প্রগতিশীল ইসলামী জোট ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। জোটের শীর্ষ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা একটি খুনের মামলার আসামী হওয়ায় জোটের তিনটি শরীক দল পদত্যাগ করেছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে জাতীয় প্রেসক্লাবে জোট গঠনের দু’দিন পরেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী জনদল জোট ত্যাগ করে তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়েছে। এ নিয়ে প্রগতিশীল ইসলামী জোট থেকে শরীক দলের পদত্যাগের সংখ্যা দাঁড়ালো চারে। জোট গঠনের দিন ১৫ দলীয় জোট ঘোষণা দিলেও দু’টি শরীক দল ওই দিন জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়নি।নেজামে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাওলানা হারিছুল হক এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জোট থেকে পদত্যাগী নেতা মাওলানা হারিছুল হক আজ শনিবার ইনকিলাবকে জানান, ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন এম এ আউয়ালের নেতৃত্বে প্রগতিশীল ইসলামী জোট গঠিত হয়। তিনি বলেন, জোটের চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল একটি খুনের মামলার আসামী তা’আমরা আগে অবহিত ছিলাম না। আউয়াল জোটের মধ্যে তার একক আধিপত্য বজায় রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। কথায় এবং আচরণে ইসলাম বিদ্বেষী ভাবধারা প্রকাশ করেন যাহা আলেমদের কোনক্রমেই মানা সম্ভব নয়। মাওলানা হারিছুল হক আরো বলেন, এম এ আউয়াল আওয়মীলীগ সরকারের বিতাড়ত একজন নেতা। তার সাথে থেকে গঠনমূলক রাজনীতি করা সম্ভব নয় তাই আমরা জোট থেকে পদত্যাগ করেছি। প্রগতিশীল ইসলামী জোট থেকে পদত্যাগ করা দলগুলো হচ্ছে, মাওলানা হারিসুল হকের নেতৃত্বাধীন নেজামে ইসলাম বাংলাদেশ, মাওলানা আতাউর রহমান আতিকীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ইসলামিক লিবারেল পার্টি এবং প্রিন্সিপাল রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ইসলামিক ডেমোক্রেটিক ফোরাম।