ওয়াশিংটনকে ঢাকার বার্তা : রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে মিয়ানমারে শান্তি আসবে না
১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৫ এএম

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে শক্তভাবে জানানো হয়েছে যে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে মিয়ানমারে শান্তি ফেরত আসবে না। গতকাল শুক্রবার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত ‘ফরেন সার্ভিস ডে’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে বৃহস্পতিবার মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, সেই সম্পর্কে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ ও সেন্ট্রাল এশিয়া ব্যুরো ডেপুটি এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল এন চুলিক এবং পূর্ব ও প্যাসিফিক ব্যুরোর ডেপুটি এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এন্ড্রæ হেরাপ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ছাড়াও প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তাদের সহায়তা করার জন্য মিয়ানমারে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতও ঢাকায় এসেছেন।
মিয়ানমার ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে মিয়ানমারে যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলেও শান্তি আসবে না। এটি আমি শক্তভাবে বলেছি। আমি এটাও বলেছি যে আমরা এখন একটি নতুন বাস্তবতায় আছি। সত্যিকার অর্থে আমরা এখন নতুন প্রতিবেশীর মুখোমুখি; যারা আবার নন-স্টেট অ্যাক্টর। কাজেই তাদের সঙ্গে আমরা না পারছি সরাসরি আচরণ করতে, না পারছি উপেক্ষা করতে। এটি একটি কঠিন পরিস্থিতি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমি বলেছি যে হয়তো একটা সময় সমস্যাটি থিতিয়ে আসবে এবং সমাধানের দিকে যাবে। তখন যারা আমাদের বন্ধু ও শক্তিশালী রাষ্ট্র আছে, তাদের সেখানে চাপ সৃষ্টি করতে হবে। যেন সেখানে যারা ক্ষমতায় আসবে, তারা রোহিঙ্গাদের মানবিকভাবে বিবেচনা করে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেয়। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের কর্মকর্তার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে বলেও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, শুল্কের প্রসঙ্গ এসেছে এবং বলেছি- আমরা চেষ্টা করছি বাণিজ্য বাধা কমিয়ে আনতে। আমি আরেকটি পয়েন্ট বলেছি যে দুপক্ষের মধ্যে যতটা তফাৎ বলা হয়, সেটি ততটা নয়। কারণ সেবা খাতে আমরা প্রচুর আমদানি করি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, কর্মীদের বিদেশ পাঠানোর ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ সমস্যা দেশ থেকেই তৈরি হয়। এই সমস্যাগুলো পরবর্তীতে দূতাবাসকে সামলাতে হয়। প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা দিয়ে কর্মীদের পাঠানো গেলে প্রবাসীদের সমস্যা কম হবে। পাশাপাশি মিশনগুলোর ওপরও চাপ কমবে। তৌহিদ হোসেন বলেছেন, সবার আগে প্রবাসীদের সমস্যা সমাধান করতে হবে। দূতাবাসের সীমাবদ্ধতা থাকলেও মানুষকে আগে সেবা দিতে হবে। তিনি বলেন, ১৯৮০ এর দশকে রফতানি ছিল এক বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে সেটা ৬০ বিলিয়ন ডলার, যেখানে কিছুটা হলেও দূতাবাসের ভ‚মিকা আছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বৈশ্বিক জনমত সৃষ্টিতে ফরেন সার্ভিসের কর্মকর্তারা কলকাতা থেকে কাজ শুরু করেছিলেন। ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল তখন ৬৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশন গঠন হয়।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

হাজীগঞ্জ নিখোঁজ কলেজ ছাত্রের লাশ ডাকাতিয়া নদী থেকে উদ্ধার

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বন্ধের ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন

‘মার্চ ফর গাজা’র রোষের শিকার হয়ে দেশে ফিরলেন শতাধিক বাংলাদেশি

পাকিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত অন্তত ৯ জন

সীমানারেখায় ঝুলছে পদ্মাচরের লাখো মানুষের ভাগ্য

পাকিস্তানে তেলবাহী ট্যাংকারে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৬০, নিহত ১

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালনের আহ্বান জামায়াতের

ইয়েমেনে হামলা চালাতে গিয়ে সাগরে ডুবে গেল সর্বাধুনিক মার্কিন যুদ্ধবিমান

রাজনৈতিক নেতাদের সমর্থন ছাড়া কিছু সম্ভব নয়: সিইসির মন্তব্য

পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

ভারতে এবার মুসলিম পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা

বিদেশিনীর প্রেমে মজেছে সৃজিত,ভাঙনের সুর সংসারে!

প্রবাসীদের জন্য ‘আউট অব কান্ট্রি ভোটিং’ চালু করতে চাই: সিইসি

গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যের ওপর নির্ভর করবে সংলাপের সাফল্য: আলী রীয়াজ

অযত্ন-অবহেলায় ধ্বংসের পথে পাকুন্দিয়ার আওরঙ্গজেব মসজিদটি

রুদ্ধদ্বার শুনানি, জামিন পাননি খালেদা জিয়ার ভাগনে সাবেক এমপি তুহিন

উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম, এলজিইডির ৩৬ দপ্তরে দুদকের একযোগে অভিযান

সাবেক বিচারপতি খায়রুল হকের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মাগুরায় বিক্ষোভ সমাবেশ

অনলাইন ক্যাসিনো বা জুয়া নিয়ে কিছু অজানা তথ্য

বনশ্রীর মেরাদিয়ায় কোরবানির পশুর হাট বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