৯০% মানুষ ধোকাবাজির নির্বাচন চায় না বিক্ষোভ সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:১২ পিএম | আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:১২ পিএম

দেশের ৯০% মানুষ এই সরকারের ধোকাবাজির নির্বাচন চায় না। জাতীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে। সকল বিরোধী দলের অংশগ্রহণের নির্বাচন ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। বিরোধী দলবিহীন প্রহসনের ৭ জানুয়ারির নির্বাচন দেশবাসী রুখে দেবে। অবৈধ সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই। একতরফ ঘোষিত তফসিলের প্রহসনের পাতানো নির্বাচন থেকে ফিরে আসুন। না হয় দেশ গৃহযুদ্ধের দিকে ধাবিত হবে। এর দায় দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে। আজ শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিতর্কিত নির্বাচন কমিশনের একতরফা নির্বাচনী তফসিল বাতিল, সকল রাজবন্দিদের মুক্তি বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানি বলেছেন এসব কথা বলেন।
সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি ও সহকারি মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা নূরুল ইসলাম নাঈম, ডা. শহিদুল ইসলাম, নুরুজ্জামান সরকার, হাফেজ মাওলানা মাকসুদর রহমান।
প্রিন্সিপাল মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী পাতানোর নির্বাচনে কেউ কোন সহযোগিতা করা থেকে এবং ভোটদান থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। বেচাকেনার হাটের মতো প্রার্থী ও দলকে নির্বাচনে আনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের ১৪ দলের ইনু-রাশেদ খান মেনন খুব পেরেশানিতে আছেন তাদের সিট কনফার্ম না পেয়ে। জাতীয় পার্টি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টিকে গৃহপালিত বিরোধী দল বানিয়েছে। জাতীয় পার্টি জাতির জন্য একটা বিষফোড়া। ২০১৪ সালে আবার ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচন করে বৈধতা দিয়েছে। ওরা অংশীদার, মন্ত্রী হয়, তারা বিরোধী দল হয় কীভাবে। এটা তো ধোঁকাবাজি। অনেক সুন্দর সুন্দর কথা জিএম কাদের এখন তারা নির্বাচনে চলে গেছে।
তিনি বলেন, তৃণমূল বিএনপি আওয়ামী লীগের তল্পিবাহক। টাকা ও সিট ছেড়ে আওয়ামী লীগ তাদের নিয়েছে। তিনি ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পতাকা র‌্যালী কর্মসূচি ঘোষণা করেন। অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, দেশের সম্পদ নষ্ট করে সরকার প্রহসনের নির্বাচন করছে। তিনি বলেন, পছন্দের প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করে দিলে অন্তত দেশের সম্পদ নষ্ট হতো না। তিনি বলেন, পাতানোর নির্বাচনে খরচকৃত টাকার হিসেব জনগণ নিবে। তিনি বলেন, গৃহপালিত দল দিয়ে এবং সরকারী দলের প্রতীক নৌকা নিয়ে নির্বাচন করতে সকল ডামি প্রার্থীরা উদগ্রীব। কথা হলো নৌকা নিয়ে নির্বাচিত দল আবার বিরোধী দল হয় কিভাবে? এভাবে ধোকার রাজনীতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তিনি শিক্ষা কারিকুলামের মাধ্যমে প্রজন্মকে মেধাশূণ্য করার চক্রান্ত থেকে সরকারকে ফিরে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, নতুন শিক্ষা কারিকুলামের বই বিতরণ করা যাবে না। এবং কোন ছাত্র-ছাত্রী এই বই পড়বে না। তিনি বিতর্কিত বই ছাপাতে যে টাকা খরচ হয়েছে, এই টাকা শিক্ষামন্ত্রী দিপুমনিকে দিতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, সরকার প্রধানের কার্যক্রম দেখে এটা পরিষ্কার যে প্রতিশোধপরায়ণ মানসিকতা নিয়ে তিনি দেশ শাসন করছেন। যখন দেশের ঘরে ঘরে অভাব, মানুষ যখন নির্যাতিত ও অধিকারবঞ্চিত— তখন ঢোল-তবলা নিয়ে আওয়ামী লীগের উল্লাস দেখে জনগণ ক্ষুব্ধ। আওয়ামী লীগ ও নৌকার প্রতি মানুষের ক্ষোভ ও ঘৃণা ক্রমেই বেড়ে চলছে। জনসমর্থন হারিয়ে দিশেহারা ও বিপর্যস্ত। এজন্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে ভয় পায়। সমাবেশ শেষে একটি বিশাল মিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড়, বিজয়নগর পানির ট্রাংকি হয়ে পুনরায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে এসে সমাপ্ত হয়।


