বিজ্ঞানের উৎকর্ষে উদ্ভাসিত ইসলাম
০৩ মে ২০২৩, ০৭:৫৩ পিএম | আপডেট: ০৪ মে ২০২৩, ১২:০১ এএম
কোরআন মূলত বিজ্ঞানের গ্রন্থ নয়। তবে এতে বিজ্ঞান থাকাটাও অস্বাভাবিক নয়। বিজ্ঞানের কোনো বর্ণনা কোরআনের কোনো বর্ণনার সঙ্গে মিলে গেলে তা হবে ‘সোনায় সোহাগা’। আর বিপরিত হলে ঈমান রাখতে হবে কোরআনের ওপর। কারণ বিজ্ঞান ভুল করে কোরআন ভুল করে না। আজ আমরা কোরআনের সঙ্গে বিজ্ঞানের মিলে যাওয়া কয়েকটি তত্ত্বের কথাই আলোচনা করব।
জীবনের উৎস বর্ণনা : আমাদের চারপাশে জীবনের কত কোলাহল, কত স্পন্দন। গাছপালা, তরুলতা, পশুপাখিসহ যা কিছু আছে জীববিজ্ঞান বলছে, ‘সব কিছুর উৎপত্তি সমুদ্রের এককোষী প্রাণির ফসিল বা জীবাশ্ম থেকে।’ উদ্ভিদদেহে শতকরা ৯০ ভাগ পানি আর মানবদেহে এর পরিমাণ শতকরা ৭০ ভাগ। বলা যায়, জীবের গঠনের প্রধান উপাদানই পানি। তারা বলেন, ‘পানিই জীবন। যেখানে পানি আছে সেখানে প্রাণ আছে।’ এই তত্ত্ব কোরআনেও রয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ সব জীব সৃষ্টি করেছেন পানি থেকে।’ (সুরা নুর : ৪৫) অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘আর প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা আম্বিয়া : ৩০)
মানব সৃষ্টির রহস্য উন্মোচন : প্রথম মানুষটি কীভাবে কখন জন্ম নিয়েছিল এ ব্যাপারে বিজ্ঞান এখনও অন্ধকারে। কিন্তু তারা এ বিষয়টি আবিষ্কার করতে পেরেছেন যে, জীবনবীজ বা শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলনেই মানুষের জন্ম হয়। আর জীবনবীজে রয়েছে মাটির সকল প্রকারের রাসায়নিক উপাদান। যথাÑঅক্সিজেন, নাইট্রোজেন, কার্বন, হাইড্রোজেন, ম্যাগনেশিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি। মূলকথা মাটির সারনির্যাস থেকেই মানুষের সৃষ্টি। কোরআনও তা-ই বলেÑ ‘আমি মানুষকে মাটির সারনির্যাস থেকে সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা মোমিনুন : ১২)
মহাবিশ্বের সৃষ্টিতত্ত্বের বর্ণনা : মহাবিশ্ব কীভাবে সৃষ্টি হয়েছে এর উদ্ভাবক কেÑ এ নিয়ে মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। আদিকাল থেকেই মানুষ এ সব নিয়ে গবেষণা করে আসছিল। বিংশ শতাব্দীতে এসে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত ‘বিগব্যাঙ থিওরি’ বা মহাবিস্ফোরণ তত্ত্বের ওপর ভর করে মানুষ জানতে পারল মহাবিশ্ব একসময় গ্যাসীয় পি-রূপে একবিন্দুতে জমাটবদ্ধ ছিল অতঃপর মহাবিস্ফোরণের ফলে সবকিছু ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে। লক্ষ লক্ষ বছর, কাল পরিক্রমায় গঠিত হয়েছে পৃথিবীসহ অন্যান্য গ্রহ-নক্ষত্র, গ্যালাক্সি, ব্ল্যাকহোল ইত্যাদি। এ তত্ত্বটিও কোরআনে অনেক আগেই বর্ণিত হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘অবিশ^াসীরা কি ভেবে দেখে না! আকাশসমূহ ও পৃথিবী একসঙ্গে মিশে ছিল; এরপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিয়েছি!’ (সুরা আম্বিয়া : ৩০)
