আ.লীগের প্রথম শ্রেণির নেতারা নির্বাচনে আজীবন নিষিদ্ধ হতে পারেন

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১০ এএম | আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৩ এএম

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা তুঙ্গে। এর মধ্যে গত শুক্রবার রাতে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার গণমাধ্যমে একটি প্রতিবাদপত্র পাঠান। সেখানে ইঙ্গিত মিলেছে, শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের প্রথম শ্রেণির নেতারা নির্বাচনে আজীবন নিষিদ্ধ হতে পারেন। ভোটার তালিকা থেকেও বাদ পড়তে পারেন তাঁরা।

 

একই পরিণতি ঘটতে পারে আওয়ামী লীগের জোটভুক্ত কয়েকটি দলের শীর্ষ নেতাদের ক্ষেত্রেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ব্যাপক প্রাণহানি, অনেকের পঙ্গুত্ব, দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে গুমসহ নানা মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এবং সংশ্লিষ্ট বিধি-বিধান থেকেও আওয়ামী লীগ নেতাদের সম্ভাব্য এই পরিণতির পক্ষে যুক্তি আছে।

 

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না- প্রশ্নে গত বৃহস্পতিবার রংপুরে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছিলেন, ‘তাদের জন্য কোনো বাধা সৃষ্টি হয়েছে বলে আমি দেখছি না।’ পরে ওই দিন রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যম তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেন।

 

এতে তিনি বলেন, ‘এটি কারো অজানা নয় যে আইসিটি (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল) আইনে এরই মধ্যে অনেক মামলা রজু হয়েছে শেখ হাসিনাসহ অনেক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। হত্যা মামলাও করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচন কার্যক্রম নির্ভর করবে এসব মামলা সুরাহার ওপর।’

 

নির্বাচন কর্মকর্তারাও বলছেন, ‘আইসিটি আইনে কারো সাজা হলে তিনি আজীবন নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। ভোটার তালিকা থেকেও বাদ পড়বেন। আইসিটি প্রসিকিউটরদের বক্তব্য, নিউক্লিয়াস এবং সুপ্রিম কমান্ডারদের ব্যাপারে আমরা এখন উদ্যোগী, মনোযোগী। তাঁদের বিচারটাই আগে হবে।’

 

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২-এর ১২ অনুচ্ছেদে যেসব কারণে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া যাবে না, তা বলা আছে। এই অনুচ্ছেদের (ণ) উপ-অনুচ্ছেদে বলা আছে, কেউ আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনের অধীনে কোনো অপরাধে অপরাধী সাব্যস্ত হলে তিনি সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে সংসদ নির্বাচনের যোগ্যতা-অযোগ্যতা সম্পর্কে এই অনুচ্ছেদের (ঙ) উপ-অনুচ্ছেদে একই কথা বলা হয়েছে।

 

এ ছাড়া ভোটার তালিকা আইন, ১৩(ঘ) ধারায় ভোটার তালিকা থেকে নাম কর্তন সম্পর্কে বলা হয়েছে, কেউ আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনের অধীনে কোনো অপরাধে অপরাধী সাব্যস্ত হলে ভোটার তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ পড়বে। আবার ভোটার না হলে কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন না। আরও যেসব কারণে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া যাবে না, তার মধ্যে রয়েছে নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে কেউ অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে থাকলে তাঁর মুক্তিলাভের তারিখ থেকে পাঁচ বছর অতিবাহিত না হলে। সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদেও এটি উল্লেখ আছে। এ ছাড়া গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২(ঘ) অনুচ্ছেদে বলা আছে, ৭৩, ৭৪, ৭৮, ৭৯, ৮০, ৮১, ৮২, ৮৩, ৮৪ ও ৮৬ অনুচ্ছেদে বর্ণিত নির্বাচনী অপরাধে অপরাধী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে থাকলে তাঁর মুক্তিলাভের তারিখ থেকে পাঁচ বছর অতিবাহিত না হলে।

নির্বাচন কর্মকর্তাদের মতে, নির্বাচনী ও ফৌজদারি অপরাধে অপরাধী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে ওই দণ্ডিত ব্যক্তি একসময় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা ফিরে পান। কিন্তু আইসিটি আইনে কেউ অপরাধী সাব্যস্ত হলে ‘সময় অতিবাহিত’ হওয়ার সুযোগ তাঁর জন্য প্রযোজ্য নয়।

