ক্যানসারে আক্রান্ত ব্যারিস্টার রাজ্জাককে হাসপাতালে ভর্তি, দোয়া কামনা
২১ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩১ এএম | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৩ এএম

ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। তার জুনিয়র আইনজীবী শিশির মনির সোমবার (২১ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক স্যার গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তার জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর ১১ বছর পর যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেছিলেন এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। এর পর সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় ফিরেন। ৬ জানুয়ারি তার জুনিয়র আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনে তাকে সংবর্ধনাও দিয়েছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ও জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর দেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। এর আগে তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের আইনজীবী ছিলেন।
যুক্তরাজ্যে থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দল থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। তখন দলটির আমির শফিকুর রহমান এক বার্তায় বলেছিলেন, তার পদত্যাগে আমরা ব্যথিত ও মর্মাহত। পদত্যাগ করা যেকোনো সদস্যের স্বীকৃত অধিকার। আমরা দোয়া করি তিনি যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। আমরা আশা করি তার সঙ্গে আমাদের মহব্বতের সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।
এরপর তিনি নতুন দল আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির প্রধান উপদেষ্টা হন। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর ১৭ আগস্ট সেই পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি।
২৬ ডিসেম্বর দেশে ফিরে বিমানবন্দরে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি একজন আইনজীবী। আমি কোর্ট রুম ব্যারিস্টার। আমি আইনের অঙ্গনে আমার অবদান রাখার চেষ্টা করব। আইনের শাসন একটি অতি বড় জিনিস। দেশে যদি আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে পারি। তাহলে আমাদের রাজনীতি সফল হবে। অর্থনৈতিক উন্নতি হবে। সুতরাং আইন অঙ্গনে আমার বিচারণ, আইন অঙ্গনে আমি থাকবো। আইন অঙ্গনের মাধ্যমে আমি দেশ এবং জাতির খেদমত করার চেষ্টা করব।
ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক জন্ম ১৯৪৪ সালে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের শেখলাল গ্রামে। বিএ (অনার্স) ও এম এ ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮০ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের লিংকনস ইন থেকে ব্যারিস্টার ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তিনি লন্ডনেই আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। দেশে ফিরে ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে অন্তভুক্ত হন। ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৪ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৯০ সালে তিনি দ্য ল’ কাউন্সেল নামে একটি আইনি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০২ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী হন।
ব্যারিস্টার রাজ্জাকের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। দুই ছেলেও ব্যারিস্টার এবং সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশা পরিচালনা করছেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

কাযা হওয়া নামাজ আদায় করা ও একাকী নামাজে ইকামত দেওয়া প্রসঙ্গে?

সাবেক এমপি হাবিবসহ ৮১ জনের বিরুদ্ধে সিলেট মামলা

‘বাংলাদেশের ভূ-খন্ড ব্যবহারের যেকোনো সাম্রাজ্যবাদের অপচেষ্টা প্রতিহত করা হবে’

সাবেক এমপি হাবিবসহ ৮১ জনের বিরুদ্ধে সিলেট মামলা

দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম বন্ধ করতে বলেনি সরকার: তথ্য উপদেষ্টা

অ্যামেক্স কার্ডে পেমেন্ট আরও সহজ করতে সিটি ব্যাংক ও ফুডপ্যান্ডা’র চুক্তি

আওয়ামী লীগের নামে কোনো রাজনৈতিক দল রাজনীতি করতে পারবে না- ভিপি নুর

একযোগে ৩৬ অফিসে দুদকের অভিযানের অংশ হিসেবে আনোয়ারায় দুদকের অভিযান

বাংলাদেশে ১০০টির বেশি ডিজিটাল ট্রেজারি ইন্টিগ্রেশন সম্পন্ন করল স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড

বিজিবির পা ধরে ক্ষমা চাইল বিএসএফ

বাংলাদেশে ১০০টির বেশি ডিজিটাল ট্রেজারি ইন্টিগ্রেশন সম্পন্ন করল স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১০% প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ইউনিলিভার বাংলাদেশের

পানিরোধী স্মার্টফোন রিয়েলমি সি৭৫এক্সের বৈশিষ্ট্য

মৌসুম শেষ রুডিগারের

আমি পুরো পৃথিবী পরিচালনা করছি: ট্রাম্প

মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে পারবে না: ডিএনসিসি প্রশাসক

ইমামকে মারধর, রাতে কারাগারে মৃত্যু

পুলিশের সহযোগিতায় মায়ের চিকিৎসার হারানো টাকা তিন দিন পর ফিরত পেল মনিরুল ইসলাম

প্রবাসীদের ভোটাধিকার সংক্রান্ত উদ্যোগকে স্বাগত জানাই: নজরুল ইসলাম