বামপন্থী ও বিতর্কিত কোন মনোভাব তারেক রহমানের কাছে স্থান পাবে না : এ এম এম বাহাউদ্দীন
২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪৮ এএম | আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৬ এএম

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের পেশাজীবী অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন। তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আপনারা কি বিসমিল্লাহ চান? নাকি জয় বাংলা চান? এরপর দেশের সংবিধানে আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের কথা সংযোজন করা হয়। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান। তার কাছে বামপন্থি কেন, কোন ধরণের বাতিল ও বিতর্কিত মানভাব স্থান পাবে না। আমরা পূর্বে যে তারেক রহমানকে চিনতাম বর্তমানের তারেক রহমানের সাথে অনেক পার্থক্য। তাঁর দূরদর্শিতা, বিচক্ষণতা, চিন্তা-ভাবনা সব কিছুর মাঝে ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
গতকাল শনিবার রাজধানীর মালিবাগে খানকায়ে মুসলিহীন এর মাসিক জলছা ও হযরত কায়েদ সাহেব হুজুর (রহ.) এর ১৭তম ওফাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীন এসব কথা বলেন। দোয়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আমীরুল মুছছিহীন হযরত মাওলানা খলিলুর রহমান নেছাবাদী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, আলেম-ওলামাদের মধ্যে ইসলাম নিয়ে কোন সমস্যা নেই, সকল সমস্যা রাজনীতি নিয়ে। প্রত্যেকেই একটি দল গঠন করে সংসদ সদস্য হতে চায় কিন্তু সমাজ সংস্কারের বিষয়ে কারো গুরুত্ব নেই। বরং দেশের দরবার, খানকাসমূহ নিঃস্বার্থভাবে সমাজ বিনির্মানে কাজ করে যাচ্ছে। সমাজে যতটুকু শালীনতা আছে, ইসলামি মূল্যবোধ আছে, শৃঙ্খলা রয়েছে তা পীর-মাশায়েখ ও দেশের ছয় লাখ মসজিদের কারণে। বর্তমানে যেমনিভাবে নারী সংস্কার আন্দোলনের বিরুদ্ধে আলেম সমাজ প্রতিবাদ করছে, অনুরূপ দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় আলেমগণই সর্বাগ্রে ছিল এবং থাকবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে যেকোন ইস্যুতে আলেম সমাজ আন্দোলন ও কথা বলার মাঝে সীমাবদ্ধ থাকেন কিন্তু হযরত কায়েদ সাবেহব হুজুর (রহ) কেবল আন্দোলন, বক্তব্য নয় তিনি বিতর্কিত ইস্যু নিয়ে বই রচনা করতেন, তার জনপ্রিয়তা এতটাই ছিল, চাইলে তিনি দেশের রাজনৈতিক ক্ষমতায় যেতে পারতেন, কিন্তু তিনি তা করেননি। তিনি সমাজ গড়া ও মানুষের কল্যাণে জীবন অতিবাহিত করেছেন।
জমিয়াত সভাপতি বলেন, শহরে কতশত সিকিউরিটি ক্যামেরা দিয়েও চুরি ডাকাতি রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না, অথচ গ্রামে লাখ লাখ টাকার সম্পদ মাঠ-ঘাটে পড়ে আছে, কিছুই হচ্ছে না। এর পাহারাদার কে? সয়ং আল্লাহ তা’আয়ালা। এ বছর দেশে অন্তত পাঁচ লাখ মাহফিল হয়েছে, যেখান থেকে মানুষকে নৈতিকতার শিক্ষা দেয়া হয়েছে। যার ফলে মানুষের মনে আল্লাহভীতি সৃষ্ট হচ্ছে এবং অন্যায় থেকে দূরে থাকছে। ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানে সামনে যেই থাকুক না কেন, অন্তত আল্লাহু আকবার শ্লোগান দেয়া হয়েছে। মনে রাখবেন মাস্টার মাইন্ড কিন্ত একজনই। ৯২ শতাংশ মুসলমানের দেশে কেউ যদি ভিন্ন মতাদর্শের কিছু বাস্তবায়ন করতে চায় সেও থাকবে না।
ইসলাম ও মুসলমানদের সাথে শত্রুতা পোষণকারীদের ধ্বংস অনিবার্য স্মরণ করিয়ে দিয়ে আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, ভারত মুসলিম নিধনের মিশনে নেমেছে, অথচ আমেরিকার ভূতাত্ত্বিকদের মতে আগামী ২০৩২-২০৩৫ সালের মধ্যে ভারতে ভয়াবহ ভূমিকম্প হবে, যার ফলে ভারত ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। সুতরাং চিন্তার কোন কারণ নেই।
তিনি বলেন, আগামীর বাংলাদেশ ছারছীনা দরবার, নেছারাব দরবার, ফুলতলী দরবার, জৈনপুর দরবার সকলের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সুতরাং শঙ্কার কোন কারণ নেই। জমিয়াত সভাপতি বলেন, নারী অধিকারের নামে কোন ধরণের অশ্লিলতাকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না। নারীদের অধিকার তো আল্লাহই দিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহর দেয়া বিধানের থেকে আর সুন্দর পদ্ধতি কি হতে পারে। নারী অধিকার ইসলাম যেভাবে দিয়েছে, দুনিয়ার কোন দেশ, গোষ্ঠি, জাতি তা কল্পনাও করতে পারবেনা। বাংলাদেশ নারী অধিকারের নামে নতুনভাবে যে পদ্ধতির প্রচলন ঘটাতে চাচ্ছে তা আলেম সমাজ প্রত্যাখ্যান করেছে। এদেশে কোন ধরণের অনৈসলামিক বিধান বাস্তবায়ন হতে দেয়া হবে না ইনশাআল্লাহ।
হযরত মাওলানা খলিলুর রহমান নেছাবাদী বলেন, মতানৈক্যের ভিত্তিতে ঐক্য বাস্তবায়ন না হলে এদেশে মসজিদ থাকবে, খানকা-দরবার থাকবে, মাদরাসা থাকবে কিন্তু ইসলাম থাকবে না। বামপন্থিদের কবল থেকে দেশকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। আসুন আমরা দল, মত, সিলসিলা নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমাজ, দেশ ও ইসলাম রক্ষার প্রত্যয় নিয়ে অগ্রসর হই।
দোয়া অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- দ্বারিয়াপুরের পীর ছাহেব মাওলানা আবুল মানজুর মুহাম্মদ আরিফ বিল্লাহ, বিক্রমপুরের পীর ছাহেব হাফেজ মাওলানা মো. শহিদুল ইসলাম, পাংগাশিয়ার পীর ছাহেব মাওলানা শাহ্ মো. আতাউল্লাহ বোখারী, ড. মোর্শেদ আলম ছালেহী, মুফতী মো. শাহ আলম হানাফী, অধ্যক্ষ ড. মাওলানা আবুবকর সিদ্দিক (বরিশাল), অধ্যক্ষ মাওলানা গাজী মো. শহিদুল ইসলাম (ঝালকাঠী), অধ্যক্ষ মাওলানা জাকির হুসাইন (রাজাপুর), সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মিজানুর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. কায়সারুল আলম, মো. নূরুল আমীন খান, মো. দোলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