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের একজন সদস্য জানান, তাঁরা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-এর ১২(ণ) অনুচ্ছেদটি রেখে দেওয়ার পক্ষে। এ আইনেই আওয়ামী লীগ ও তার শরিক দলগুলোর শীর্ষ নেতারা নির্বাচনে আজীবন অযোগ্য হতে পারেন। কারণ তাঁদের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা হয়েছে।

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, এই কমিশন ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পক্ষের দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করলেও আওয়ামী লীগ ও এর সঙ্গে জোটভুক্ত দলগুলোকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানায়নি। অন্য সংস্কার কমিশনগুলোও একই নীতি গ্রহণ করেছে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপের ডাক পাননি আওয়ামী লীগ ও তাদের জোটের নেতারা। অবশ্য এই সব নেতার মধ্যে অনেকেই পলাতক বা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে।

জানা যায়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ছাড়াও দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে গুম, পিলখানা ট্র্যাজেডিসহ নানা ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ জমা হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রথম সারির অনেক নেতা, সাবেক পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ গতকাল শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমে বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১৬৮টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে গুমের অভিযোগ ৩১টি। গত ১৭ ডিসেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধে গ্রেপ্তার সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের ১২ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, শেখ হাসিনার দুই উপদেষ্টাসহ ১৬ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ওই দিন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান সাংবাদিকদের জানান, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার অভিযোগে ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত এক মাসের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে।’

ট্রাইব্যুনালে জমা অভিযোগের তদন্ত নিয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তদন্ত কাজ কত দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে, আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল আইনে তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা নেই। এত বড় গ্রেভিটির (অপরাধের ধরন) মামলার প্রপার তদন্ত, প্রপার রিপোর্ট সাবমিট করার জন্য অনেক সময় প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে আমরা কোর্টের কাছ থেকে সময় নিচ্ছি, যাতে আমাদের প্রগ্রেসটা (অগ্রগতি) যথেষ্ট হয়েছে কি না, তা আদালতকে দেখাতে পারি।’

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি এর মধ্যে (আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে) তদন্ত অনেক দূর এগিয়ে যাবে। খুব সহসাই হয়তো রিপোর্টগুলো সম্পন্ন করতে পারব তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন এলাকায় (থানায় বা আদালতে) মামলা হয়েছে। সেসব মামলার তদন্ত চলতে থাকবে। উপযুক্ত সময়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা ট্রাইব্যুনালে রেফার (স্থানান্তর) করা হবে।’

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘এই ট্রাইব্যুনাল বেছে বেছে ওয়ারেন্ট (গ্রেপ্তারি পরোয়ানা) দিচ্ছে। যে হারে (জুলাই-আগস্ট গণ-আন্দোলনে) গণহত্যা হয়েছে, সারা বাংলাদেশে যে হারে মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে, আমরা যদি সব অপরাধীকে ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসি, তার সংখ্যা হবে হাজার হাজার। যেটি এই মুহূর্তে প্র্যাগমেটিক (বাস্তবসম্মত) না। আমরা যদি হাজার হাজার আসামিকে (অভিযোগের) আওতাভুক্ত করি, তাহলে যাদের নেতৃত্বে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে, তাদের বিচারকার্য বিঘ্নিত হবে। সে কারণে আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ (গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ক্ষেত্রে) করেছি। যারা সবচেয়ে বড় অপরাধী, যারা নিউক্লিয়াস, তাদেরটা (অভিযোগের বিচার) আগে আসবে। অন্যদেরটা ক্রমান্ব্বয়ে আনতে হবে। নিউক্লিয়াস এবং সুপ্রিম কমান্ডারদের ব্যাপারে আমরা এখন উদ্যোগী, মনোযোগী।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা জানান, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে একাধিক গণহত্যার জন্য দায়ী। এ ছাড়া গুম-খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ বিভিন্ন মানবাধিকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগ ১৬ বছর ধরে জড়িত ছিল। সর্বশেষ জুলাই গণহত্যায় প্রায় দুই হাজার শহীদের প্রাণ এবং ৩০ হাজারের বেশি মানুষের অঙ্গহানি করেছে দলটি। আওয়ামী লীগ বিগত তিনটি নির্বাচনকে অবৈধ উপায়ে নিজেদের কুক্ষিগত করেছে। যে দলটি বাংলাদেশের নির্বাচনব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করেছে, তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া জন-আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধাচরণ। সূত্র: কালের কণ্ঠ


