সব ধর্মের লোকদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ জাতি চাই: ডা. শফিকুর রহমান

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩১ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩১ পিএম

হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও মুসলমান সবাইকে নিয়ে নতুন বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ জাতি চাই, যেখানে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব ধর্মের মানুষ থাকবে। সব ধর্মের সব মানুষকে আমাদের সম্মান করতে হবে।’

 

সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠির জগন্নাথকাঠি বন্দরের উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ের সামনে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আল্লাহ যদি দুনিয়াতে বহু জাতির মানুষদের লালন-পালন করতে পারেন। তাহলে মানুষকে ঘৃণা করার আমি কে? দেশের একজন নাগরিক হিসেবে সবার সমান অধিকার থাকতে হবে। সে রকম একটা সম্প্রীতির বাংলাদেশ আমরা চাই।

 

একটা দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ চাই। দোয়া করবেন সেই বাংলাদেশ যেন আমরা গড়তে পারি। এ জন্য আমরা আপনাদের দোয়া চাই আপনাদের পাশে চাই।’

 

তিনি বলেন, ‘পিরোজপুর জেলা আমাদের একটা আবেগের জেলা, এটা একটি সৌভাগ্যবান জেলা, এই জেলায় আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জন্ম।’

 

বিগত সরকারের সময় দেশের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমি এর আগেও বহু রাস্তা দিয়ে একা একা সাবধানতা এবং সতর্কতার সঙ্গে ঘুরেছি। কোনো কোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মুখোমুখি হয়েছি। দেশ থেকে বিদেশে সফর করতে যাব সেখানে আমাকে আটকানো হয়েছে। আমার পাসপোর্ট দুই বছর আটকিয়ে রাখা হয়েছিল। অনেক যুদ্ধ ও লড়াই করে পাসপোর্ট আনতে হয়েছে। আমি কি চোর, ডাকাত নাকি খুনি ছিলাম? কেন একজন নাগরিক হিসেবে আমার পাসপোর্ট আমি পাইনি।’

 

জামায়াতের আমির বলেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, আমাদের ওপর একটি পাথর চাপা পড়ে ছিল। আল্লাহ ১৮ কোটি মানুষের চোখের পানি কবুল করেছেন। বিনিময়ে আল্লাহ আমাদের একটি মুক্তির স্বাদ দিয়েছেন। মুক্তি এমনি এমনি আসে নাই। সাড়ে ১৫ বছরে হাজারো মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে, পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে, লাখ লাখ মানুষকে চাকরি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। দফায় দফায় বহু মানুষকে জেলে পাঠানো হয়েছে। জুলাই আন্দোলনে দল-মত-নির্বিশেষে বহু মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। এসব জীবনের বিনিময়ে আমাদের এই স্বস্তিটুকু এসেছে।’

যুব সমাজের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি আল্লাহর দয়া চাই তিনি যত দিন আমাকে হায়াত দেবেন আমি যেন যৌবন নিয়ে বাঁচতে পারি। তোমাদের কথা দিচ্ছি তোমাদের মিছিলে আমি থাকব। তোমাদের হাত ধরেই আমাদের দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাক।’

এর আগে তিনি সড়ক পথে বরিশাল-ঝালকাঠি হয়ে স্বরূপকাঠিতে আসেন। সফরকালে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দুই ছেলে শামিম বিন সাঈদী ও মাসুদ সাঈদী, বরিশাল মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন বাবর ও কেন্দ্রীয় জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মোবারক হোসেনসহ বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন ইউনিটের জামায়াতের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


বিভাগ : রাজনীতি


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দলে শর্ট ও হার্ডি, কামিন্সকে নিয়ে শঙ্কা

অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দলে শর্ট ও হার্ডি, কামিন্সকে নিয়ে শঙ্কা