মহাকাশের বিচিত্র তথ্যের বিবরণ : মহাকাশের যে তথ্যগুলো বিজ্ঞান দিনরাত পরিশ্রম করে আধুনিক যন্ত্রপাতি দ্বারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মানুষের সামনে প্রকাশ করেছে, তা দেড় হাজার বছর আগে একজন মরুচারী, টেলিস্কোপ, রকেটের মতো অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিহীন মানুষ খেজুর পাতার মসজিদে বসেই শোনাতেন।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘মহাকাশ কক্ষপথবিশিষ্ট।’ কোরআন আগেই বলে রেখেছে, ‘আকাশ কক্ষপথবিশিষ্ট।’ (সুরা জারিয়াত : ৭) তারা বলছেন, ‘মহাকাশের গ্রহ-উপগ্রহগুলো নিজ নিজ কক্ষপথে আবর্তিত।’ কোরআন বলে, ‘সূর্য তার নির্দিষ্ট পথে ছুটে চলছে। চাঁদেরও আছে চলার নির্ধারিত পথ। প্রত্যেকেই নিজ নিজ কক্ষপথে ভেসে বেড়াচ্ছে।’ (সুরা ইয়াসিন : ৩৮-৪০) তারা এও বলছেন, ‘আকাশ কুয়াশাঘেরা, ধোঁয়ায় ঢাকা।’ কোরআন বলছে, ‘সৃষ্টির পূর্বেও এটি এমনই ধোঁয়াচ্ছন ছিল।’ (সুরা হা-মীম সাজদা : ১১)
বিজ্ঞানীরা বলেন, ‘অসংখ্য-অগণিত তারায় মহাকাশ ভর্তি। পৃথিবীর বালুকণা থেকেও তারকার পরিমাণ বেশি!’ কোরাআন তাদের এ কথাও বলে রেখে অনেক আগেÑ ‘কতই না কল্যাণময় তিনি যিনি আসমানে নক্ষত্ররাজির সমাবেশ ঘটিয়েছেন।’ (সুরা ফুরকান : ৬১) অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি দুনিয়ার আকাশ অসংখ্য তারকারাজি দ্বারা সুসজ্জিত করেছি।’ (সুরা সাফফাত : ৬)
আকাশে প্রতিনিয়ত রঙদের খেলা চলে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘আকশের কোনো সুনির্দিষ্ট রঙ নেই। যা দেখা যায় তা বায়ুমন্ডলের ক্ষুদ্র অণুগুলোর ঝলকানি। অবস্থা ভেদে তাতে তারতম্য হয়।’ কোরআন বলে, ‘শপথ সে আকাশের, যা বিভিন্ন রূপ-রঙে আত্মপ্রকাশ করে।’ (সুরা তারিক : ১১)
মহাবিস্ফোরণের পর থেকে মহাকাশের পরিধি নাকি ক্রমেই বাড়ছে। কোরআনের বর্ণনা থেকেও তা বুঝা যায়। ‘আমি নিজ হাতে আসমান সৃষ্টি করেছি এবং আমিই এর বিস্তৃতি ঘটাচ্ছি। (সুরা জারিয়াত : ৪৭) বিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘সবকিছু এক সময় পুনরায় একীভূত হবে।’ কোরআন বলছে, ‘সে দিন আকাশমন্ডলীকে লিখিত দলিল-পত্রের মতো গুটিয়ে ফেলব।’ (সুরা আম্বিয়া: ১০৪) ব্লাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরের কথাও তারা বলছেন। যেখানে মহাকাশের সবকিছু বিলীন হয়ে যায়। এমনকি আলোও নাকি এর প্রখর মধ্যাকর্ষণ বলকে অগ্রাহ্য করে যেতে পারে না। কোরআনে এসেছ, আল্লাহ বলেন, ‘আমি শপথ করছি তারকারাজির অস্তাচলের। নিশ্চয় এটি মহাশপথ যদি তোমরা তার বিষয়টি জানতে।’ (সুরা ওয়াকিয়া: ৭৫)