বিভাগ : রাজনীতি


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় রাজনৈতিক দল হলে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা কমবে: রিজভী
যারা দুর্দিনে দলের জন্য কাজ করেছে, তাদের মূল্যায়ন করা হবে: টুকু
রাজনীতি করতে রাজকীয় মন দরকার, ভিখারির নয় : ডা. শফিকুর রহমান
স্বৈরাচার হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াতেই হবে: ফারুক
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণে কোনো বাধা দেখছি না
আরও

আরও পড়ুন

ঝিনাইদহে ৩ দিন ব্যাপী বেসিক জার্নালিজম বিষয়ক প্রশিক্ষণ শুরু

ঝিনাইদহে ৩ দিন ব্যাপী বেসিক জার্নালিজম বিষয়ক প্রশিক্ষণ শুরু

গৌরনদীতে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ

গৌরনদীতে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ

সাদ্ পন্থীদের নিষিদ্ধ করার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

সাদ্ পন্থীদের নিষিদ্ধ করার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

বেক্সিমকোর শ্রমিকদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

বেক্সিমকোর শ্রমিকদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

দিল্লিতে অবৈধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে স্কুলগুলিকে নির্দেশ

দিল্লিতে অবৈধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে স্কুলগুলিকে নির্দেশ

টাঙ্গাইলে বাসের চাপায় সিএনজির চালকসহ নিহত ২

টাঙ্গাইলে বাসের চাপায় সিএনজির চালকসহ নিহত ২

প্রিমিয়ার ব্যাংকের অর্থায়নে ছাগলনাইয়ায় প্রকাশ্যে কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতরণ

প্রিমিয়ার ব্যাংকের অর্থায়নে ছাগলনাইয়ায় প্রকাশ্যে কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতরণ

শেষ মুহূর্তে বিল পাশ করে 'শাটডাউন' এড়ালো যুক্তরাষ্ট্র

শেষ মুহূর্তে বিল পাশ করে 'শাটডাউন' এড়ালো যুক্তরাষ্ট্র

সড়কের নৈরাজ্যে রাজনৈতিক প্রভাব জড়িত : নাহিদ ইসলাম

সড়কের নৈরাজ্যে রাজনৈতিক প্রভাব জড়িত : নাহিদ ইসলাম

পাকিস্তানে রাজনৈতিক সংকট নিরূপণে উদ্যোগ

পাকিস্তানে রাজনৈতিক সংকট নিরূপণে উদ্যোগ

পতনের দ্বারপ্রান্তে ট্রুডো সরকার

পতনের দ্বারপ্রান্তে ট্রুডো সরকার

রাশিয়া কিয়েভের ছয় বিদেশি দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল

রাশিয়া কিয়েভের ছয় বিদেশি দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল

লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত : উপকূলীয় এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি

লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত : উপকূলীয় এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি

১৫ বাংলাদেশি নারী-শিশুকে ফেরত দিয়েছে ভারত

১৫ বাংলাদেশি নারী-শিশুকে ফেরত দিয়েছে ভারত

ভেঙ্গে পড়লো উত্তরা আব্দুল্লাহপুরের অরক্ষিত বেইলি সেতু

ভেঙ্গে পড়লো উত্তরা আব্দুল্লাহপুরের অরক্ষিত বেইলি সেতু

হাসান আরিফের প্রতি প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা

হাসান আরিফের প্রতি প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা

আচরণবিধি ভেঙে শাস্তি পেলেন ফারুকি

আচরণবিধি ভেঙে শাস্তি পেলেন ফারুকি

দেশের প্রেক্ষাগৃহে একসাথে মুক্তি পেয়েছে হলিউডের দুই সিনেমা

দেশের প্রেক্ষাগৃহে একসাথে মুক্তি পেয়েছে হলিউডের দুই সিনেমা

তাইওয়ানকে ৫৭১ মিলিয়ন ডলার প্রতিরক্ষা সহায়তার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

তাইওয়ানকে ৫৭১ মিলিয়ন ডলার প্রতিরক্ষা সহায়তার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

তেল আবিবের পার্কে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইয়েমেনের, আহত ১৪

তেল আবিবের পার্কে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইয়েমেনের, আহত ১৪