তা একটাই: “মুসলমানদের জমি, স্মৃতি বা ক্ষমতার কোনো অধিকার নেই” — না দখলদার ফিলিস্তিনে, না মোদির ভারতে। দলটি দাবি করে এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটা পরিকল্পিত মুছে ফেলা। আমাদের চোখের সামনে ঘটে চলা মুসলিম সত্ত্বার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ।
গাজায় যা ঘটছে তা কোনো "সংঘর্ষ" নয়। এটা "যুদ্ধ" নয়। এটা হল গণহত্যা। লাখো ফিলিস্তিনি — বেশিরভাগই শিশু, নারী ও নিরস্ত্র নাগরিক — নির্মমভাবে হত্যার শিকার। হাসপাতাল ধ্বংস, স্কুল গুঁড়িয়ে ফেলা, মসজিদ ভেঙে চুরমার করে দেয়া — এসব হল আধুনিক উপনিবেশবাদের চেহারা। অথচ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চুপ করে বসে আছে। কেউ অস্ত্র দিচ্ছে, কেউ চোখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। ইসরায়েলের লক্ষ্য শুধু জমি নয় — তারা ফিলিস্তিনি জীবন, সংস্কৃতি, ইতিহাস মুছে ফেলতে চায় এবং যখন গাজা রক্তাক্ত, তখন মুসলিম বিশ্বের অধিকাংশ সরকার কয়েকটা বিবৃতি দিয়ে আবার বাণিজ্যে ব্যস্ত।
দলটি আরো দাবি করে ভারতের ওয়াকফ সংশোধনী: একটি আইনি দখল অভিযান। বিজেপি সরকার এখন ওয়াকফ আইনের এমন এক সংশোধনী আনতে যাচ্ছে, যার ফলে সরকার মুসলিম ধর্মীয় সম্পত্তির উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে। এটা কোনো সংস্কার নয়। এটা একটি পরিকল্পিত লুটপাট।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওয়াকফ শুধু জমি নয় — এটা মুসলিমদের আধ্যাত্মিক কাঠামো। মুসলিমদের মসজিদ, দরগাহ, মাদ্রাসা, কবরস্থান — এগুলো ইসলামের ইতিহাস, মুসলিমদের আত্মপরিচয়, মুসলিমদের স্মৃতি। এই নতুন সংশোধনী অনুযায়ী ভারত সরকার যেকোনো সময় ঘোষণা করতে পারবে, যে এই ওয়াকফ জমি "অব্যবহৃত" — এবং সেই জমি কেড়ে নিতে পারবে। কোনো প্রক্রিয়া নেই, কোনো সম্মতি নেই। শুধু একটিই শব্দ থাকবে: অধিগ্রহণ। দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী, উত্তরপ্রদেশ, অসম — একই স্ক্রিপ্ট বারবার চলছে। এখন এই প্রক্রিয়াকে জাতীয় স্তরে নিয়ে আসা হচ্ছে। একটি লক্ষ্য: মুসলিমদের নিঃশেষ করে ফেলা। গাজা, দিল্লি, রাখাইন, শিনজিয়াং, প্যারিস — একের পর এক জায়গায় মুসলমানদের হেয় করা হচ্ছে, দুর্বল করা হচ্ছে, ভূমি ও পরিচয় থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এটা কেবল প্রাণ ও জমির উপর হামলা নয় — এটা মুসলিম আত্মপরিচয় ও ইতিহাস মুছে ফেলার প্রচেষ্টা।
বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) এর বিবৃতিতে প্রতিটি সচেতন মুসলমান, প্রতিটি মিত্র, প্রতিটি ন্যায়পরায়ণ মানুষের প্রতি রাজনৈতিকভাবে, আইনগতভাবে, আত্মিকভাবে রুখে দাঁড়ানো এবং মুসলিম উম্মাহকে সুসংগঠিত হবার আহবান জানানো হয়।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

অন্তর্বর্তী সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে অর্থনীতি আরো সঙ্কটে পড়েছে : রিজভী

বাংলাদেশ-মিয়ানমার একমত হলে করিডোর চালু করতে পারে জাতিসংঘ

কলকাতায় হোটেলে আগুন নিহত ১৪

ইউক্রেন খুব শিগগিরই ‘ধ্বংস’ হবে: ট্রাম্প

টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়কে অবরোধ

প্রশ্ন : ঈদের বাজারে জীনদের বাজার করা প্রসঙ্গে।

ভ্যান চালক হত্যাচেষ্টা: অভিনেতা সিদ্দিকের ৭ দিনের রিমান্ডে

রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা ছাড়া রাখাইনে মানবিক করিডোর দেয়া থেকে বিরত থাকুন

প্রোটন বাজারে আনল দেশীয় অ্যাসেম্বল এক্স৭০ এসইউভি গাড়ি

হজযাত্রীদের জন্য বাংলাদেশি টাকায় রবির রোমিং প্যাকেজ

উত্তরপ্রদেশে মুসলিম ছাত্রের উপর অমানবিক অত্যাচার

দেশের স্থিতিশীলতার জন্য দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি: কাজী শিপন

ফেনীতে প্রধান উপদেষ্টার আবাসন পেল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০০ পরিবার

বিএনপির তৃণমূলের কর্মীদের কাছে পরীক্ষা দেওয়া ছাড়া কেউ নেতা হওয়ার সুযোগ নাই: আবুল কালাম

বিরামপুর হাসপাতালে দুদকের অভিযান, পেয়েছে নানা অনিয়ম

মাছ রক্ত,স্মৃতি ও দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়

এই গরমে ত্বকের রোগ

ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে চাই সচেতনতা

পান সুপারি ক্ষতিকর

বিশ্ব হরমোন দিবস, সচেতন হোন