প্রশাসনে ৯ মাসেও চিহ্নিত হয়নি আ.লীগের দোসররা

সমাবর্তন, আবাসন, জকসু নির্বাচনে গড়িমসি জবি প্রশাসনের

Daily Inqilab জবি সংবাদদাতা

১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৮ এএম | আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৮ এএম

জগন্নাথ কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর হয়েছে ১৯ বছর। কিন্তু শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত স্বচ্ছ আইন, আবাসন সুবিধাসহ শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক নানা অসুবিধা সমাধান করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় আন্দোলন, ক্লাস বর্জন, সচিবালয় ঘেরাও, রাস্তা অবরোধসহ নানা কর্মসূচির পর প্রশাসনের কাজে গতি এসেছে। দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণ কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হলে কাজ শুরু করেননি সেনাবাহিনী, আবাসন সংকট নিরসনে পুরান ঢাকায় বেদখল হলগুলো উদ্ধারে ঢাকা জেলা প্রশাসনের সাথে বারবার মিটিং করার পরও হয়নি কোনো সুরাহা। পরিত্যক্ত হল রয়েছে দুইটি কিন্তু অস্থায়ী স্টিলবেজড নির্মাণে ব্যয় বেশি হওয়ায় বিকল্প কিছু ভাবছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জুলাই আন্দোলনে জবির দ্ইুজন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে, গুলিবিদ্ধ, অঙ্গহানি হয়েছেন অর্ধ শতাধিক ও আহত হয়েছেন কয়েকশ’ শিক্ষার্থী। আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সাথে বিরোধীতা করে শিক্ষক, কর্মকর্তা, র্কমচারীরা নানাভাবে আওয়ামী সরকারকে সহযোগিতা করেছে। গত ৩ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনার সাথে দেথা করতে গণভবনে যান জবির ৫৭ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা। এদের অনেকেই ডিপার্টমেন্ট থেকে অবাঞ্ছিত হয়েছেন, পালিয়ে বিদেশ গিয়েছেন অনেকেই। অনেকেই আবার এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন জানার পরও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করছে। তবে তাদের বিচারের দাবীতে বারবার স্মারকলিপি দিচ্ছে জুলাই আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে গত ১০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. রেজাউল করিমের সাথে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০০ শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তিসহ অস্থায়ীভাবে আবাসন সুবিধা দেয়ার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। যার কাজের প্রক্রিয়া প্রায় শেষের দিকে, আগামী ২ মাসের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হলে ওঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। তবে শিক্ষার্থীদের দাবী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ (জকসু) না থাকার কারণে তারা শিক্ষার্থীদের কল্যাণে সর্বাত্মকভাবে কাজ করতে পারছে না। ছাত্র সংগঠনগুলো যার যার অবস্থান থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে একক প্ল্যাটফর্ম থেকে দাবি জানালে তা বেশি জোরদার হবে এবং সেখানে সকল শিক্ষার্থীদের সম্মতি থাকবে। কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৫ এ ছাত্রসংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো ধারা বা বিধির উল্লেখ না থাকায় গত ২জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৯তম সিন্ডিকেট সভায় নীতিমালার চূড়ান্ত খসড়া অনুমোদিত হয়েছে। এরপর তা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও রাষ্ট্রপ্রতির কাছে প্রেরণ করা হয়। তিন মাস পেরিয়ে গেলেও রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের হাতে আসে নি। ফলে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে দেরি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালযের প্রশাসনের।
গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে স্পষ্টকরণ ও রোডম্যাপ প্রকাশসহ ৮ দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান বৈষম্য, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার পুঙ্খানুপুঙ্খ বাস্তবায়ন এবং প্রশাসনের সর্বশেষ উদ্যোগের ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট রোডম্যাপের দাবি জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা গত ৫ আগস্ট থেকে শিক্ষার্থীবান্ধব ন্যায়সংগত দাবি-দাওয়া উপস্থাপন হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি বা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি। তাতে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে তারা ৮ দফা দাবি গুলো তুলে ধরে আগামী তিনদিনের মধ্যে জকসু’র নীতিমালা শিক্ষার্থীদের সামনে প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন। তাদের দাবি সমূহ হলো: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি অথবা পরোক্ষভাবে হামলা ও হুমকির সঙ্গে যুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হলেও, এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। অবিলম্বে এ বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি নিশ্চিত করতে করতে হবে। গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট পতনের পর বিলম্বিত করছে। আহত শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমি ফি মওকুফের দাবি করেছে। আহত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মানবিক আচরণ নিশ্চিত দ্রæততম ১ দাবি বারবার জানানো হলেও প্রশাসন নানা অজুহাতে বিষয়টি করেনি। এ দাবি পূরণ করতে হবে। ফ্যাসিবাদ কায়েমের লক্ষ্যে স্বৈরাচার ও তাদের দোসরদের বিভিন্নভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বিগত ১৫ বছর ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে একটি উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করে আগামী ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি।
গত ৫ আগস্টের শিক্ষার্থীদের মূল দাবি ও সে লক্ষ্যে কার্যক্রমসহ দুই দফা আন্দোলনের পরেও দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজের অগ্রগতি এখনো দৃশ্যমান নয়। পাশাপাশি আমাদের দাবি ছিল নির্দিষ্ট সময় অন্তর অগ্রগতির তথ্য শিক্ষার্থীদের জানাতে হবে। সেটিও গুরুত্বহীনভাবে নিচ্ছে প্রশাসন। দ্রæত সেনাবাহিনীর তত্ত¡াবধানে প্রকল্পের কাজ শুরু ও সম্পন্ন করতে হবে এবং প্রতিনিয়ত দৃশ্যমান কার্যক্রমের অগ্রগতি প্রকাশ করতে হবে। এ ছাড়া দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জমি অধিগ্রহণসহ সকল ধাপের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। যার দাবি আমরা ইতোপূর্বে জানিয়েছি, তা আগামী ২০ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের মধ্যে আবাসন সংকট নিরসনে ‘বাণী ভবন হল’ ও ‘হাবিবুর রহমান হল’ নির্মাণের অনুমতি পাওয়ার পরেও নানা কারণে বিলম্বিত করা হচ্ছে। যা স্পষ্টতই প্রশাসনের অনাগ্রহের প্রতিফলন। এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের অবস্থান অনড়। হল দুটি নির্মাণকাজ শুরু করতে হবে। এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী আবাসনের দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণ ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সিট বণ্টনের জোর দাবি জানানো হয়েছে। আবাসন সংকট নিরসনে প্রশাসনের পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের জন্য দ্রæত আবাসন বৃত্তি কার্যকর করার ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ছাড়া আগামী বাজেটে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনুপাতে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ আনতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে মাত্র একবার সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে অবশ্যই পূর্ণাঙ্গ সমাবর্তন আয়োজন নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র গণতান্ত্রিক প্ল্যাটফর্ম ‘জকসু’র নীতিমালা প্রণয়ন এবং নির্বাচন সংক্রান্ত রূপরেখা নির্ধারণ করে আগামী রোববারের মধ্যে জকসুর খসড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করতে হবে এবং তা আগামী এক কার্য দিবসের মধ্যে অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করতে হবে। সকল দাবির বাস্তবায়ন না হলে শিক্ষার্থীরা বৃহত্তর ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানা যায়।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