পৃথিবীর বিস্ময়কর তথ্য প্রদান : পৃথিবী সম্পর্কিত বিজ্ঞানের বর্ণার সঙ্গেও কোরআনের বর্ণনার মিল রয়েছে। বিজ্ঞান বলছেÑ এক. ‘পৃথিবী গোলাকার ও ডিম্বাকৃতির। কোরআন বলছ, ‘পৃথিবীকে আল্লাহ ডিম্বাকৃত (এক অর্থানুসারে) বিস্তৃত করেছেন।’ (সুরা নাজিয়াত : ৩০) দুই. ‘পৃথিবী তার ওজন ও অক্সিজেন হারানোর মাধ্যমে প্রতিবছর সংকুচিত হচ্ছে।’ কোরআন বলছে, ‘তারা কি দেখে না আমি ক্রমেই ভূপৃষ্ঠের পরিধি সংকুচিত করে আনছি! তবু কি তারাই বিজয়ী হবে!’ (সুরা আম্বিয়া : ৪৪) তিন. ‘পৃথিবী তার নিজ অক্ষে ঘূর্ণায়মান।’ কোরআনে এসেছে, ‘আর তুমি পাহাড়সমূকে দেখে সেগুলোকে স্থির মনে করছ; অথচ তারা মেঘমালার মতো চলছে।’ (সুরা নমল : ৮৮) পাহাড়-পর্বত মেঘমালার মতো চলার অর্থ হলো পৃথিবীসহ চলা। অর্থাৎ পৃথিবী ঘুরলেই কেবল তা সম্ভব। চার. ‘পৃথিবীর পাহাড়-পর্বতগুলো এর ভারসাম্য রক্ষা করছে।’। কোরআনে এসেছে আল্লাহ বলেন, ‘আমি জমিনের ওপর সুদৃঢ় পর্বতমালা সৃষ্টি করেছি, যাতে তাদের নিয়ে পৃথিবী ঝুঁকে না পড়ে।’ (সুরা আম্বিয়া : ৩১) পাঁচ. সুরা রূমের ৩-৪ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘রোমানরা পরাজিত হয়েছে। আর তা পৃথিবীর সবচেয়ে নীচু ভূমিতে।’ অবাক করা কথা হলো, সাম্প্রতিককালে ভূবিজ্ঞানীরা পৃথিবীর সবচেয়ে নীচু ভূমি হিসাবে যে স্থানকে চিহ্নিত করেছে সেটি কোরআনে বর্ণিত হয়েছে ।
উদ্ভিদের বংশবিস্তারের রহস্য প্রকাশ : জীববিজ্ঞান বলছে উদ্ভিদের বংশবিস্তার ও উন্নতির জন্য পরাগায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উদ্ভিদের ফুলেই থাকে এর প্রজনন অঙ্গ। কীট-পতঙ্গ,পশুপাখি, বাতাস ইত্যাদির মাধ্যমে ফুলের পরাগ-রেণু একই ফুল বা একই প্রজাতির অন্য ফুলের গর্ভমুন্ডে স্থানান্তরিত হয়ে পুংজননকোষ ও স্ত্রীজননকোষের মিলন ঘটে। ফলে জাইগোট তৈরী হয়। এ জাইগোট থেকে ফল ও বীজ উৎপন্ন হয়। এভাবেই উদ্ভিদরাজি পৃথিবীতে বংশবিস্তার করছে। এ পদ্ধতিকে বলে পরাগায়ন। বাতাসের মাধ্যমে পরাগায়নের এ পদ্ধতির কথা কোরআনে বহুকাল আগেই বর্ণিত হয়েছে। ‘আমি পরাগায়নকারী বাতাস প্রবাহিত করি।’ (সুরা হিজর : ২২)
সমুদ্রের বিস্ময়কর তথ্য প্রদান : এক. সমুদ্র বিষয়ে মেরিন সাইন্টিস্টদের চমকপ্রদ আবিষ্কার হলোÑ কোথাও কোথাও দুই সমুদ্রের পানি পরস্পর সম্মিলিত হয় না। যেমন রোম সাগর ও আটলান্টিক মহাসাগরের পানি একটি অপরটির সঙ্গে একত্র হয় না। সেখানে রয়েছে বিস্ময়কর অদৃশ্য অন্তরায়। এ কথা কোরআনে এভাবে বলা আছে, ‘তিনি পাশাপাশি দুটি সমুদ্র প্রবাাহিত করেছেন। উভয়ের মধ্যে রয়েছে এক অন্তরায়, যা তারা অতিক্রম করে না। সুতরাং তোমাদের রবের কোন কোন নিয়ামতকে তোমরা (জিন-ইনসান) অস্বীকার করবে?’ (সুরা রাহমান : ১৯-২১) অন্যত্র বলা হয়েছে, ‘তিনি সমান্তরাল দুই সমুদ্র প্রবাহিত করেছেন একটি মিষ্টি, তৃষ্ণা নিবারক এবং অপরটি লোনা, বিস্বাদ। আর উভয়ের মাঝে রেখে দিয়েছেন একটি অন্তরায়, একটি দুর্ভেদ্য আড়াল।’ (সুরা ফুরকান : ৫৩) দুই. সমুদ্র বিজ্ঞানীরা আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে আবিষ্কার করেছেনÑ বিশাল সমুদ্রের গভীর তলদেশে সূর্যের আলোকরশ্মি প্রতিফলিত হতে পারে না বিধায় তা অন্ধকার হয়ে আছে। এই তথ্যটিও কোরআনে তাদের আবিষ্কারের বহু আগে বর্ণনা করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘অথবা (কাফেরদের কার্যাবলীর দৃষ্টান্ত) যেন গভীর সমুদ্রের বিস্তৃত অন্ধকার, যাকে আচ্ছন্ন করে আছে পরতে পরতে তরঙ্গমালা, তার ওপর মেঘমালা। আঁধারের ওপর আঁধার। সেখানে কেউ যখন নিজ হাত বের করে, তাও দেখতে পায় না। বস্তুত আল্লাহ যাকে আলো দেন না, তার ভাগ্যে কোনো আলো জুটে না। (সুরা নুর : ৪০)
ফলাফল : উল্লিখিত আলোচনা দ্বারা এ কথা প্রতিভাত হয়Ñ কোরআন আল্লাহর কিতাব। এটি মুহাম্মাদ সা. নিজে রচনা করেননি। এটি পূর্ববর্তী কোনো আসমানি গ্রন্থ থেকেও নকল করা হয়নি। কারণ এ ধরণের প্রজ্ঞাপূর্ণ কথা পূর্বের কোনো আসমানি গ্রন্থে তো নেই; এমনকি কোরআনের পূর্বে মানব রচিত কোনো গ্রন্থেও নেই। তদুপরি আরবের মরুতে জন্ম নেয়া একজন মনীষী যিনি কারো কাছে কোনোদিন দু-চার লাইন পড়ালেখা করেননি, কোনো যন্ত্রপাতি নিয়ে পৃথিবী, মহাকাশ, মানবভ্রƒণ ইত্যাদি নিয়ে গবেষণাও করেননি, তিনি কী করে এতসব জানতেন! আল্লাহ আমাদের হেদায়েত দান করুন।
লেখক: কবি ও কলামিস্ট, তাড়াইল, কিশোরগঞ্জ।
বিভাগ : ধর্ম দর্শন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আমরা আল্লাহর উপরে ভরসা করি আর হাসিনার ভরসা ভারতে -দুলু
বাংলাদেশের গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন
২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে মত বিএনপির যুগপৎ সঙ্গীদের
ঢাকায় ‘হযরত ফাতিমা জাহরা (সা.আ.) বিশ্বের নারীদের আদর্শ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
চার ভাগে ফিরবেন ক্রিকেটাররা
চাঁদাবাজদের ক্ষমতায় আসতে দেবেন না: হাসনাত
এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের বরাদ্দ পেল বাফুফে
ইজতেমা মাঠকে যারা খুনের মাঠে পরিণত করেছে তারা সন্ত্রাসী
আসছে ভিভোর এক্স সিরিজের নতুন ফ্ল্যাগশিপ
বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ২ ভারতীয় নাগরিককে স্বদেশে ফেরত
মুন্সীগঞ্জে বিএনপি’র দু পক্ষে সংঘর্ষ,৩ জন গুলিবিদ্ব সহ আহত ১০
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিব-তামিমকে পাওয়া যাবে: ফারুক
ইজতেমা মাঠে হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করুন
কলাপাড়ায় অটোরিকশা উল্টে শিশুর মৃত্যু
আগামীকাল পঞ্চগড়ে বিএনপির জনসমাবেশ
ব্যাক্তিস্বার্থ পরিহার করে, দেশ ও দলের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে: ইলিয়াস পাটোয়ারী
সখিপুরে বিদ্যুৎষ্পৃষ্টে ডিস ব্যবসায়ীর মৃত্যু
যারাই সুযোগ পেয়েছে তারাই দেশের সাথে বেঈমানী করেছে: ডা. মু. তাহের
পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো মৌমাছি ও মধু সম্মেলন
শীতের দিনে ঝিরঝিরে বৃষ্টি স্থবির খুলনা শহুরে জীবন