মির্জা ফখরুল ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে গণতান্ত্রিক সরকার আর রাজতন্ত্রকে গুলিয়ে ফেলেছেন : কাদের
১২ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:০৩ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:২৮ পিএম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা আর রাজতন্ত্রকে গুলিয়ে ফেলেছেন! রাজতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থার পার্থক্য অনুধাবনের ন্যূনতম কাণ্ডজ্ঞানও তার লোপ পেয়েছে। ফখরুল সাহেবরা গোষ্ঠীতন্ত্রের কাছে জিম্মি হয়ে অবচেতন মনে রাজতন্ত্রের মন্ত্র জপছে এবং নিজেদের অসহায়ত্ব ও পরাধীনতাকে জনগণের ওপর চাপিয়ে দিতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ একটি উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা সুসংহত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার দেশের সংবিধান ও আইন মেনে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই পরিচালিত হয়ে আসছে সরকারের সব কার্যক্রম।
বিবৃতিতে আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিনিয়ত তাদের ভাঙা রেকর্ড বাজিয়ে চলেছেন। আওয়ামী লীগ যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলেছিল তখন তা গণদাবি এবং সময়ের দাবি ছিল। গণদাবির পরিপ্রেক্ষিতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বিএনপি জোর জবরদস্তি করে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে হাতিয়ার হিসেবে অপব্যবহারের মাধ্যমে তা বিতর্কিত ও কলঙ্কিত করেছিল। তাদের সেসব অপতৎপরতা বিচার-বিশ্লেষণ করেই মহামান্য আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে। বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগণকে ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন আজ তা দৃশ্যমান বাস্তবতা। বঙ্গবন্ধুকন্যার ভিশনারি নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংরক্ষিত তথ্যের নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি সংঘটিত অপরাধগুলো দমনে ডিজিটাল সিকিউরিটি নিশ্চিতকরণে দেশে দেশে ডিজিটাল আইন প্রণীত হয়েছে। তার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রণয়ন করা হয়েছে। কাউকে হয়রানি কিংবা ভিন্ন মত দমন এই আইনের লক্ষ্য নয়। বিএনপি যেহেতু ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে রাষ্ট্র এবং জনগণের স্বার্থবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, সেহেতু তারা রাজনৈতিকভাবে এই আইনের বিরোধীতা করে আসছে।
বিভাগ : রাজনীতি
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ছাত্রলীগ নেতার অন্তরঙ্গ ভিডিও, সমালোচনার ঝড়
সুনামগঞ্জের দেখার হাওরে কৃষকদের নিয়ে ধান কাটলেন কৃষিমন্ত্রী
নীলফামারীতে ৩ হাজার ১৭০ জন চাষির মাঝে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ
চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপ প্রবাহ, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস
হালদা থেকে বালু উত্তোলন, ৪ জনের কারাদন্ড
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সোমবার থেকে মাঠে নামছে ডিএনসিসি
১৫০ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে ২৮৫ সেনাকে নিয়ে ফিরবে মিয়ানমারের জাহাজ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অভিনয় শিল্পীদের প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন দর্শকরা
ঈশ্বরগঞ্জে বাড়ির সীমানা নিয়ে দ্বন্দ্বে নিহত ১
বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন আরও ১১ বিজিপি সদস্য
কারওয়ানবাজার স্থানান্তর করতে সহায়তা সংক্রান্ত টিম গঠন
কসবায় নির্বাচন থেকে সরতে চান না মন্ত্রীর আত্মীয় সায়েদুর
বিজেপি ২০০ আসনও পাবে না: মমতা
ঈশ্বরদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত-১ আহত অন্তত ২৩ জন
ইরানে ইসরাইলের হামলা নিয়ে বিশ্বনেতাদের প্রতিক্রিয়া
বান্দরবানে অপহৃত সেই ব্যাংক ম্যানাজার কে চট্টগ্রামে বদলী
নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে আইসিসি, জরুরি বৈঠক তলব
জার্মানির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ জেলেনস্কির
দুবাই পানিতে তলিয়ে যাবার কারণ ক্লাউড সিডিং?
আনোয়ারায় হিট স্ট্রোকে শাহজাদা ছালেহ আহমদ (৭৪) শাহর মৃত্যু