‘বিনিয়োগ বোর্ডে হয়রানির শিকার হয়ে বহু বিদেশিকে কাঁদতে দেখেছি’
১০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০১ এএম | আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০১ এএম

উন্নয়নে বাধাগ্রস্থ ও দেশ ধ্বংসের পেছনে অনেকাংশেই আমলারাই দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন। গতকাল বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এমন মন্তব্য করে তিনি গত ১৬ বছরের কিছু আমলা। এদের যাবজ্জীবন কারাদÐ দেওয়া প্রয়োজন ছিল।
মাহবুব কবীর পোস্টে তিনি লেখেন, আপনারা কি জানেন বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা বিডা (পূর্বের বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্ট) কোন মন্ত্রণালয়ের আন্ডারে। মন্ত্রী কে? সচিব কে? সেই বিডা বা আগের বিওআই-কে যদি নিধিরাম সর্দার করে রাখা হয়, সেই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব বা অফিসে বিডার কোনো পাত্তা না থাকে, গুরুত্ব না থাকে, চিঠিপত্র পড়ে থাকে। বিডার কথা বা চিঠির গুরুত্ব যদি অন্যকোনো সরকারি অফিস না দেয়। বিডার নাম শুনলে যদি অন্য অফিস হাসি তামাশা করে।
বিডা প্রাণান্তকর চেষ্টা করার পরেও মন্ত্রী, সচিবদের অসহযোগিতার কারণে যদি বিনিয়োগকারীরা ফিরে যায়। বিডার চেয়ারম্যান, কর্মকর্তাদের যদি হায় হায় করে মাথা চাপড়াতে হয়।
বিডার একাধিক চেয়ারম্যানকে যদি আফসোস করে বলতে হয়, ‘কিছুই করতে পারলাম না। কেউ কথা শোনেনা।’ তাহলে বলতে পারেন, দেশে বিনিয়োগ বাড়বে কীভাবে! বিদেশিরা বাড়িঘর ফেলে হাজার হাজার মাইল দূরে আপনার দেশে এসে বিনিয়োগ করবে কেন!
মাহবুব কবীর লেখেন, চট্টগ্রামে অন্যান্য সরকারি অফিস থেকে ভয়াবহ হ্যারাসমেন্টে শিকার হয়ে বিনিয়োগ বোর্ডে আমার অফিসে এসে কেঁদে ফেলত বিদেশিরা। চাইনিজ, জাপানিজ অনেক বিনিয়োগকারীকে কাঁদতে দেখেছি। আমার অফিসের সবাই তার সাক্ষী। বলতে পারেন, এই দেশে এফডিআই বাড়বে কীভাবে! তিনি আরও লেখেন, বর্তমান চেয়ারম্যানের আগে এমন একজনকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, যার অর্ডার দেখে আমি শুধু হতভম্ব নই, হার্টফেল করার উপক্রম হয়েছিল। হার্টফেল করার উপক্রম হয়েছিল অনেকের। সেটাই ছিল বিডা নামক কফিনের শেষ পেরেক। তিনি লেখেন, এই দেশ ধ্বংসের পিছনে অনেকাংশেই আমলারাই দায়ী। বিশেষ করে গত ১৬ বছরের কিছু আমলা। এদের যাবজ্জীবন কারাদÐ দেওয়া প্রয়োজন ছিল।
মাহবুব কবীর মিলন ফেসবুক পোস্টে প্রশ্ন রাখেন, কী! বিডার মন্ত্রণালয়, সচিব কে? তিনি লেখেন, পিএম অফিস। সচিব হচ্ছে, পিএম অফিসের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এবং পিএম এর সেক্রেটারি। এখন প্রধান উপদেষ্টার অফিস বা কার্যালয়। তিনিই মন্ত্রী বিডার। এবার বুঝলেন, বর্তমানে ব্যাটে-বলে ফাটাফাটি কেমন হচ্ছে, কেন হচ্ছে এবং কেমন হতে পারে!
এই কম্বিনেশনই দরকার প্রত্যেক সরকারি অফিসে। ৩০ বছর চাকরি করেছি, আকুল হয়ে অপেক্ষা করেছি, এমন একটি মাহেন্দ্রক্ষণ বা কম্বিনেশনের। পাইনি, যা পেয়েছি, তা ছিল গতানুগতিক।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

দুদকের মামলা : আমানউল্লাহ আমান ও তার স্ত্রীর দন্ডাদেশ বাতিল

অন্তর্বর্তী সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে অর্থনীতি আরো সঙ্কটে পড়েছে : রিজভী

বাংলাদেশ-মিয়ানমার একমত হলে করিডোর চালু করতে পারে জাতিসংঘ

কলকাতায় হোটেলে আগুন নিহত ১৪

ইউক্রেন খুব শিগগিরই ‘ধ্বংস’ হবে: ট্রাম্প

টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়কে অবরোধ

প্রশ্ন : ঈদের বাজারে জীনদের বাজার করা প্রসঙ্গে।

ভ্যান চালক হত্যাচেষ্টা: অভিনেতা সিদ্দিকের ৭ দিনের রিমান্ডে

রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা ছাড়া রাখাইনে মানবিক করিডোর দেয়া থেকে বিরত থাকুন

প্রোটন বাজারে আনল দেশীয় অ্যাসেম্বল এক্স৭০ এসইউভি গাড়ি

হজযাত্রীদের জন্য বাংলাদেশি টাকায় রবির রোমিং প্যাকেজ

উত্তরপ্রদেশে মুসলিম ছাত্রের উপর অমানবিক অত্যাচার

দেশের স্থিতিশীলতার জন্য দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি: কাজী শিপন

ফেনীতে প্রধান উপদেষ্টার আবাসন পেল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০০ পরিবার

বিএনপির তৃণমূলের কর্মীদের কাছে পরীক্ষা দেওয়া ছাড়া কেউ নেতা হওয়ার সুযোগ নাই: আবুল কালাম

বিরামপুর হাসপাতালে দুদকের অভিযান, পেয়েছে নানা অনিয়ম

মাছ রক্ত,স্মৃতি ও দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়

এই গরমে ত্বকের রোগ

ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে চাই সচেতনতা

পান সুপারি ক্ষতিকর