গ্রীষ্মেও স্বাভাবিক থাকবে বিদ্যুৎ: পিডিবি’র আশ্বাস
২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২২ এএম | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৪ এএম

প্রচণ্ড গরমে নাগরিক দুর্ভোগের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট। তবে চলমান গ্রীষ্মে সেই উদ্বেগ কিছুটা কমানোর আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রেজাউল করিম। তিনি জানিয়েছেন, বিদ্যমান সব বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজ করছে এবং গ্রীষ্মকালীন চাহিদা মেটাতে যথাসাধ্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও চাহিদার ব্যবধান যতটা সম্ভব কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপও গ্রহণ করছে।
রোববার (২০ এপ্রিল) বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পিডিবি চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে বিদ্যমান বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো দিনে গড়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে, যেখানে দৈনিক গড় চাহিদা প্রায় ১৫ হাজার মেগাওয়াট। গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে এই চাহিদা বাড়তে বাড়তে ১৭ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। গত বছরের সর্বোচ্চ উৎপাদন ছিল ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সচল থাকলে এই ঘাটতি ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে।
বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, ১৯ এপ্রিল শনিবার বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল ১১ হাজার ৯৭১ মেগাওয়াট, যেখানে চাহিদা ছিল ১৪ হাজার ৪৫১ মেগাওয়াট। পরদিন কর্মদিবসের কারণে চাহিদা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ১৫ হাজার মেগাওয়াটে। সংস্থাটি গ্রীষ্মে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা ১৮ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছাতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে, যার বিপরীতে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী উৎপাদন সক্ষমতা ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ২৬০ মেগাওয়াট। এই চাহিদা মেটাতে সরকার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিতে সক্রিয় রয়েছে। এপ্রিলের ১৭ তারিখ স্পট মার্কেট থেকে দুটি এলএনজি কার্গো আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একইভাবে মার্চেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি এলএনজি কার্গো আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি, কাতার ও ওমানের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি চুক্তি চালু রয়েছে।
সরকার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, সরকারি দপ্তর, ব্যাংক, বাসা ও মসজিদে এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রির নিচে না রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। এই নির্দেশনা মানলে দিনে ২-৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় সম্ভব। তিনি বলেন, শীতের তুলনায় গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ চাহিদা অনেক বেশি থাকে। ফলে সরবরাহে সামান্য বিঘ্ন ঘটলেই লোডশেডিং হতে পারে। তবে সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। তাই নাগরিকদের সচেতনতার পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগ মিলিয়ে গ্রীষ্মকালীন বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার আশাবাদ দেখা যাচ্ছে। তথ্যসূত্র : বাসস
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

ফরিদপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল

ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু'গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৩০

ফেনীতে সাংবাদিককে হত্যার হুমকি মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

যেসব কারণে নষ্ট হাতে পারে স্মার্টফোন

দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

কাযা হওয়া নামাজ আদায় করা ও একাকী নামাজে ইকামত দেওয়া প্রসঙ্গে?

সাবেক এমপি হাবিবসহ ৮১ জনের বিরুদ্ধে সিলেট মামলা

‘বাংলাদেশের ভূ-খন্ড ব্যবহারের যেকোনো সাম্রাজ্যবাদের অপচেষ্টা প্রতিহত করা হবে’

সাবেক এমপি হাবিবসহ ৮১ জনের বিরুদ্ধে সিলেট মামলা

দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম বন্ধ করতে বলেনি সরকার: তথ্য উপদেষ্টা

অ্যামেক্স কার্ডে পেমেন্ট আরও সহজ করতে সিটি ব্যাংক ও ফুডপ্যান্ডা’র চুক্তি

আওয়ামী লীগের নামে কোনো রাজনৈতিক দল রাজনীতি করতে পারবে না- ভিপি নুর

একযোগে ৩৬ অফিসে দুদকের অভিযানের অংশ হিসেবে আনোয়ারায় দুদকের অভিযান

বাংলাদেশে ১০০টির বেশি ডিজিটাল ট্রেজারি ইন্টিগ্রেশন সম্পন্ন করল স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড

বিজিবির পা ধরে ক্ষমা চাইল বিএসএফ

বাংলাদেশে ১০০টির বেশি ডিজিটাল ট্রেজারি ইন্টিগ্রেশন সম্পন্ন করল স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১০% প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ইউনিলিভার বাংলাদেশের

পানিরোধী স্মার্টফোন রিয়েলমি সি৭৫এক্সের বৈশিষ্ট্য

মৌসুম শেষ রুডিগারের

আমি পুরো পৃথিবী পরিচালনা করছি: ট্রাম্প