বিভাগ : রাজনীতি


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

শিক্ষার্থী বিক্ষোভ নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন বাইডেন

শিক্ষার্থী বিক্ষোভ নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন বাইডেন

লন্ডনের মেয়র পদে হ্যাটট্রিক জয়ের পথে সাদিক খান

লন্ডনের মেয়র পদে হ্যাটট্রিক জয়ের পথে সাদিক খান

গাজীপুরে মালবাহী ট্রেনে যাত্রীবাহী ট্রেনের ধাক্কা, ৫টি বগি লাইনচ্যুত, আহত অন্তত ৫০

গাজীপুরে মালবাহী ট্রেনে যাত্রীবাহী ট্রেনের ধাক্কা, ৫টি বগি লাইনচ্যুত, আহত অন্তত ৫০

পশ্চিম তীরে দুই শিশুকে হত্যা, সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ইসরাইল

পশ্চিম তীরে দুই শিশুকে হত্যা, সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ইসরাইল

মুক্তি পেলেন মাওলানা মামুনুল হক

মুক্তি পেলেন মাওলানা মামুনুল হক

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বাংলাদেশে নেই : চিকিৎসক

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বাংলাদেশে নেই : চিকিৎসক

উখিয়া থেকে অপহৃত ১০ জেলেকে দীর্ঘ ৩৬ ঘন্টা পর ছেড়ে দিল আরাকান আর্মি'র সদস্যরা

উখিয়া থেকে অপহৃত ১০ জেলেকে দীর্ঘ ৩৬ ঘন্টা পর ছেড়ে দিল আরাকান আর্মি'র সদস্যরা

বিশ্বের দেশে দেশে নিষেধাজ্ঞার মুখে ভারতীয় খাদ্যপণ্য

বিশ্বের দেশে দেশে নিষেধাজ্ঞার মুখে ভারতীয় খাদ্যপণ্য

নাইজারে মার্কিন ঘাঁটিতে অবস্থান নিল রুশ সেনা

নাইজারে মার্কিন ঘাঁটিতে অবস্থান নিল রুশ সেনা

মুদ্রাপাচার নিয়ে সরকার ও আইএমএফ রহস্যজনক কারণে নীরব : ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দীন

মুদ্রাপাচার নিয়ে সরকার ও আইএমএফ রহস্যজনক কারণে নীরব : ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দীন

বাইডেন না ট্রাম্প, কে হবেন প্রেসিডেন্ট? জানালেন বিখ্যাত ভোটকুশলী

বাইডেন না ট্রাম্প, কে হবেন প্রেসিডেন্ট? জানালেন বিখ্যাত ভোটকুশলী

তথ্য পাঠাচ্ছে চীনের বৃষ্টিপাত পরিমাপক স্যাটেলাইট

তথ্য পাঠাচ্ছে চীনের বৃষ্টিপাত পরিমাপক স্যাটেলাইট

ইইউ-তে ফ্রান্স চীনের তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার

ইইউ-তে ফ্রান্স চীনের তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার

বাইডেনের জনপ্রিয়তায় ভয়াবহ ধস

বাইডেনের জনপ্রিয়তায় ভয়াবহ ধস

পুরুষদের থেকে বেশি সময় বাঁচলেও অসুস্থ থাকেন মহিলারা, গবেষণাপত্রে প্রকাশ

পুরুষদের থেকে বেশি সময় বাঁচলেও অসুস্থ থাকেন মহিলারা, গবেষণাপত্রে প্রকাশ

তাইওয়ান ইস্যুতে ডব্লিউএইচও-কে ব্যবহার না করতে যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের তাগিদ

তাইওয়ান ইস্যুতে ডব্লিউএইচও-কে ব্যবহার না করতে যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের তাগিদ

বজ্রপাতে ৫ জেলায় প্রাণ গেল ১১ জনের

বজ্রপাতে ৫ জেলায় প্রাণ গেল ১১ জনের

ভারী বর্ষণে ফের ডুবল দুবাই, বন্ধ স্কুল ও অফিস

ভারী বর্ষণে ফের ডুবল দুবাই, বন্ধ স্কুল ও অফিস

ওমানে বজ্রসহ প্রবল বৃষ্টিপাতের রেকর্ড, ছুটি ঘোষণা

ওমানে বজ্রসহ প্রবল বৃষ্টিপাতের রেকর্ড, ছুটি ঘোষণা

পালক পুত্রের সঙ্গে বিছানায় থাই রাজনীতিবিদ

পালক পুত্রের সঙ্গে বিছানায় থাই রাজনীতিবিদ