টাইম স্কেলধারীদেরও মিলবে উচ্চতর গ্রেড, রায় আপিল বিভাগে
রমনা বটমূলে বোমা হামলার বহুল প্রতীক্ষিত রায় ৮ মে
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নির্মিত ঘরের চাবি তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে নিয়ে তারেকের যত অভিযোগ
২০২৪ সালের বন্যা স্বাভাবিক ছিল না : প্রধান উপদেষ্টা
আরও
X

আরও পড়ুন

কুলাউড়ার রাউৎগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেন লিটন হোসাইন

কুলাউড়ার রাউৎগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেন লিটন হোসাইন

ঝিনাইদহে চাকরী মেলায় ১২ হাজার বেকার যুবকের স্বপ্ন পূরণের সুযোগ

ঝিনাইদহে চাকরী মেলায় ১২ হাজার বেকার যুবকের স্বপ্ন পূরণের সুযোগ

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ উদ্যোগে বাস্তবায়িত ৯০টি আবাসনের প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ উদ্যোগে বাস্তবায়িত ৯০টি আবাসনের প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন

লৌহজংয়ে ধান কাটা শুরু, ফলন ভালো তবু দুশ্চিন্তায় কৃষক

লৌহজংয়ে ধান কাটা শুরু, ফলন ভালো তবু দুশ্চিন্তায় কৃষক

বরিশালে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী সহ খোলা বাজারে সরকারী চাল ও আটা বিক্রি অব্যাহত

বরিশালে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী সহ খোলা বাজারে সরকারী চাল ও আটা বিক্রি অব্যাহত

টাইম স্কেলধারীদেরও মিলবে উচ্চতর গ্রেড, রায় আপিল বিভাগে

টাইম স্কেলধারীদেরও মিলবে উচ্চতর গ্রেড, রায় আপিল বিভাগে

টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

গত ১৫ বছর সংসদ কার্যকর ছিল না: শিশির মনির

গত ১৫ বছর সংসদ কার্যকর ছিল না: শিশির মনির

রমনা বটমূলে বোমা হামলার বহুল প্রতীক্ষিত রায় ৮ মে

রমনা বটমূলে বোমা হামলার বহুল প্রতীক্ষিত রায় ৮ মে

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নির্মিত ঘরের চাবি তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নির্মিত ঘরের চাবি তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

সিংগাইরে নাতনিকে ইভটিজিং, থানায় অভিযোগ করায় নানাকে পিটিয়ে হত্যা!

সিংগাইরে নাতনিকে ইভটিজিং, থানায় অভিযোগ করায় নানাকে পিটিয়ে হত্যা!

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে নিয়ে তারেকের যত অভিযোগ

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে নিয়ে তারেকের যত অভিযোগ

আসছে মে দিবসে দুরন্ত টিভির বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠান ‘নোঙর তোল তোল’

আসছে মে দিবসে দুরন্ত টিভির বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠান ‘নোঙর তোল তোল’

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সেনাদের মধ্যে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো গোলাগুলি

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সেনাদের মধ্যে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো গোলাগুলি

মির্জাগঞ্জে শিশু ধর্ষণ-চেষ্টার মামলায় বৃদ্ধ গ্রেফতার

মির্জাগঞ্জে শিশু ধর্ষণ-চেষ্টার মামলায় বৃদ্ধ গ্রেফতার

মিরাজের ব্যাটে বাড়ছে লিড

মিরাজের ব্যাটে বাড়ছে লিড

২০২৪ সালের বন্যা স্বাভাবিক ছিল না : প্রধান উপদেষ্টা

২০২৪ সালের বন্যা স্বাভাবিক ছিল না : প্রধান উপদেষ্টা

পাকিস্তানে ভারত-প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসী আটক, মিলল ড্রোন ও বিস্ফোরক

পাকিস্তানে ভারত-প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসী আটক, মিলল ড্রোন ও বিস্ফোরক

৭ মে শুরু হচ্ছে নতুন পোপ নির্বাচনের সমাবেশ

৭ মে শুরু হচ্ছে নতুন পোপ নির্বাচনের সমাবেশ