শ্যামনগরে ওজনে কারচুপির দায়ে ৫ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

নরসিংদীতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

শাহবাগ-কাকরাইলে সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে নগরবাসী

শীতল যুদ্ধ পুনরায় উত্তপ্ত হতে পারে: চীনের সতর্ক হুঁশিয়ারি

নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন নানা সঙ্কটে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল

কলাপাড়ায় বিএনপি থেকে বহিস্কার অধ্যাপক মোস্তফিজুর রহমান

রাজশাহীর দূর্গাপুরে যুবলীগ নেতাসহ আটক ২

স্বাস্থ্যখাতে ইন্দোনেশিয়ার এমএকে এর সঙ্গে চুক্তি, মিলবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি

সিলেট সীমান্তে ভারতের পুশইন, ১৬ জনকে আটক করলো বিজিবি

আদালতের রায়ে সাড়ে তিন বছর পর চেয়ারম্যান নির্বাচিত জামায়াত নেতা সাইয়েদ

ঘোড়াঘাটে বাড়ীতে আগুন ৪টি ঘর পুড়ে ছাই ১০ লাখ টাকার ক্ষতি

ইনকিলাবে সংবাদ প্রকাশের পর স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ দিলেন কর্তৃপক্ষ

বন্দরে বজ্রপাতে মাধ্যমিকের ছাত্র নিহত

ইনকিলাবে সংবাদ প্রকাশের পর স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ দিলেন কর্তৃপক্ষ

রেকর্ড ছয় কোটিতে দিল্লি ক্যাপিটালসে ডাক পেলেন মুস্তাফিজ

উলিপুরে উপজেলা ও পৌর বিএনপির আংশিক আহবায়ক কমিটি গঠন

সাভার ও আশুলিয়ায় লাইসেন্স বিহীন এলপি গ্যসের দোকান, বেড়েই চলেছে দুর্ঘটনা

ইন্টারকন্টিনেন্টাল-এ দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের ব্যুফেতে বিকাশ পেমেন্টে ‘বাই ওয়ান গেট থ্রি’ অফার

প্রাথমিক শিক্ষায় ২০ বছরের অর্জন, জেএসপি৩ সমাপ্তিতে জাইকা ও ডিপিই’র সেমিনার

সিংগাইরে সালাউদ্দিনের মৃত্যু রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন