হাসিনার দোসর তো অনেকেই আছে, প্রেসিডেন্টকে নিয়ে এত ব্যস্ত কেন: রিজভী
২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩৩ পিএম | আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫৫ পিএম
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আপনারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল করেছেন, সেখানে অনেকের বিচার হবে। কিন্তু আমরা যদি কাজের বদলে অকাজে বেশি লিপ্ত হয়ে পড়ি; রাজনৈতিক শূন্যতা, সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি করি- তাহলে তো জনগণ কথা বলা শুরু করবে।’
শুধু জটিলতার পর জটিলতা তৈরি করছেন কেন- এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার দোসর তো আরও অনেকেই আছে আপনাদের মধ্যে, কই তাদের বিষয়ে তো আপনারা কিছু বলছেন না। শুধু প্রেসিডেন্টকে নিয়েই আপনারা ব্যস্ত আছেন।’
সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর আজিমপুরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও চিকিৎসা বিষয়ক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আলী ইমাম মজুমদার এক/এগারোতেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ছিলেন, শেখ হাসিনার আমলেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। তাকে আপনারা উপদেষ্টা বানিয়েছেন। এমন তো অনেকেই রয়েছেন, এসব বিষয়ে আপনারা তো কিছু বলেন না? শেখ হাসিনার রক্তাক্ত দুঃশাসন যারা প্রলম্বিত করেছেন, টু শব্দ যারা করেননি। যারা নিঃস্বার্থভাবে শেখ হাসিনার তাবেদারি করেছেন, তারা তো এখনো বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।’
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘আজ প্রেসিডেন্ট থাকলো কী থাকলো না, এটা নিয়ে আমরা দেশে কেন জটিলতা তৈরি করছি? কেন আমরা দেশে সংকট ডেকে নিয়ে আসবো। এটা মুখ্য বিষয় নয়। আমরা শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে তাড়িয়েছি, তার দোসরদেরও আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচার করা আমাদের দায়িত্ব।’
গণমাধ্যমের বিষয়ে রিজভী বলেন, ‘যেসব গণমাধ্যম নির্লজ্জের মতো শেখ হাসিনার চামচামি করেছে, শেখ হাসিনার সব অপকর্মকে যারা বৈধতা দিয়েছে- কই তাদের বিষয়ে তো আপনারা কিছু বলে না! বিভিন্ন টেলিভিশনে আমরা যেভাবে শেখ হাসিনার সুনাম করতে দেখেছি, সেখানে বড় বড় সাংবাদিকরা ছিলেন, মিডিয়ার অনেক নামকরা লোক ছিলেন, কই তাদের বিষয়ে তো কিছু বলছেন না? শুধু প্রেসিডেন্টকে নিয়েই আপনারা ব্যস্ত আছেন।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের যাত্রাপথে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের অবদান এ দেশের মানুষ ইতিহাসে লিখবে। একটা সোনালি অধ্যায় রচিত হবে। কিন্তু আবেগের বশবর্তী হয়ে আমাদের এমন কিছু করা যাবে না যাতে সংবিধান বহির্ভূত কোনো কিছু হওয়ার শঙ্কা থাকে।’
শেখ হাসিনার কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমাদের দেশে সাধারণত জন্মের পরে বাচ্চাদের মধু খাওয়ানো হয়, শেখ হাসিনার জন্মের পরে তার মুখে করলার রস চিপে দেওয়া হয়েছিল। গতকালও তার একটি অডিও ফাঁস হয়েছে, সেই অডিওতে তিনি তার যুবলীগ-ছাত্রলীগকে বলছেন সর্বোচ্চ প্রতিরোধ করো। অর্থাৎ রক্তপাতের হুমকির কথা তিনি বলেছেন। তিনি পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে উসকানি দিচ্ছেন তাদের লোকদের।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রজনতার আন্দোলনের পরে আমরা কিছুটা হলেও নিঃশ্বাস নিতে পারছি। কিন্তু এই আন্দোলন যেন আমাদের অতিরঞ্জিত কিছু করার কারণে কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয়, এজন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকেই সতর্ক থাকতে হবে। কারণ শেখ হাসিনা বসে নেই, তার আশ্রয়দাতারা বসে নেই।
বিভাগ : রাজনীতি
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
চট্টগ্রামে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ
তৌহিদী জনতাসহ সকল মানুষকে সাথে নিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে - ছাগলনাইয়ায় পল্টন ট্রাজেডির জামায়াতের আলোচনা সভা
শহীদের রক্তের বিনিময়ে আর্দশ ইসলামী সমাজ গঠন করা হবে
ইসলাম অনুযায়ী চলতে হবেঃ তাহলে শান্তি পাওয়া যাবে - মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম (শায়েক চরমোনাই)
লগি-বৈঠার হত্যাযজ্ঞ ছিল ইতিহাসের জঘন্যতম আওয়ামী বর্বরতা : ডা. ইরান
দৌলতদিয়ার শীর্ষ মাদক স¤্রাট জাহাঙ্গীর হেরোইন সহ গ্রেপ্তার পালিয়েছে ২ মাদক ব্যবসায়ী
ভোলার তজুমুদ্দিনে পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু
শেখ হাসিনাকে রাজনীতির জন্য নয়,ফাঁসির বিচারের জন্য দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে
বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা ও শিক্ষার্থী নিপীড়নের ঘটনায় ৮১ জন অভিযুক্ত
গণভবনকে দ্রুত জাদুঘরে রূপান্তরের নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
১৬ বছরে জেল জুলুম নির্যাতনের পরও জামায়াতে ইসলামী পালায় নাই অথচ আওয়ামী লীগ পালায়ে গেছে
কে হচ্ছেন এবারের বর্ষসেরা
কালিয়াকৈরে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নববধূ নিহত
নিত্যপণ্যের বাজারে ঊর্ধ্বগতি, স্বস্তিতে নেই জনগণ : বাংলাদেশ ন্যাপ
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত হলেও, গ্রুপিং বিলুপ্ত হয়নি নেতারা শ্রেষ্ঠত্ব জাহিরে ব্যস্ত
ছাত্র-জনতার হত্যায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা এখনো বহাল
বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক নেই একমাস
মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় ৩১ জন আটক
ইসরায়েলকে দুই দিনের যুদ্ধবিরতির আহ্বান মিশরের
২৮ অক্টোবর পল্টনসহ সকল হত্যাকান্ডের বিচার সুনিশ্চিত করতে হবে- খুলনায় মাওলানা আবুল কালাম আজাদ