কমলনগরে ট্রাক্টরট্রলির চাপায় চটপটি বিক্রেতার মৃত্যু

কমলনগরে ট্রাক্টরট্রলির চাপায় চটপটি বিক্রেতার মৃত্যু

রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া মহাসড়কে বাস চলাচল শুরু

রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া মহাসড়কে বাস চলাচল শুরু

ঝিনাইদহে ২৬ টি দোকান দুঃসাহসিক চুরি টাকা ও মালামাল নিয়ে চম্পট

ঝিনাইদহে ২৬ টি দোকান দুঃসাহসিক চুরি টাকা ও মালামাল নিয়ে চম্পট

আর্থিক প্রতিষ্ঠানে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগে প্যানেল

আর্থিক প্রতিষ্ঠানে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগে প্যানেল

বগুড়ায় মটরসাইকেল - ভটভটি সংঘর্ষে ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত

বগুড়ায় মটরসাইকেল - ভটভটি সংঘর্ষে ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত

‘জমজমের’ নামে ট্যাপের পানি বিক্রি করছিলেন এক প্রতারক , আয় ৩০ কোটি !

‘জমজমের’ নামে ট্যাপের পানি বিক্রি করছিলেন এক প্রতারক , আয় ৩০ কোটি !

মাদকব্যবসা নিয়ে দু-পক্ষের সংঘর্ষ-বোমা হামলা-ভাঙচুর, আহত ২০

মাদকব্যবসা নিয়ে দু-পক্ষের সংঘর্ষ-বোমা হামলা-ভাঙচুর, আহত ২০

জুলাই-আগস্ট গণহত্যা : হাসিনাসহ জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড প্রসিকিউশনের হাতে

জুলাই-আগস্ট গণহত্যা : হাসিনাসহ জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড প্রসিকিউশনের হাতে

কুষ্টিয়ায় পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে স্কুল ছাত্র খুন

কুষ্টিয়ায় পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে স্কুল ছাত্র খুন

ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের মুক্তির জন্য উ.কোরিয়ার সৈন্য বিনিময়ে প্রস্তুত জেলেনস্কি

ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের মুক্তির জন্য উ.কোরিয়ার সৈন্য বিনিময়ে প্রস্তুত জেলেনস্কি

তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে ঈশ্বরগঞ্জে ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে ঈশ্বরগঞ্জে ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

কিয়ার স্টারমার ‘ভালো বন্ধু’ টিউলিপকে কি বরখাস্ত করতে পারবেন ?

কিয়ার স্টারমার ‘ভালো বন্ধু’ টিউলিপকে কি বরখাস্ত করতে পারবেন ?

রেহানার কাছ থেকে রেহাই মিলত না কোনো ব্যাংকের

রেহানার কাছ থেকে রেহাই মিলত না কোনো ব্যাংকের

টিউলিপ সিদ্দিকের বিতর্কিত সেই ফ্ল্যাট কীভাবে কেনা হয়েছিল?যে তথ্য জানা গেল

টিউলিপ সিদ্দিকের বিতর্কিত সেই ফ্ল্যাট কীভাবে কেনা হয়েছিল?যে তথ্য জানা গেল

লস অ্যাঞ্জেলসের দাবানলে হলিউড তারকার মৃত্যু

লস অ্যাঞ্জেলসের দাবানলে হলিউড তারকার মৃত্যু

কুবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে গণপিটুনি শেষে পুলিশে দিল শিক্ষার্থীরা

কুবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে গণপিটুনি শেষে পুলিশে দিল শিক্ষার্থীরা

সাতক্ষীরা  সীমান্তে  চাষে বাধা দিয়েছে বিএসএফ

সাতক্ষীরা সীমান্তে চাষে বাধা দিয়েছে বিএসএফ

"তালেবান নারীদের মানুষ মনে করে না" : মালালা

"তালেবান নারীদের মানুষ মনে করে না" : মালালা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৩ কিলোমিটার যানজট

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৩ কিলোমিটার যানজট